ইউক্রেন তাদের পূর্বাঞ্চলীয় শহর বাখমুতে ২৪ ঘণ্টায় শতাধিক রুশ আক্রমণ প্রতিহত করার দাবি করেছে। ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর বরাত দিয়ে রোববার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এদিকে বাখমুতের যুদ্ধে ২৪ ঘণ্টায় শত শত সেনা নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে ইউক্রেন ও রাশিয়া।

যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় শনিবার জানায়, শহরের কেন্দ্রস্থলে নদীর চারপাশের এলাকা একটি ‘মৃত্যুপুরী’ হয়ে উঠেছে। নদীর ওপর গুরুত্বপূর্ণ সেতুগুলো ভেঙে দিয়েছে ইউক্রেন।

ইউক্রেনের পূর্ব দোনবাস অঞ্চলে অবস্থিত বাখমুত শহর দখলের জন্য মস্কোপন্থি বাহিনী কয়েক মাস ধরে লড়াই করছে। এই যুদ্ধে উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতির শিকার হওয়ার বিষয়টি উভয় পক্ষ স্বীকার করেছে। তবে কোন পক্ষের কতসংখ্যক সেনা বাখমুতের যুদ্ধে হতাহত হয়েছেন, তার সঠিক পরিসংখ্যান নেই। কারণ, পক্ষগুলোর দাবি যাচাই করা কঠিন।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাখমুতে ইউক্রেনীয় সেনাদের হামলায় শনিবার মস্কোপন্থি ২২১ জন সেনা নিহত এবং ৩০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র সেরহি চেরেভাতি। অন্যদিকে, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দোনেৎস্ক অংশের বৃহত্তর সম্মুখসমরে ২১০ ইউক্রেনীয় সেনা নিহত হয়েছেন।

মূলত ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দোনেৎস্কের বাখমুত শহরটি বছরব্যাপী যুদ্ধের সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী এবং দীর্ঘতম যুদ্ধের স্থান বলে বিবেচিত হচ্ছে। এ ছাড়া জোরদার রুশ হামলা এবং ইউক্রেনের প্রতিরোধের জেরে এই শহরটি এখন প্রায় জনশূন্য। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির এক সহযোগী শুক্রবার বলেন, বাখমুতে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কিয়েভ। কারণ, এ যুদ্ধ রাশিয়ার সেরা ইউনিটগুলোকে ধ্বংস করছে। মস্কো বলছে, বাখমুত দখল করা গেলে তা হবে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষার জন্য একটি আঘাত।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের খবরে বলা হয়, বাখমুতে রাশিয়ান আক্রমণের নেতৃত্ব দিচ্ছে ওয়াগনার গ্রুপের আধা সামরিক যোদ্ধারা।