- আন্তর্জাতিক
- অবশেষে গ্রেপ্তার খালিস্তানি নেতা ও স্বঘোষিত শিখ ধর্মগুরু অমৃতপাল
পাঞ্জাব পুলিশের দিনভর অভিযান
অবশেষে গ্রেপ্তার খালিস্তানি নেতা ও স্বঘোষিত শিখ ধর্মগুরু অমৃতপাল
রাজ্যজুড়ে বন্ধ ইন্টারনেট

খালিস্তানি নেতা ও স্বঘোষিত শিখ ধর্মগুরু অমৃতপাল সিং এবং তার শিষ্যরা।
দিনভর টানটান উত্তেজনা, নাটকীয় পট পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে অবশেষে খালিস্তানি নেতা ও স্বঘোষিত শিখ ধর্মগুরু অমৃতপাল সিংকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতের পাঞ্জাব পুলিশ। অমৃতপাল সিং ও তার শাগরেদদের ধরতে আজ শনিবার অভিযান চালায় পুলিশ। পাঞ্জাব পুলিশের বিশেষ দল, সাত জেলার পুলিশকর্মী এবং আধা সেনার সহায়তায় অমৃতপালের স্ত্রীসহ ৬ ঘনিষ্ঠকে প্রথমে গ্রেপ্তার করা হয়। বিকেলে রুদ্ধশ্বাস অভিযানে জলন্ধরের নাকোদর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আমৃতপাল সিংকে। এ সময় রাজ্য জুড়ে বন্ধ ছিল ইন্টারনেট পরিষেবা।
অভিনেতা তথা খালিস্তানি নেতা দীপ সিধু একটি সংগঠন গড়ে তোলেন। তার নাম ‘ওয়ারিস পাঞ্জাব দে’। দীপ সিধু গত বছর দুর্ঘটনায় নিহত হন। তারপর থেকে সংগঠনটি চালাচ্ছিল অমৃতপাল। প্রথম দিকে পঞ্জাবের জনগণের দাবি দাওয়া নিয়ে লড়াইয়ের কথা বলত সংগঠনটি। কিন্তু অমৃতপাল দায়িত্ব নেওয়ার পর সংগঠনের কার্যকলাপ চরমপন্থী এবং হিংসাত্মক হয়ে ওঠে। মাত্র ৩০ বয়সেই পাঞ্জাব সরকারের ত্রাস হয়ে ওঠে স্বঘোষিত এই খালিস্তানি নেতা। দুবাই ফেরত অমৃতপাল প্রকাশ্যেই নিজেকে খালিস্তানি নেতা ভিন্দ্রেনওয়ালের অনুগামী হিসাবে দাবি করেন। পড়েন সামরিক পোশাক। ঘুরে বেড়ান শ শ অনুসারী নিয়ে, যাদের মধ্যে অনেকেই আবার আধুনিক অস্ত্রসজ্জায় সজ্জিত।
পাঞ্জাবের যুবসমাজে এতটাই তাঁর প্রভাব যে, তার এক ডাকে পাঞ্জাবের বিস্তীর্ণ এলাকায় দাঙ্গা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। অশান্তির আশঙ্কায় অমৃতপালের বিরুদ্ধে এতদিন কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি সরকার। এর আগে অপহরণ, ড্রাগ পাচারের অভিযোগে অমৃতপালের এক শিষ্য লভপ্রীত সিং গ্রেপ্তার হলে অমৃতপালের বাহিনী জলন্ধর জুড়ে তাণ্ডব চালায়।
এতে অন্তত সাতজন উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তা আহত হন। তবে বিরোধীদের চাপের মুখে অবশেষে অমৃতপালকে ধরতে পুলিশি অভিযান চালানো হয়।
রাজ্যজুড়ে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এ দিন দুপুর থেকে রাত বারোটা পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে। ভুয়া খবর ছড়ানো বন্ধ রাখতে এ পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়। ভারতের পাঞ্জাবে প্রায় তিন বছর ধরে খালিস্তানপন্থীরা নতুন করে মাথাচাড়া দেয়। ভারতের বাইরে কানাডা, অস্ট্রেলিয়াতেও চলছে তাদের কার্যক্রম।
মন্তব্য করুন