ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওলেগ নিকোলেনকো বলেছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে চীন চেষ্টা করবে বলে আশা করছে কিয়েভ।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং রাশিয়া পৌঁছার পরে রয়টার্সকে নিকোলেনকো বলেন, শি জিনপিংয়ের রাশিয়া সফর নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে ইউক্রেন। 

তিনি বলেন, আমরা আশা করি বেইজিং মস্কোর ওপর তার প্রভাব ব্যবহার করে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে আগ্রাসী যুদ্ধের অবসান ঘটাবে।

নিকোলেনকো বলেন, আমরা ইউক্রেনে শান্তি পুনরুদ্ধার করার জন্য জাতিসংঘের সনদ এবং এই বিষয়ে সর্বশেষ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ রেজোলিউশন অনুযায়ী চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সংলাপে যুক্ত হতে প্রস্তুত আছি।

কিয়েভ বলেছে, যেকোনো শান্তি চুক্তির আলোচনার জন্য রাশিয়ান সেনাদের সম্পূর্ণ প্রত্যাহার এবং ইউক্রেনের আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে সম্মান করতে হবে। খবর- আল-জাজিরা। 

পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আজ সোমবার রাশিয়া পৌঁছান শি জিনপিং। 

রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংবাদ সংস্থা তাসের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, বিকেলে অনানুষ্ঠানিক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের আগে রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ করার কথা রয়েছে তার। আগামীকাল প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনার পরিকল্পনা রয়েছে।

পুতিনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির তিন দিনের মাথায় চীনের প্রেসিডেন্ট এই সফরে গেলেন। তবে রাশিয়া বা চীন আইসিসির সদস্য রাষ্ট্র নয়। তাই আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানাকে তারা আমলে নিচ্ছেন না বলেই স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাচ্ছে।

চীন এখন রাশিয়ার বড় মিত্র। বেইজিং এরই মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধ থামানোর লক্ষ্যে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছে। তাদের এই প্রস্তাবের পর শি জিনপিং মস্কো সফরে গেলেন। তবে চীনের এই মধ্যস্থতার প্রস্তাবে পশ্চিমা দেশগুলোর দিক থেকে সেরকম সাড়া পাওয়া যায়নি। বরং পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার কাছে অস্ত্র সরবরাহ না করতে চীনকে হুঁশিয়ার করে দিয়েছে।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এর আগে জানিয়েছে, ভ্লাদিমির পুতিনের আমন্ত্রণে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ২০ থেকে ২২ মার্চ পর্যন্ত মস্কো সফর করবেন। পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র হুয়া চুনিইং বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধের ব্যাপারে চীন একটি ‘নিরপেক্ষ ও ন্যায্য’ অবস্থান নেবে এবং শান্তির লক্ষ্যে আলোচনার জন্য গঠনমূলক ভূমিকা পালন করবে।

কিছু মার্কিন গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, চীনা নেতার মস্কো সফরের পর প্রেসিডেন্ট শি এবং প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি টেলিফোনে কথা বলবেন। তবে এটি এখনো নিশ্চিত করা হয়নি।