খালিস্তান নেতা অমৃতপাল সিংকে ধরতে ভারতের পাঞ্জাবজুড়ে পুলিশের বিশাল বহরের তল্লাশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। হত্যাচেষ্টা, আইন প্রয়োগকারী বাহিনীকে বাধা দেওয়া, সমাজের ‘সম্প্রীতি বিনষ্টের’ অভিযোগে ৩০ বছর বয়সী অমৃতপালকে শনিবার থেকেই খুঁজে বেড়াচ্ছে পুলিশ। কিন্তু পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে অমৃতপাল এখনও অধরা। খবর এনডিটিভির।

ভারতের সংখ্যালঘু শিখ ধর্মাবলম্বীদের জন্য সার্বভৌম খালিস্তান রাষ্ট্র চাওয়া নিষিদ্ধ ঘোষিত বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনের অন্যতম কাণ্ডারি হিসেবে তাঁকে ধরা হয়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখতে রাজ্যটির অনেক জেলায় সশস্ত্র পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনীও মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সিএনএন।এখন পর্যন্ত শতাধিক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে, ‘সহিংসতায় প্ররোচনা রুখতে’ কর্তৃপক্ষ পুরো রাজ্যের মোবাইল ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দিয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশটিতে একসঙ্গে প্রায় আড়াই কোটি মানুষের জন্য এমন ‘বিস্তৃত ব্ল্যাকআউটের’ ঘটনা আর দেখা যায়নি।

ভারতের বেআইনি কর্মকাণ্ড (প্রতিরোধ) আইনে খালিস্তান আন্দোলনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। এই আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত অসংখ্য সংগঠনকে ঢোকানো হয় ‘সন্ত্রাসী সংগঠনের’ তালিকায়। কিন্তু বিদেশে খালিস্তানের সমর্থকরা অবাধে চলাচল করতে পারছে। কানাডা, ব্রিটেন ও অস্ট্রেলিয়ায় শিখদের অনেকের কাছে এই আন্দোলন সমর্থনও পাচ্ছে।

অমৃতপালের সমর্থকরা এরই মধ্যে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের ভারতীয় কনস্যুলেটে তাণ্ডব চালিয়েছে, ভারতের জাতীয় পতাকা নামিয়ে, সেখানে খালিস্তানের প্রতীক বসিয়ে দিয়েছে। বিক্ষোভ হয়েছে কানাডাতেও।
এর জেরে রাজধানীতে ব্রিটিশ হাইকমিশনের
সামনে থেকে সরিয়ে নেওয়া হলো পুলিশের ব্যারিকেড। যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছিল তাই তুলে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

নিরাপত্তাজনিত কারণে ভারতের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের সামনে এভাবেই ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে রাখে পুলিশ প্রশাসন। কিন্তু বুধবার আচমকা দিল্লির ব্রিটিশ হাইকমিশনের সামনে থেকে সেই ব্যারিকেড তুলে নেওয়া হয়।
পাঞ্জাবে আচমকাই উদয় হয়েছে এই স্বঘোষিত ধর্মগুরুর। তাঁকে গ্রেপ্তার চেষ্টার প্রতিবাদ জানাতেই তাঁর অনুগামীরা লন্ডনে ভারতীয় হাইকমিশনে তাণ্ডব চালান। তার কড়া প্রতিক্রিয়া দেয় ভারত।


বিষয় : এখনও অধরা খালিস্তান নেতা

মন্তব্য করুন