- আন্তর্জাতিক
- চবিতে খাবারের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা
চবিতে খাবারের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা

চবি শিক্ষার্থীদের মনববন্ধন। ছবি-সমকাল
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আবাসিক হলে খাবারের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি করছেন শিক্ষার্থীরা। চার দফা দাবিতে শুক্রবার দুপুর থেকে মানববন্ধন করছেন আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা। দাবি না মানা পর্যন্ত উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান করবেন বলে জানান শিক্ষার্থীরা।
রমজানের একদিন আগে হঠাৎ করেই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আবাসিক হলে খাবারের দাম ১০ টাকা করে বাড়ানো হয়। বৃহস্পতিবার হল প্রভোস্ট কমিটি থেকে এই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী চবির আবাসিক হলে নিয়মিত খাবারের দাম ২৫ টাকা থেকে ৩৫ এবং সেহেরির দাম ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকায় বৃদ্ধি করা হয়। দাম বৃদ্ধি হলেও একই মান থাকায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অসংখ্য শিক্ষার্থী। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার দুপুর আড়াইটা থেকে শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধন করছেন শিক্ষার্থীরা। এক ঘণ্টা মানববন্ধনের পর শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচী পালন করেন। এসময় চার দফা দাবি উপস্থাপন করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
অবস্থান কর্মসূচীতে থাকা ২০১৮-১৯ সেশনে শিক্ষার্থী মো. আব্দুল্লাহ আল জোবায়ের বলেন, ‘হঠাৎ করেই রমজান মাসেই হল প্রভোস্টরা খাবারের দাম বাড়ালেন। দাম বাড়ানোর আগে শির্ক্ষাথীদের সঙ্গে আলোচনা প্রয়োজন। আমরা অতিরিক্ত দাম দিবো না। বর্তমান মূল্যেই খাবারের মান বাড়াতে হবে।’
শাহ জালাল হলের শিক্ষার্থী সাইমন আহমেদ বলেন, ‘হল প্রশাসন কোনোরকম আলোচনা ছাড়া শিক্ষার্থীদের ওপর তাদের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে পারে না। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৮ টাকায় সেহেরি দিতে পারলে আমাদের কেন ৬০ টাকা দিতে হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. নূরুল আজিম সিকদার বলেন, ‘আমি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছি। আজ রাতে আমরা প্রভোস্টদের সঙ্গে একটি মিটিংয়ে বসবো। দাম কমানোর সিদ্ধান্ত আসতে পারে।’
শাহজালাল হলের প্রভোস্ট মো. জামাল উদ্দীন বলেন, ‘মিটিংয়ে খাবারের মানের সঙ্গে সমন্বয় করেই দাম ঠিক করা হয়েছে। তবে আমরা এ বিষয়ে আজ রাতে আবার মিটিং করবো।’
শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবিগুলো হলো- খাবারের দাম অপরিবর্তিত থাকবে, খাবারের মান বৃদ্ধি করতে হবে, প্রয়োজনে ভর্তুকি প্রদান ও বৃদ্ধি করতে হবে, আবাসিক শিক্ষকদের হলে থাকতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের যে খাবার দেওয়া হয় নিয়মিত সেই খাবার শিক্ষকদের খেতে হবে।
মন্তব্য করুন