চৈত্র এলেও নেই তীব্র খরতাপ। প্রকৃতিতে ঠান্ডা ঠান্ডা ভাব। এই মেঘ, এই রোদ্দুর। এমন আবহাওয়া রোজাদারদের ক্লান্তি দূর করে এনেছে স্বস্তি।

শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় রাজধানীতে শুরু হয় বৃষ্টি। মাত্র দুই মিলিমিটার বৃষ্টিতে নগরবাসী ধুলাবালু থেকে কিছুটা নিস্তার পেয়েছেন। উন্নতি হয়েছে বায়ুর মানও। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, দু’দিন রোদ আর বৃষ্টির লুকোচুরির পর ২৮ মার্চ বৃষ্টি বাড়তে পারে। দেশের কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টির শঙ্কাও রয়েছে। এপ্রিলের শুরুতে তীব্র কালবৈশাখী আর বজ্রপাত হতে পারে।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বছরের এই সময়টায় সাধারণত দিনে প্রখর রোদ থাকে। বিকেল গড়াতেই দমকা হাওয়া ও কালবৈশাখী শুরু হয়। সঙ্গে এক পশলা বৃষ্টিও ঝরে। কিন্তু এ বছর আবহাওয়ার এ ব্যাকরণ কাজ করছে না। প্রায় প্রতিদিন সকাল থেকে সূর্য ও মেঘের মধ্যে যেন লড়াই শুরু হয়। সুয্যি মামা চোখ রাঙাতে না রাঙাতে মেঘ এসে তাকে ঢেকে দিচ্ছে। কোথাও কোথাও হালকা বৃষ্টিও ঝরছে। কিন্তু দমকা হাওয়া তেমন গতি না পাওয়ায় তা কালবৈশাখীতে পরিণত হতে পারছে না।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ বলেন, টানা তীব্র রোদ থাকলে সন্ধ্যার পর জলীয় বাষ্প বেড়ে সাধারণত কালবৈশাখী তৈরি হয়। এবার এ ধরনের টানা রোদের দেখা মিলছে না। বরং দিনের বেলায় আকাশে সামান্য মেঘ এসে রোদের তীব্রতা কমিয়ে দিচ্ছে। ২৯ মার্চ থেকে বৃষ্টি বেড়ে এপ্রিলের শুরুতে কালবৈশাখী এবং বজ্রপাত বাড়তে পারে।

এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত আবহাওয়া এমন থাকতে পারে বলে আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ জানান। তিনি বলেন, সে অনুযায়ী ধরে নেওয়া যায়, রমজানের অর্ধেকটা সময় আবহাওয়া মোটামুটি সহনীয় থাকবে। এরপর গরম বাড়তে পারে।