রাজধানীর ঢাকা শিশু হাসপাতালে সাইকেল চোর সন্দেহে মো. মামুন (৩৫) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মাসুদ রানা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে শেরেবাংলা নগর থানায় হত্যা মামলা করেছেন। তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। 

রোববার দুপুর ১টার দিকে হাসপাতাল চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। লাশ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে রাখা হয়েছে। 

নিহত মামুনের বড় ভাই মাসুদ রানা বলেন, তাঁদের বাসা রাজধানীর পল্লবী এলাকায়। বাবার নাম মৃত ফজলুল হক। গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর জেলায়। মামুন পল্লবী এলাকায় চা বিক্রি করত। শিশুকন্যাকে চিকিৎসার জন্য গতকাল শেরেবাংলা নগর এলাকার একটি হাসাপাতালে গিয়েছিল মামুন। সঙ্গে ছিলেন মা ও তার স্ত্রী। চিকিৎসা শেষে তাঁদেরকে বাসার উদ্দেশে গাড়িতে তুলে দিয়ে মামুন হাসপাতাল এলাকায় থেকে যায়।

মাসুদ বলেন, ঘটনা শুনে তিনি দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে জানতে পারেন, তাঁর ভাইকে চোর সন্দেহে হাসপাতালের আনসার সদস্য ও অ্যাম্বুলেন্স চালকরা পিটিয়ে হত্যা করেছে। মামুন চোর নয় বলে দাবি করেন তিনি। হত্যায় জড়িতদের মধ্যে আনসার সদস্য মাহবুব ও হীরার নাম জানতে পেরেছেন তিনি। 

পুলিশ জানায়, মামুন ঢাকা শিশু হাসপাতালে ঘোরাঘুরি করছিল। এ সময় সাইকেল চোর সন্দেহে লোকজন তাকে ধরে পেটাতে থাকে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মামুনকে হাসপাতালের বাইরে থেকে ধরে হাসপাতালের ভেতরে নিয়ে আনসার সদস্য ও অ্যাম্বুলেন্স চালকরা মারধর করে। এতে সে মারা যায়। 

হাসপাতালের পরিচালক ডা. জাহাঙ্গীর আলম সমকালকে বলেন, লোকজন ওই যুবককে হাসপাতালের বাইরে থেকে মারতে মারতে হাসপাতালের ভেতরে নিয়ে আসে। এতে আনসার সদস্যরা বাধা দিলে তা উপেক্ষা করে তাকে পেটাতে থাকে লোকজন। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পুলিশ সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ দেখে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে আটক করেছে। 

শেরেবাংলা নগর থানার ওসি উৎপল বড়ুয়া সমকালকে বলেন, লোকজন জানিয়েছে, মামুন হাসপাতালে সাইকেল চুরি করতে গিয়েছিল। এ সময় লোকজন ধাওয়া করলে দৌড়ে হাসপাতালের গেটের বাইরে চলে যায়। অ্যাম্বুলেন্সের চালক ও তাদের সহকারীরা এবং উপস্থিত কিছু লোকজন তাকে ধরে হাসপাতাল চত্বরে নিয়ে মারধর করে।