মার্কিন সীমান্তের কাছে মেক্সিকোর সিউদাদ জুয়ারেজের একটি অভিবাসী কেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে অন্তত ৪০ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অনেকে। স্থানীয় সরকারের সঙ্গে দুটি সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

মেক্সিকোর জাতীয় অভিবাসন ইনস্টিটিউটের (আইএনএম) অফিসে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। কর্তৃপক্ষ বলেছে, মেক্সিকোর জাতীয় অভিবাসন ইনস্টিটিউটের (আইএনএম) অফিসে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। অগ্নিকাণ্ডের কারণ ও নিহতরা কোন দেশের নাগরিক তা এখনো জানায়নি কর্তৃপক্ষ।

কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন জানায়, শহরের বিভিন্ন সড়ক থেকে ৭১ অভিবাসন-প্রত্যাশীকে ধরে এনে আইএনএম কেন্দ্রে আনার পর এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুন লাগার সময় সেখানে ৬৮ জন অবস্থান করছিলেন।

গতকাল মঙ্গলবার কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রত্যাবাসন নিয়ে বিক্ষোভের জেরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাদর বলেছেন, স্থানীয় সময় সোমবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের এল পাসো শহরের বিপরীতে অবস্থিত ওই বন্দিশিবিরে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। অভিবাসীরা যখন জানতে পারেন, তাঁদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন করা হবে, তখন বিছানাপত্রে আগুন দিয়ে তাঁরা বিক্ষোভ শুরু করলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে বলে মনে করছে কর্তৃপক্ষ।

এক সংবাদ সম্মেলনে লোপেজ বলেন, তাঁরা ভাবেননি এটি এমন ভয়াবহ ট্র্যাজেডির কারণ হয়ে দাঁড়াবে।

তিনি আরও বলেন, ওই বন্দিশিবিরে থাকা অধিকাংশ অভিবাসী ছিলেন মধ্য আমেরিকা ও ভেনেজুয়েলার।

যুক্তরাষ্ট্রের আশ্রয়ের সন্ধানে আসা অনেক অভিবাসী এই সিউদাদ জুয়ারেজ শহরে এসে আটক হন। প্রতি মাসে প্রায় দুই লাখ মানুষ মেক্সিকো থেকে সীমান্ত পার হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টা করেন। তাঁদের বেশির ভাগই আসেন মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকা থেকে।