প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ দেশ ভানুয়াতু জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় ঐতিহাসিক বিজয় অর্জন করেছে। বুধবার জাতিসংঘে জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় আইনি পদক্ষেপের বিষয়ে ভোটাভুটি হয়। সেই ভোটে ১৩০টি দেশ পক্ষে মত দেয়। যদিও প্রভাবশালী দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও চীন পক্ষে ভোট না দিলেও আইন পাসে বিরোধিতা করেনি। খবর-সিএনএন

এ দিকে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্টোনিও গুতেরেস এ রায়কে যুগান্তকারী সিদ্ধান্তটি বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন, এটি অত্যাবশ্যক ছিল। জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় ন্যায়বিচার পাওয়া নৈতিক ও বাধ্যতামূলক। ভানুয়াতুর এই জয় আন্তর্জাতিক আইনি আদেশের উপর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারে।

ভানুয়াতুর প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল কালসাকাউ এই অর্জনকে ঐতিহাসিক বিজয় দাবি করে বলেন, ‘জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় এই রায় ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় কার্যকরী ভূমিকা রাখবে বলে আশা করি। আর ভানুয়াতুর মতো একটি ক্ষুদ্র দেশকে এত বড় পদক্ষেপে সমর্থন দেওয়ায় সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।’ 

এ দিকে দেশটির জলবায়ুবিষয়ক মন্ত্রী লফ রেজেনভানু বলেছেন, জাতিসংঘে গৃহীত এই পদক্ষেপের ফলে আন্তর্জাতিক আইন ও দেশীয় আইনের মধ্যে কী ধরণের তারতম্য বা দুর্বলতা রয়েছে তা চিহ্নিত করে কার্যকর ভূমিকা রাখতে সাহায্য করবে। একই সঙ্গে সংকট মোকাবেলায় অভ্যন্তরীণ নানা পদক্ষেপ নিতে সহযোগিতা করবে।  

২০২১ সালে জলবায়ু সংকটের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য বিশ্বের ধনীদেশগুলোর আইনি দায়িত্ব সম্পর্কে একটি ‘পরামর্শমূলক মতামত’ প্রদানের লক্ষ্যে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের শরণাপন্ন হয় ভানুয়াতু। এই প্রথম জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় কোনো দেশ সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক আদালতের দ্বারস্থ হয়। দেশটি তখন যুক্তি হিসেবে সামনে আনে, জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপবাসীদের জন্য ‘মানবাধিকার বিষয়ে’ পরিণত হয়েছে। জাতিসংঘে ভানুয়াতুর এই ঐতিহাসিক জয় জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করতে পারে।