- আন্তর্জাতিক
- প্রথম আলোর সমালোচনায় সাংবাদিক নেতারা
সাংবাদিক গ্রেপ্তারে প্রতিবাদ
প্রথম আলোর সমালোচনায় সাংবাদিক নেতারা

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিক গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ দৈনিক প্রথম আলোর ‘দায়িত্বহীন এবং অপেশাদারি’ সাংবাদিকতার সমালোচনা করেছেন সাংবাদিক নেতারা। তবে তাঁরা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পত্রিকাটির সাংবাদিককে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ করেছেন।
বিএফইউজে ও ডিইউজে মনে করে, প্রথম আলো অনলাইন মাধ্যমে ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে একজন শিশুর ছবির সঙ্গে ভিন্ন একজনের বক্তব্য সংযোজন করে যে ফটোকার্ড প্রচার করা হয়, সেটি সেই সংবাদপত্রের সম্পাদক ও বার্তা কক্ষের পেশাদারি ব্যর্থতার বড় দৃষ্টান্ত। সেই ফটোকার্ডটি দ্রুত প্রত্যাহার করা হলেও জনমনে বিভ্রান্ত্রি সৃষ্টি হয়। শিশুর ছবির সঙ্গে ভিন্ন পরিচয়ের ব্যক্তির উদ্ধৃতি উদ্দেশ্যমূলকভাবে তৈরি ও ব্যবহার করা হয়েছে বলে মনে করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। শিশুটিকে সাংবাদিকের আর্থিক সাহায্য দেওয়া এবং তাকে সাংবাদিকতার উপাদান হিসেবে ব্যবহার করার বিষয়টিও পেশাদারি সাংবাদিকতার দিক থেকে গ্রহণযোগ্য নয়।
অন্যদিকে, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করে যে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়েছে আমরা মনে করি, সেটিও এড়ানো যেত। তাঁরা বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কতিপয় ধারা সম্পর্কে আমাদের আগের সুপারিশ আমলে নিয়ে তা সংশোধন করা হোক। এসব ব্যবস্থা নেওয়ার আগে আইনটির অপপ্রয়োগ বন্ধে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
সম্পাদক ফোরামের প্রধান উপদেষ্টা ও ডেইলি অবজারভারের সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রতন এবং সদস্য সচিব ফারুক আহমেদ তালুকদার পৃথক বিবৃতিতে বলেন, প্রথম আলোয় মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যমূলক সংবাদ পরিবেশন করে রাষ্ট্র ও জাতির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের চেষ্টা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে রাতের বেলা গ্রেপ্তার এড়িয়ে সুনির্দিষ্ট মামলায় দোষীদের বিচারের আহ্বান জানান তাঁরা।
সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি মোজাফফ্র হোসেন পল্টু ও সাধারণ সম্পাদক এম জি কিবরিয়া চৌধুরী বিবৃতিতে বলেন, প্রথম আলোর ওই প্রতিবেদন সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতার নীতিমালা ও নৈতিকতার সম্পূর্ণ পরিপন্থি। এর বিরুদ্ধে যথাযথ কর্তৃপক্ষ আইনগত পদক্ষেপ নেবেন বলে আশা করেন তাঁরা।
ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মিজানুর রহমান মামুন ও সাধারণ সম্পাদক খন্দকার গোলাম কিবরিয়া জোবায়েরও প্রথম আলোর প্রতিবেদনের নিন্দা জানান।
মন্তব্য করুন