নওগাঁর আত্রাইয়ে আবু সাইদ সোহাগ নামে এক যুবককে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ ওঠেছে। সোমবার সকালে সিংসাড়া পূর্বপাড়া ওমর মাস্টারের পুকুর পাড় থেকে সোহাগের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সে একই গ্রামের দিদার সাকিদারের ছেলে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

নিহত আবু সাইদ সোহাগের ভাগ্নে রবিন হোসেন জানান, সোহাগের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠে একই গ্রামের আরেক তরুণীর সঙ্গে। একপর্যায়ে তাঁরা বিয়ে করেন। কিন্তু বনিবনা না হওয়ায় ৬-৭ মাস আগে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়। এরপর থেকে তরুণীর বাবার লোকজন সোহাগকে নানানভাবে হুমকি দিয়ে আসছিল। রোববার রাতে তাঁরা সবাই খাবার খেয়ে যে যার মতো ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে মোবাইল ফোনে কল দিয়ে জানানো হয় পুকুর পাড়ে সোহাগের লাশ পড়ে আছে।

রবিন হোসেন বলেন, ‘মামার ঘরের একটি জানালাও ভাঙা রয়েছে। হয়তো হত্যাকারীরা জানালা ভেঙে মামাকে বের করে পিটিয়ে এবং শ্বাসরোধে হত্যা করেছে। তাঁর আঙুলগুলো থেঁতলানো ছিল। শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন এবং গলায় স্পষ্ট দাগও রয়েছে। ঘটনার পর থেকে মামার সাবেক শ্বশুর সপরিবারে পলাতক।’

আত্রাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারেকুর রহমান সরকার বলেন, ‘নিহত সোহাগের শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাঁর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। শিগগিরই রহস্য উদ্ঘাটন করা হবে।