- আন্তর্জাতিক
- বাংলাদেশের সাফল্য থেকে অনেক দেশ শিক্ষা নিতে পারে: বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট
বাংলাদেশের সাফল্য থেকে অনেক দেশ শিক্ষা নিতে পারে: বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট

বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস।
বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন সাফল্য থেকে অনেক দেশ শিক্ষা নিতে পারে। রেকর্ড সময়ের মধ্যে দারিদ্র্য হ্রাস, নারীর ক্ষমতায়ন, দেশব্যাপী বিদ্যুতায়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ তার উদ্ভাবনী পদ্ধতির জন্য স্বতন্ত্র।
বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের অংশীদারত্বের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্বব্যাংকের সদর দপ্তরে স্থানীয় সময় সোমবার আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। বিশ্বব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি এ তথ্য জানা গেছে।
ডেভিড ম্যালপাস বলেন, বেসরকারি খাতকে আরও শক্তিশালী করতে, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি, করের ভিত্তি প্রসারিত, আর্থিক খাত শক্তিশালীকরণ এবং অর্থনৈতিক ও জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রতি বিশ্বব্যাংক তার সমর্থন অব্যাহত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের ৫০ বছরের অংশীদারত্বের স্মৃতিচারণ করেন। এই অংশীদারত্ব লক্ষ লক্ষ বাংলাদেশিকে দারিদ্র্য থেকে বের করে আনতে সাহায্য করেছে এবং দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নে সহায়তা করেছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশের মধ্যে একটি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালে যখন বাংলাদেশের জন্ম হয়, তখন অনেক উন্নয়ন বিশেষজ্ঞই দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে সন্দিহান ছিলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অঙ্কুরিত আকাঙ্ক্ষা ও আমাদের জনগণ বিশ্বকে দেখিয়েছে, দৃঢ় সংকল্পের মাধ্যমে কঠিন চ্যালেঞ্জকেও অতিক্রম করা সম্ভব।
তিনি বলেন, এই উন্নয়ন যাত্রা সহজ ছিল না। কিন্তু আমরা কখনো সাহস হারাইনি। বিগত ৫০ বছরে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে পাশে থেকেছে, আমাদের আকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন করেছে। ২০৪১ সাল নাগাদ বাংলাদেশ যাতে উচ্চ আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জন করতে পারে, সেজন্য আমরা বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে একত্রে কাজ করার আশা করছি।
বাংলাদেশ ১৯৭২ সালের আগস্টে বিশ্বব্যাংক গ্রুপের সদস্য হয়। একই বছরের নভেম্বরে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের জন্য প্রথম প্রকল্প অনুমোদন করে।
মন্তব্য করুন