নেত্রকোনার বারহাট্টায় বখাটের হামলায় নিহত স্কুলছাত্রী মুক্তি রানী বর্মণের পরিবারকে সান্ত্বনা দিয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা। শনিবার দুপুরে উপজেলার প্রেমনগর ছালিপুরা গ্রামে তাঁর বাড়িতে যান জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা। তাঁরা এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে ন্যায়বিচার পেতে সহায়তার এবং নিহত স্কুলছাত্রীর পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। একই সঙ্গে তাঁরা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য পুলিশের প্রতি আহ্বান জানান। এদিকে মুক্তি রানীর হত্যাকারীর বিচার দাবিতে প্রতিবাদ কর্মসূচি অব্যাহত আছে।

নেত্রকোনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামছুর রহমান লিটনের নেতৃত্বে সেখানে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যাপক ভজন সরকার, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি খায়রুল কবীর খোকন, সাধারণ সম্পাদক কাজী সাখাওয়াত হোসেন প্রমুখ।

বারহাট্টার প্রেমনগর ছালিপুরা গ্রামের স্কুলছাত্রী মুক্তি রানীকে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে উত্ত্যক্ত এবং প্রেম প্রস্তাবের কথা পরিবারে জানিয়ে দেওয়ায় তাঁকে হত্যার অভিযোগে গত ৩ এপ্রিল বখাটে কাউসার মিয়াকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। তার নামে বারহাট্টা থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। এতে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গাইবান্ধা প্রতিনিধি জানান, স্কুলছাত্রী মুক্তি রানীকে কুপিয়ে হত্যার প্রতিবাদে বখাটে কাউসারের দ্রুত বিচার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে গতকাল বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গাইবান্ধা শহরের গানাসাস মার্কেটের সামনে এ কর্মসূচি পালন করে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট ও সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম গাইবান্ধা জেলা শাখা।

মহিলা ফোরাম গাইবান্ধা শহর শাখার আহ্বায়ক ইসরাত জাহানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন, দারিয়াপুর হাজী ওসমান গনি ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক রেজা, মহিলা ফোরাম জেলা নেতা প্রতিমা রানী, বাসদ জেলা কমিটির সদস্য সচিব সুকুমার চন্দ্র মোদক, সদস্য পরিতোষ কুমার, বাসদ জেলা শাখার আহ্বায়ক গোলাম রব্বানী ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট জেলা নেতা জিহানুল হক জোহা প্রমুখ।