- আন্তর্জাতিক
- ছাত্র বিক্ষোভের জনপ্রিয়তা থেকে প্রধানমন্ত্রীর পথে পিটা
থাইল্যান্ডে নির্বাচন
ছাত্র বিক্ষোভের জনপ্রিয়তা থেকে প্রধানমন্ত্রীর পথে পিটা

থাইল্যান্ডে প্রায় এক দশক ধরে সেনাসমর্থিত রাজনৈতিক দলগুলো রাষ্ট্রক্ষমতায় রয়েছে। এবারের নির্বাচনে ভোটাররা সেনাসমর্থিত রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। বেছে নিয়েছেন অপেক্ষাকৃত তরুণদের। নির্বাচনের পর সোমবার নিজেদের বিজয়ী দাবি করে এমনটাই বলেছেন থাইল্যান্ডের গণতন্ত্রপন্থি মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি (এমএফপি)।
রাজধানী ব্যাংককে এমএফপির সদরদপ্তরে পিটা লিমজারোয়েনরাত সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, আমি পিটা লিমজারোয়েনরাত। আমি থাইল্যান্ডের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী। আমরা সরকার গড়তে প্রস্তুত রয়েছি। এ সময় ‘সবার প্রধানমন্ত্রী’ হওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তরুণ এ নেতা।
অন্য যে কোনো দলের তুলনায় ‘মুভ ফরওয়ার্ড’ পার্টি আসন এবং ভোট– দুটোই বেশি পেয়েছে। প্রাথমিক ফলে দেখা যাচ্ছে, সব প্রত্যাশাকে ছাড়িয়ে গিয়ে মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি থাই পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের ৫০০ আসনের মধ্যে ১৫১টিতে জয়লাভ করেছে।
যে দেশটিতে দীর্ঘ সময় ধরে সামরিক শাসন চলেছে, সে দেশে এই বিজয়কে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই।
এই সেন্টিমেন্ট পরিবর্তন হয়ে গেছে। এবং এটা হচ্ছে আসল সময়, ব্যাংককে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন পিটা। ব্যাংককে তাঁর দল ব্যাপক বিজয় পেয়েছে। এখানে ৩৩টি আসনের মধ্যে ৩২টি পেয়েছে ‘মুভ ফরওয়ার্ড’ পার্টি।
পিটা লিমজারোয়েনরাতের জন্ম থাইল্যান্ডের এক ধনী পরিবারে। রাজনীতির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল তাঁর পরিবারের। তাঁর বাবা ছিলেন থাইল্যান্ডের কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এবং তাঁর চাচা ছিলেন থাইল্যান্ডের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার ঘনিষ্ঠ সহযোগী। পিটা বলেছেন, রাজনীতিতে তিনি আগ্রহী হয়ে ওঠেন নিউজিল্যান্ডে স্কুলেছাত্র থাকাকালে। তিনি থাইল্যান্ডের থামাসাট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থশাস্ত্রে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। এর পর হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাবলিক পলিসিতে মাস্টার্স করেন। এমবিএ করেছেন ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি থেকে।
তবে তিনি কর্মজীবন শুরু করেছিলেন পিতার ব্যবসায় যোগ দিয়ে। পরে তিনি রাইড শেয়ারিং কোম্পানি গ্র্যাবের নির্বাহী পরিচালকও ছিলেন। বিয়ে করেছিলেন থাই অভিনেত্রী এবং মডেল চুটিমা টিনপানাটকে, পরে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। এখন তিনি তাঁর সাত বছর বয়সী মেয়ে পিপিমকে নিয়ে একাই থাকেন। থাইল্যান্ডে ২০২০ সালে প্রায় মাস খানেক ধরে ছাত্রদের নেতৃত্বে যে বিক্ষোভ হয়েছিল, তাতে নেতৃত্ব দিয়েছিল ‘মুভ ফরোয়ার্ড’ পার্টি। এবার নির্বাচনে ‘মুভ ফরোয়ার্ড’ প্রার্থীদের অনেকেই ছিলেন সেই আন্দোলনের নেতা। আর ২০২০ সালের সেই বিক্ষোভের মতো মুভ ফরোয়ার্ড পার্টির বিজয়েও বড় ভূমিকা রেখেছে তরুণ ও নিবেদিতপ্রাণ ভোটাররা। খবর বিবিসির।
মন্তব্য করুন