- আন্তর্জাতিক
- পুনর্বাসনের আগে উচ্ছেদ করা যাবে না
সংবাদ সম্মেলনে কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ীরা
পুনর্বাসনের আগে উচ্ছেদ করা যাবে না

সংবাদ সম্মেলনে কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ীরা। ছবি-সংগৃহীত
সারাদেশে প্রান্তিক কৃষক, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে কয়েকশ কোটি টাকা দাদন (ব্যবসার জন্য অগ্রিম টাকা দেওয়া) রয়েছে কারওয়ান বাজার পাকা আড়ত ভবনের ব্যবসায়ীদের। এ ছাড়া ক্রেতাদের কাছে বকেয়া ও ব্যাংকের ঋণ শত শত কোটি টাকা। এ পরিস্থিতিতে পুনর্বাসন না করে ভবনের ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ করা হলে তাঁরা বিশাল ক্ষতির মুখে পড়বেন। একই সঙ্গে কর্মহীন হয়ে পড়বেন শ্রমিক, ভ্যানচালক, কুলিসহ লাখ লাখ মানুষ।
গতকাল বুধবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন পাকা আড়ত ভবনের নিচতলা ও দ্বিতীয় তলার আড়ত মালিক ও ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলেন, সরকারের উন্নয়ন কাজকে ব্যবসায়ীরা স্বাগত জানান। ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় সিটি করপোরেশন উচ্ছেদ করতে এলে ব্যবসায়ীরা মার্কেটের সামনে অবস্থান নেবেন। ব্যবসায়ীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে বলেন, আমাদের রক্ষা করুন।
গত ১১ মে সিটি করপোরেশনের অঞ্চল-৫-এর একটি দল এই মার্কেটটি ‘পরিত্যক্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ’ উল্লেখ করে সিলগালা করতে এলে ব্যবসায়ীদের বাধার মুখে পড়েন তারা। তখন সিটি করপোরেশনের দলটি দুই সপ্তাহের সময় বেঁধে দেয় ব্যবসায়ীদের সরে যাওয়ার জন্য। আজ শেষ হচ্ছে বেঁধে দেওয়া সময়। এ উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন ব্যবসায়ীরা।
এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কারওয়ান বাজার কাঁচামাল আড়ত ব্যবসায়ী মালিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান চৌধুরী। তিনি বলেন, মার্কেটকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করার বিষয়ে স্পষ্ট কোনো প্রতিবেদন নেই সিটি করপোরেশনের। এ ভবনের দুটি ফ্লোরে ১৭৪টি আড়ত রয়েছে। কিন্তু উচ্ছেদের ব্যাপারে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কোনো আলোচনা করেনি করপোরেশন। কারওয়ান বাজারেই স্থায়ী ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন করতে হবে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন ৪৩টি মার্কেটের মধ্যে ২০টিকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। মার্কেটগুলোর মধ্যে কারওয়ান বাজার ১ নম্বর মার্কেট, ২ নম্বর মার্কেট, অস্থায়ী কাঁচা মার্কেট (কিচেন মার্কেট), কাঁচামালের আড়ত মার্কেট ভবনকে ‘অতি নাজুক’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ২০১৯ সালের ১ এপ্রিল মার্কেটগুলোকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। তবে এসব মার্কেটে এখনও কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। গত এপ্রিলে বঙ্গবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ‘পরিত্যক্ত’ এসব মার্কেট ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়।
সাইফুর রহমান বলেন, সাধারণত ভবনের মেয়াদ ৯০ থেকে ১০০ বছর থাকে। এ ভবন তৈরি হয়েছে ৩০ থেকে ৩২ বছর আগে। এটি ১০ তলা ভবন হওয়ার কথা ছিল। আপাতত দোতলা পর্যন্ত হয়েছে। তাহলে কীভাবে এ ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হয়?
মন্তব্য করুন