গত কয়েক দশকে ভারতে বাঘের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ৩ হাজার ১৬৭টিতে দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জঙ্গলে থাকা ৭৫ শতাংশ বাঘের বাসই এখন ভারতে। গত মাসে দেশটির বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্পের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর বাঘ বৃদ্ধির ফলে দেশটির কার্বন নিঃসরণ কমেছে বলে নতুন এক গবেষণায় প্রকাশ পেয়েছে। 

সাম্প্রতিক সময়ে নেচার ইকোলজি অ্যান্ড ইভোলিউশন জার্নালের নতুন গবেষণায় বাঘ সংরক্ষণ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মধ্যে একটি লিঙ্ক চিহ্নিত করেছে। ভারতের জঙ্গল, ম্যানগ্রোভ এবং তথাকথিত ‘শুষ্ক বনে’ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে বাঘ। এদের বাসস্থানগুলো খুব আলাদা মনে হতে পারে, তবে গাছপালার সঙ্গে বাঘ বৃদ্ধির প্রকৃতিক যোগসূত্র রয়েছে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।

নতুন গবেষণায় বলা হয়েছে, ভারতের বাঘ সংরক্ষণের জন্য যে কঠোর সুরক্ষা আইন নেওয়া হয়েছিল, তাতে বিপুল পরিমাণে বন রক্ষা পেয়েছে। অন্যথায় এসব বন উজাড় করে গাছ কেটে ফেলা হতো। বাঘ সুরক্ষা করতে গিয়ে বন রক্ষা পেয়েছে। ফলে ১ মিলিয়ন টন কার্বন নিঃসরণ কমেছে। ১ মিলিয়ন টন কার্বন নিঃসরণ অনেকের কাছে কম শোনাতে পারে, এ ছাড়া এটি জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে বিশাল ঢেউ ফেলবে না। কারণ, ভারত একাই প্রতিবছর প্রায় ২.৭ বিলিয়ন টন নির্গমন করে। তার পরও বাঘ সংরক্ষণ আশার আলো দেখাচ্ছে। 

ভারতে প্রজেক্ট টাইগার শুরু হয়েছিল ১৯৭৩ সালে। মাত্র ৯টি টাইগার রিজার্ভ ফরেস্ট নিয়ে শুরু হয় এই প্রকল্প। ৫০ বছর পর এখন টাইগার রিজার্ভের সংখ্যা হলো ৫৩। শক্তিশালী সংরক্ষণ ব্যবস্থাপনার ফলে প্রাণিকূলের সংখ্যা বেড়েছে।

২০২২ সালের বাঘশুমারি অনুযায়ী, পূর্ববর্তী শুমারি থেকে দেশটিতে বাঘের সংখ্যা প্রায় ২০০ বৃদ্ধি পেয়েছে। যদিও এর আগে ২০১৮ সালে করা বাঘশুমারিতে গত চার বছরের সময় অপেক্ষা বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধির হারে ধীরগতি ছিল। সূত্র : দ্য কনভেনশন