রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান তৃতীয় দশকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন। পাঁচ বছরের জন্য নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার মধ্য দিয়ে তুরস্কের নেতৃত্বে তৃতীয় দশকে পা রাখলেন তিনি। 

শনিবার বিকেলে শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করলেন ইসলামপন্থি এই তুর্কি নেতা। এরদোয়ানের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার সহধর্মিণী ড. রেবেকা সুলতানা। শনিবার আঙ্কারার গ্র্যান্ড ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে এ অনুষ্ঠানে যোগ দেন তারা। খবর রয়টার্স, এএফপি ও বাসস।

রাজধানী আঙ্কারায় জাতীয় সংসদে শপথ গ্রহণকালে এরদোয়ান বলেন, ‘আমি প্রেসিডেন্ট হিসেবে মহান তুর্কি জাতি ও ইতিহাসের সামনে আমার সম্মান ও সততার শপথ করছি। রাষ্ট্রের অস্তিত্ব ও স্বাধীনতা রক্ষা করার জন্য সংবিধান, আইনের শাসন, গণতন্ত্র, আতাতুর্কের নীতি ও সংস্কার এবং ধর্মনিরপেক্ষ প্রজাতন্ত্রের নীতি সমুন্নত রাখব।’ শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে স্পিকারের কাছ থেকে তিনি নতুন দায়িত্বে অধিষ্ঠিত হন।

শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে ৭৮টি দেশের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা যোগ দেন। প্রেসিডেন্সিয়াল কমপ্লেক্সে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে বিশ্বের ২১ জন রাষ্ট্রপ্রধান, ১৩ জন প্রধানমন্ত্রী, সেই সঙ্গে সংসদীয় ও মন্ত্রী পর্যায়ের প্রতিনিধি এবং তুরস্কের রাজ্য সংস্থা (ওটিএস), ন্যাটো, ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থাসহ (ওআইসি) অন্য আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরাও অংশ নেন। 

শপথ গ্রহণ শেষে আধুনিক তুরস্কের প্রতিষ্ঠাতা কামাল আতাতুর্কের কবর জিয়ারত করেন এবং পরে প্রেসিডেন্ট কমপ্লেক্সে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন এরদোয়ান। এর পর তুরস্কের সাবেক প্রেসিডেন্টদের বাসভবন ক্যানকায়া পালাকায় অতিথিদের সঙ্গে নৈশভোজে অংশ নেন তুর্কি নেতা। 

গত রোববার প্রেসিডেন্ট পদের দ্বিতীয় রাউন্ডের নির্বাচনে ৫২.১৮ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হন এরদোয়ান। দেশটির সুপ্রিম ইলেকশন কাউন্সিলের প্রকাশিত চূড়ান্ত ফল অনুযায়ী, তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কামাল কিলিচদারুগলু পেয়েছেন ৪৭.৮২ শতাংশ ভোট।

প্রেসিডেন্ট হিসেবে এটি এরদোয়ানের তৃতীয় দশক। ২০১৪ সালের আগে তিনি একাধিকবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। এ ছাড়া ১৯৯০ এর দশকে ইস্তাম্বুল শহরের মেয়র ছিলেন একে পার্টির এই নেতা।

দেশের অর্থনৈতিক সমস্যা মোকাবিলা করা এরদোগানের প্রধান চ্যালেঞ্জ হবে। কারণ, দেশটিতে মূল্যস্ফীতি পৌঁছেছে ৪৩.৭০ শতাংশে।

এইচকে/আরএইচ