- আন্তর্জাতিক
- কুড়িগ্রামে কারাবন্দির মৃত্যু, নির্যাতনের অভিযোগ পরিবারের
কুড়িগ্রামে কারাবন্দির মৃত্যু, নির্যাতনের অভিযোগ পরিবারের

কারাগারে মারা যাওয়া একরামুল হোসেন এরশাদ
একরামুল হোসেন এরশাদ জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের কামাত আঙ্গারীয়া গ্রামের শওকত আলীর ছেলে। আঘাতপ্রাপ্ত অবস্থায় গত ১ জুন ১৫১ ধারায় একরামুলকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। তার বিরুদ্ধে ৭টির বেশি মাদক মামলা ছিল।
মৃতের পরিবারের দাবি, আটকের সময় পুলিশ একরামুলের কাছে কিছু পায়নি। পুলিশ পরিবারের কাছে ২ লাখ টাকা দাবি করলে ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা হয়। এরপরও পুলিশ তাকে শারীরিক নির্যাতন করে। এ কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। মৃতের শরীরেও একাধিক ক্ষতের চিহ্ন পাওয়া গেছে বলেও দাবি করেছে পরিবারের সদস্যরা।
নিহতের স্ত্রী আদুরী বেগম জানান, গত ৩১মে বাড়ির পাশ থেকে একরামুলকে আটক করে ভূরুঙ্গামারী থানা পুলিশ।
আটকের পর একরামুলকে মারপিট করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন তার স্ত্রী। তিনি জানান, মারধরে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে পুলিশ। এর পরদিন অসুস্থ অবস্থায় তাকে আদালতে নেওয়া হয়।
একরামুলের বড় বোন শিউলি বলেন, ‘পুলিশ এসে আমার ভাইকে পেটাতে পেটাতে নিয়ে গেছে। আমার ভাইয়ের কাছে কোনো কিছু পায় নাই। থানায় নিয়ে গিয়ে আবার পিটিয়েছে। আমার ভাই তর্ক করেছে বলে তার জীবন নষ্ট করে দিতে চেয়েছে। আমার ভাইকে মারধর করার কারণে সে মারা গেছে। আমরা এর বিচার চাই।’
ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘একরামুলকে আটকের সময় সে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে। এ সময় সে পড়ে গিয়ে আঘাত পায়। এজন্য তাকে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে তাকে ১৫১ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল।’
এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারের জেলার আবু ছায়েম বলেন, ‘ওই আসামিকে হাসপাতালের কাগজসহ (চিকিৎসাপত্র) কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। আমরা তাকে কারা হাসপাতালে রেখেছিলাম। শনিবার দুপুরে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম বলেন, ‘একরামুল একাধিক মামলির আসামি ছিলেন। পুলিশের মারধরে মৃত্যুর অভিযোগটি সঠিক নয়। হিট স্ট্রোকে তার মৃত্যু হতে পারে।’
মন্তব্য করুন