ভারতে ২০তম টেলিসিনে অ্যাওয়ার্ডসে আজীবন সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন বাংলাদেশের নন্দিত অভিনেতা আফজাল হোসেন। গত রোববার কলকাতার নজরুল মঞ্চে এক আড়ম্বরপূর্ণ আয়োজনের মাধ্যমে এ পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

এ ছাড়া কলকাতার একাধিক তারকার পাশাপাশি এ আয়োজনে বাংলাদেশের ছয় শিল্পীকে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।

এবারের আসরে সেরা অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী ও অভিনেত্রী হয়েছেন বিদ্যা সিনহা মিম। সেরা গায়িকা ও গায়কের পুরস্কার পেয়েছেন যথাক্রমে সামিনা চৌধুরী ও বাপ্পা মজুমদার। একই আয়োজনে বিশেষ পুরস্কার পেয়েছেন বাপ্পী চৌধুরী।

আজীবন সম্মাননা প্রাপ্তি প্রসঙ্গে আফজাল হোসেন বলেন, ‘যে কোনো সম্মাননা কাজের আনন্দকে বাড়িয়ে দেয়। টেলিসিনে অ্যাওয়ার্ডসে আজীবন সম্মাননা পেয়ে ভালো লাগছে। কলকাতার সিনেমা, নাটক, সাহিত্য সবই আমরা দেখি, পড়ি। কিন্তু আমাদের নাটক, সিনেমা, সাহিত্য সেভাবে কলকাতায় পৌঁছায় না। বর্তমানে ওটিটি প্ল্যাটফর্মের কারণে কলকাতার দর্শক নাটক দেখছেন এবং আমাদের শিল্পীদের ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। আমাদের কাজের জায়গার ব্যাপ্তি যদি কলকাতায় বাড়ত, তাহলে ঢাকার শিল্পীরা সেখানে বেশি বেশি কাজের সুযোগ পেতেন; যেহেতু আমাদের ভাষা একই। একটি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে দুই বাংলার শিল্পীদের দেখা হয়, কথা হয়, ভাবের আদান-প্রদান হয়, সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটে– এটা ভালো লাগার।’ তৃতীয় বারের মতো টেলিসিনে অ্যাওয়ার্ডস পাওয়া উচ্ছ্বসিত চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘দেবী’, ‘আয়নাবাজি’ ও ‘হাওয়া’ সিনেমার জন্য এ পুরস্কার পেয়েছি। এ সম্মাননা ভালো কাজের দায়িত্ব বাড়িয়ে দিয়েছে।

এ ছাড়া বিভিন্ন কাট্যাগরিতে পুরস্কার পান দীপংকর দে, ইমন চক্রবর্তী, অনুপম রায়, গার্গি রায় চৌধুরী, খরাজ মুখার্জি, অঙ্কুশ হাজরাসহ পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় শিল্পীরা। সেরা চলচ্চিত্র হয়েছে ‘অপরাজিত’, ওটিটিতে সেরা হয়েছে ‘ইন্দুবালা ভাতের হোটেল’।

টেলিসিনে অ্যাওয়ার্ডসের পাওয়ার্ড বাই পার্টনার ছিল চ্যানেল আইয়ের ওটিটি প্ল্যাটফর্ম আইস্ক্রিন। প্রসঙ্গত, গত বছর একই মঞ্চে ‘আজীবন সম্মাননা’ পুরস্কারে ভূষিত হন তারকা দম্পতি রুনা লায়না ও আলমগীর।