ভারতের উড়িষ্যা রাজ্যে গত শুক্রবার ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার পর পাঁচ দিন কেটে গেছে। এ দুর্ঘটনায় ২৭৫ জন নিহত হয়েছেন। তবে তাঁদের মধ্যে প্রায় ১০০টি মরদেহের পরিচয় এখনও মিলেনি। আহত হয়েছেন ১ হাজার ১০০ জন। তাঁদের মধ্যে এখনও প্রায় ২০০ জন উড়িষ্যার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ইস্টার্ন সেন্ট্রাল রেলওয়ের আঞ্চলিক রেল ব্যবস্থাপক রিঙ্কেশ রায় বার্তা সংস্থা এএনআইকে এমনটা বলেছেন। খবর এনডিটিভি ও বিবিসির।

 শুক্রবার রাতে ভারতের পূর্বাঞ্চলের উড়িষ্যা রাজ্যের বালাশোর এলাকায় তিনটি ট্রেনের সংঘর্ষ হয়। এর মধ্যে দুটি যাত্রীবাহী ও একটি মালবাহী। এ দুর্ঘটনায় আহতদের অনেকে তাঁর প্রিয় মানুষকে খুঁজে ফিরছেন। দুর্ঘটনাটিকে ২০ বছরের বেশি সময়ের মধ্যে ভয়াবহ বলা হচ্ছে। বিভিন্ন খবরে বলা হয়, যাত্রীবাহী ট্রেন দুটি যাত্রীতে পূর্ণ ছিল। এগুলোতে তিন হাজারের বেশি যাত্রী ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।

নিখোঁজদের সন্ধানে স্বজনরা উড়িষ্যা ও অন্যান্য রাজ্যের হাসপাতালে হন্যে হয়ে ঘুরছেন। অন্যদিকে অনেক মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়ছে। বালাশোর জেলা হাসপাতালের দেয়ালে এ দুর্ঘটনায় নিহত অনেকের ছবি ঝুলছে। এর মধ্যে দুই কিশোরের ছবিও রয়েছে। যদিও তাদের মুখমণ্ডল থেঁতলে গেছে। এসব ছবির মানুষের স্বজনরা যাতে শনাক্ত করতে পারেন, সেজন্যই এ ব্যবস্থা।

এদিকে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা ‘নাশকতার’ কারণেও ঘটে থাকতে পারে, ভারতীয় রেলওয়ের এমন ইঙ্গিতের পর দুর্ঘটনাটি তদন্তের দায়িত্ব নিয়েছে দেশটির সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই)। মঙ্গলবার সিবিআইয়ের টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে এলাকাটি খতিয়ে দেখেছে। এদিন তারা উড়িষ্যা পুলিশের কাছ থেকে তদন্তের দায়িত্ব বুঝে নেয়। উড়িষ্যা পুলিশ ‘অবহেলাজনিত মৃত্যু ও মানুষের জীবন বিপন্ন করার’ অভিযোগে মামলা করেছে।

এ ছাড়া এ ঘটনায় সুষ্ঠ তদন্ত চেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। গতকাল উড়িষ্যার ভুবনেশ্বরের এইমস এবং কটক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান তিনি। সেখানে চিকিৎসাধীন রোগীদের খোঁজ খবর নেন মমতা।