বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহ তার নির্বাচনী ইশতেহারে বরিশালকে একটি উন্নত নগরীতে পরিণত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, বিজয়ী হলে নাগরিকদের উন্নয়নবঞ্চনার অবসান ঘটাবেন। জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য ওয়ার্ডভিত্তিক ‘জনতার মুখোমুখি মেয়র’ শীর্ষক মতবিনিময় সভা করবেন। 

১২ জুনের নির্বাচনকে সামনে রেখে বুধবার নগরীর একটি কনভেশন হলে ঘোষিত ইশতেহারে তিনি ৩৫টি উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দেন।

ইশতেহার ঘোষণা পর আবুল খায়েরকে সাংবাদিককরা প্রশ্ন করেন, এত বড় বড় উন্নয়ন প্রকল্প তিনি বাস্তবায়ন করতে পারবেন কিনা? জবাবে আবুল খায়ের বলেন, ‘আমি যতটুকু পারব, ততটুকুই বলি। আমার আত্মবিশ্বাস থেকেই বলি।’

আবুল খায়ের নির্বাচনী প্রচারের শুরু থেকে ভোটারদের বলে আসছেন, তিনি নাগরিকদের সম্মানিত করবেন। ভবনের প্ল্যান নির্মাণে অনিয়ম দূর করে দ্রুত সময়ে অনুমোদনের ব্যবস্থা করবেন। হোল্ডিং ট্যাক্স হবে সহনীয়।

ইশতারে উল্লেখিত বিষয়গুলো প্রথম তিনের মধ্যে স্থান পেয়েছে। এক নম্বরেই উলেস্নখ করেছেন, নগর পরিকল্পনাবিদ, স্থপতি ও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে জনবান্ধব বরিশাল গড়তে উন্নয়নের মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। সবশেষে তিনি বলেছেন, বরিশালকে শিল্প, বাণিজ্য, পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলা হবে।

আবুল খায়েরের উল্লেখযোগ্য অন্য প্রতিশ্রুতির মধ্যে রয়েছে ড্রেনেজব্যবস্থা সংস্কারসহ নতুন ড্রেনেজ নির্মাণ, খাল খননে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ, সিটি করপোরেশনের বর্ধিত এলাকায় সড়ক, পানি ও বিদ্যুৎ সমস্যা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সমাধান, নাগরিক সেবায় ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করা, নাগরিক অভিযোগ গ্রহণ ও তদারকিতে ‘সবার বরিশাল’ নামের অ্যাপ চালু, ময়লা আবর্জনা যথাসময়ে অপসারণ, মশক নিধন, পানি সরবরাহ লাইনচার্জ সহনীয় করা এবং নগরীকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা।

এ ছাড়া আইটি নগরী প্রতিষ্ঠাসহ ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, ইউএনডিপির অর্থায়নে সিডিসি কার্যক্রম পুনরায় চালু, মুক্তিযোদ্ধা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নামে নগরীর সড়কের নামকরণ এবং নগরীতে একাধিক বিনোদন কেন্দ্র ও পার্ক স্থাপনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে আওয়ামী লীগের মনোনীত এই মেয়র প্রার্থী।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আবুল খায়েরের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট আফজালুল করীম, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য কেবিএস আহমেদুল কবীর, লস্কর নুরুল হক, আনিছ উদ্দিন শহীদ, মাহমুদুল হক খান মামুন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম পোদ্দার, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান রিন্টু, জাসদ নেতা মো. মহসিন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসাহাক আলী খান পান্না, জেপি নেতা জাকির হোসেন প্রমুখ।