- আন্তর্জাতিক
- অন্তর্কোন্দলে মেয়র পদে হারতে পারে আ’লীগ
বরিশাল সিটি নির্বাচন নিয়ে সুজনের বিশ্লেষণ
অন্তর্কোন্দলে মেয়র পদে হারতে পারে আ’লীগ

বরিশাল সিটি নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের মধ্যে অন্তর্কোন্দল রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি সহিংস ঘটনাও ঘটেছে। গাজীপুরে ক্ষমতাসীন দলের কোন্দলের কারণে অনভিজ্ঞ ব্যক্তি মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। বরিশালে দলটির অন্তর্কোন্দল নিরসন না হলে অন্য দলের প্রার্থী মেয়র নির্বাচিত হতে পারেন।
সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজনের এক বিশ্লেষণে এসব তথ্য উঠে এসেছে। বুধবার নগরীর কীর্তনখোলা মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের তথ্য উপস্থাপন করার সময় সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক দিলীপ কুমার সরকার ওই ব্যাখ্যা দেন।
তিনি বলেন, গাজীপুরে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। বরিশালেও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে বলে সুজন আশাবাদী। বরিশালে স্বল্পশিক্ষিত প্রার্থীর সংখ্যা আগের নির্বাচনের (২০১৮) চেয়ে কমেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই প্রবণতা ইতিবাচক। প্রার্থীরা সম্পদের যে তথ্য দিয়েছেন, তা পুরোপুরি সঠিক নয়।
সুজনের বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থী ৬২ শতাংশই ব্যবসায়ী হওয়ায় নির্বাচনে অর্থের অপব্যবহারের শঙ্কা রয়েছে। মেয়র পদে সাত প্রার্থীর মধ্যে পাঁচজনই ব্যবসায়ী।
নির্বাচন কমিশনে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের দেওয়া হলফনামার তথ্য বিশ্লেষণে সুজন জানিয়েছে, সাত মেয়র প্রার্থীর মধ্যে এসএসসি পাস করতে পারেননি দু’জন। তাঁরা হলেন- আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহ (খোকন সেরনিয়াবাত) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আলী হোসেন হাওলাদার। সর্বোচ্চ ডিগ্রিধারী (স্নাতকোত্তর) ২ জন। তাঁরা হলেন- স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আহসান রূপন ও ইসলামী আন্দোলনের ফয়জুল করীম। অপর ৩ প্রার্থী জাতীয় পার্টির ইকবাল হোসেন তাপস, জাকের পার্টির মিজানুর রহমান ও স্বতন্ত্র আসাদুজ্জামান এইচএসসি পাস।
হলফনামার তথ্য বিশ্লেষণে বলা হয়, ৩০টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১১৮ কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ২৭ জন মাধ্যমিকের গণ্ডি পার হতে পারেননি। তাঁদের মধ্যে এসএসসি পাস ২৩ জন, এইচএসসি পাস ২৯ জন এবং স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী যথাক্রমে ১৯ ও ২০ জন। সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৪২ জন কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে মাত্র ২ জন স্নাতকোত্তর পাস। মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরোতে পারেননি ২০ জন। স্নাতক পাস করেছেন ১২ জন। এ ছাড়া ২ জন এইচএসসি ও ৬ জন এসএসসি পাস। ৪২ জন প্রার্থীর মধ্যে ২৮ জন গৃহিণী। মেয়র, সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে ২১ ভাগ বর্তমানে বিভিন্ন মামলার আসামি এবং ৩৪ ভাগ অতীতে আসামি ছিলেন।
/এসআর/
মন্তব্য করুন