- আন্তর্জাতিক
- আ’লীগের দু’পক্ষে সংঘর্ষ: ধরা পড়েনি অস্ত্রধারীদের কেউ
আ’লীগের দু’পক্ষে সংঘর্ষ: ধরা পড়েনি অস্ত্রধারীদের কেউ
মামলা করেনি কোনো পক্ষ

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে দুই যুবককে হেলমেট পরে গুলি চালাতে দেখা যায়। ছবি- ভিডিও থেকে নেওয়ায়
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় এখনও কেউ আটক হয়নি। সংঘর্ষ চলাকালে একাধিক ব্যক্তিকে গুলি চালাতে দেখা যায়। অস্ত্র হাতে সড়কে মহড়া দিতেও দেখা যায় কয়েকজনকে। সংঘর্ষের ঘটনার ছবি ও ভিডি ফুটেজে পাঁচ অস্ত্রধারীর চেহারা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে।
পুলিশ বলছে, তাদের শনাক্ত করা যায়নি। ছবি-ভিডিও দেখে শনাক্তের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত মামলাও করেনি কোনো পক্ষ।
মঙ্গলবার উপজেলা সদরে কুমিল্লা-১১ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মুজিবুল হক ও চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার সাবেক মেয়র মিজানুর রহমানের অনুসারীদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষ হয়। এতে পুলিশসহ অন্তত ২০ জন আহত হন। এর মধ্যে গুলিবিদ্ধ চৌদ্দগ্রাম বাজারের ব্যবসারী জুয়েলের মঙ্গলবার রাতে জেলা সদরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচার হয়েছে বলে জানা গেছে।
দুটি গ্রুপে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলাকালে কয়েক যুবককে অস্ত্র হাতে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। কিছু ভিডিওতে এসব চিত্র ধরা পড়েছে। এক ভিডিওতে দেখা যায়, বাজারের ফুট ওভারব্রিজের নিচে হেলমেট পরা দুই যুবক গুলি চালাচ্ছেন। আরেকটি ছবিতে দেখা যায়, গেঞ্জি পরা এক যুবক রাইফেল হাতে বাজারের রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন। এ ছাড়া একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের লাইভ সম্প্রচারে এক যুবককে রিভলবারে গুলি ভরতে দেখা যায়। স্থানীয় একাধিক সূত্র বলছে, হেলমেট পরে কয়েক যুবক গুলি চালিয়েছেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র মিজানুর রহমান বলেন, সংঘর্ষ চলাকালে যুবলীগ কর্মী সোহেল, ছাত্রলীগ কর্মী রিয়াজ, রাজু, মাসুদ ও প্রভাতের হাতে অস্ত্র ছিল। এর মধ্যে সোহেল হেলমেট পরে প্রকাশ্যে গুলি চালিয়েছেন। ভিডিওতে তাঁকে স্পষ্ট দেখা গেছে। এ সময় তাঁর সঙ্গে আরও একজন গুলি চালিয়েছেন। তাঁকে শনাক্ত করা যায়নি। অন্যরা গুলি চালালেও তাঁদের ছবি ও ভিডিও নেই।
তিনি আরও বলেন, আমরা আওয়ামী লীগ করেও এখন নিরীহ। স্থানীয় এমপি সঙ্গে নেই। এমপিই প্রতিপক্ষ। তাই ছাত্রলীগ ও যুবলীগ আমার লোকজনের ওপর গুলি চালিয়ে রক্তাক্ত করেছে। আমার কোনো লোক গুলি চালালে তাদেরও যেন গ্রেপ্তার করা হয়। গুলিতে ব্যবসায়ীসহ তাঁর কয়েকজন লোক আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় তিনি থানায় মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন।
এদিকে মুজিবুল হক এমপির অনুসারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রহমত উল্লাহ বাবুল বলেন, আমাদের কোনো নেতাকর্মী গুলি চালায়নি। এসব কাজ মিজানুরের লোকজন করতে পারে। কারা গুলি চালিয়েছে, তা পুলিশ ও গোয়েন্দারা ইচ্ছা করলে বের করে গ্রেপ্তার করতে পারে।
চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি শুভ রঞ্জন চাকমা বলেন, যাঁরা সংঘর্ষ চলাকালে অস্ত্র ব্যবহার করেছেন, তাঁদের পরিচয় নিয়ে একেকজন একেক কথা বলছেন। নিশ্চিত না হয়ে তো কারও নাম প্রকাশ কিংবা আটক করা যাচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন মাধ্যমে পুলিশের কাছে কিছু ছবি ও ভিডিও ফুটেজ এসেছে। অস্ত্রধারীদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
মন্তব্য করুন