- আন্তর্জাতিক
- মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রথম দিনই খুন কংগ্রেসকর্মী
পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচন
মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রথম দিনই খুন কংগ্রেসকর্মী

ছবি: সমকাল
ব্যতিক্রম হলো না ২০২৩ সালের ভারতের পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচন। বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে প্রাথীদের মনোনয়ন জমা। নির্বাচন প্রক্রিয়ার প্রথম দিনেই খুন হলেন এক কংগ্রেসকর্মী।
শুক্রবার সন্ধ্যায় মুর্শিদাবাদের কান্দির খড়গ্রামে খুন হন এক কংগ্রেসকর্মী ফুলচাঁদ শেখ (৪২)। পেশায় তিনি ছিলেন পরিযায়ী শ্রমিক। কেরালায় থাকতেন ফুলচাঁদ। দিনকয়েক আগে বাড়ি এসেছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বাড়ির সামনে শুক্রবার শিশু সন্তানকে কোলে নিয়ে বসে ছিলেন ফুলচাঁদ। সেখানে আচমকা মোটরবাইকে চার দুর্বৃত্ত এসে হম্বিতম্বি শুরু করে। সেই সময় ফুলচাঁদ তাদের বলেন, ঝামেলা না করতে। সঙ্গে সঙ্গে কোলের শিশুকে দূরে ছুড়ে ফেলে দেয় দুর্বৃত্তরা। পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে পরপর ছয়টি গুলি করা হয় তাঁকে। রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হলে কিছুক্ষণ পর সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতিরাই খুন করেছে ফুলচাঁদকে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল।
এদিকে মনোনয়ন জমা করাকে কেন্দ্র করেও ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় মুর্শিদাবাদ জেলারই রানীনগরে। অভিযোগ উঠেছে, শুক্রবার রানীনগর ১ নম্বর ব্লকের সিপিআইএম কর্মীরা ইসলামপুর বিডিও অফিসে মনোনয়ন জমা করতে এলে তৃণমূলের কর্মীরা বাধা দেন। আর তারপরই তৃণমূল কর্মীদের রীতিমতো লাঠি নিয়ে তাড়া করেন সিপিআইএম কর্মীরা। বিডিও অফিসের সামনে তৃণমূল কর্মীদের অস্থায়ী ছাউনি ভেঙে দেওয়া হয়। বেশ কিছু মোটরসাইকেল, টেবিল ও চেয়ার ভাঙচুর করা হয় বলেও অভিযোগ। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। ঘটনায় দুই পক্ষের সবমিলিয়ে আহত হন প্রায় ১৪ জন। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
মুর্শিদাবাদ জেলা বরাবরই রাজনৈতিক সংঘাতপ্রবণ। ২০০৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে মুর্শিদাবাদের ডোমকলে রাজনৈতিক সংঘর্ষে নিহত হন ২৩ জন। ২০১৮ সালে শেষ পঞ্চায়েত নির্বাচনে রক্তস্নান দেখছিল বাংলা। নির্বাচনের আগে নির্বাচনপরবর্তী সহিংসতায় খুন হয়েছিলেন শাসক ও বিরোধী দলের শতাধিক নেতাকর্মী। এমন অবস্থায় রক্তপাতহীন শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে সরব হয়েছে বিরোধীরা।
বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘রক্তপাতহীন নির্বাচন সম্ভব নয় এই পুলিশকে দিয়ে, সেকারণেই কেন্দ্রীয় বাহিনী বলেছিলাম। মনোনয়ন পেশের ৭ দিন আগে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের প্রয়োজন ছিল। মৃত্যু দিয়ে শুরু হল একটা নির্বাচন। এর থেকে দুর্ভাগ্যের আর কী হতে পারে!’
/ওয়াইএ/
মন্তব্য করুন