- আন্তর্জাতিক
- উড়ন্ত ট্যাক্সি ভলোকপ্টার
উড়ন্ত ট্যাক্সি ভলোকপ্টার

উড়ন্ত ট্যাক্সি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই গবেষণা চলছিল। এবার তা বাস্তবে রূপ পেতে চলেছে। জার্মানির ব্রুচসালে বিমান প্রস্তুতকারক আলেকজান্ডার জোসেল ও স্টেফান উলফ গড়ে তুলেছেন এমনই একটি কোম্পানি ‘ভলোকপ্টার’। কোম্পানিটি উড়ন্ত ট্যাক্সি হিসেবে ব্যবহারের জন্য বিশেষায়িত হেলিকপ্টার নির্মাণ করছে
ভলোকপ্টারের ওয়েবসাইটে বলা হয়, পরিবহনের একটি নতুন স্তর হিসেবে বিশ্বের মেগাসিটিগুলোয় তারা এ সেবা দিতে যাচ্ছে। যানজটপূর্ণ শহরে তাদের এ সেবা ভবিষ্যতের পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজ করবে। যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে তাদের এ সেবা গ্রহণ করা যাবে।
ভলোকপ্টার উড়লে কোনো ধোঁয়া বা বাতাস দূষিত হয় না। অন্য বিমানের থেকে ১৮ গুণ কম শব্দ করে। প্রাথমিকভাবে জার্মানির রুখজাল শহরে চলছে এটি। সব ঠিকঠাক থাকলে বছরে ৫০টি ভলোকপ্টার তৈরি করবে কোম্পানিটি।
হেলিকপ্টারের থেকে অনেক সহজ এটি উড়ানো। পুরো পরিচালন ব্যবস্থা ডিজিটাল বলে তা হেলিকপ্টারের মতো জটিল নয়। ফলে এগোতে গেলে একটি স্টিক সামনে-পেছনে নেওয়াই যথেষ্ট। যেদিকে বাঁক নিতে হবে সেদিকে স্টিক ঘোরালেই চলবে।
ভলোকপ্টারের প্রধান ডার্ক হোক বলেন, ‘প্যারিস অলিম্পিকে অল্প দাম দিয়ে এই ট্যাক্সিতে মানুষ চড়তে দেখতে চাই। প্যারিসে শুরু করে আমরা ২০২৪ সালে রোমে যাব। তার পরের বছর সিঙ্গাপুরে। ২০২৫ সালে আমরা আন্তর্জাতিক মহলে পৌঁছাতে চাই। যেখানে আমরা সৌদি আরবের নিওমেও থাকব। সবচেয়ে বড় কথা, জাপানের ওয়াসাকা ওয়ার্ল্ড এক্সপোতেও থাকব।’
এই পরিকল্পনা অনেক বড় কিন্তু এর বাস্তবায়ন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ঠিক যেমনটা উঠেছে সৌদির নিওম প্রকল্পে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ। পরিবেশবান্ধব যানবাহনের চাহিদা বর্তমান বিশ্বে আকাশছোঁয়া। ডার্ক হোন চান এই পরিবেশবান্ধব যাত্রাকে সাশ্রয়ী করে সবার কাছে পৌঁছাতে। এখন পুরো কাজটি হাতে করতে হয় বলে এর দাম বেশি। তবে গণহারে এর প্রস্তুতি শুরু হলে কারখানায় বছরে ৫০টি ভলোকপ্টার বানাতে পারব আমরা। প্রস্তুতিসহ সবকিছু ঠিক থাকলে এই কপ্টারের খরচ বেশ খানিকটা কমিয়ে আনা সম্ভব। ফলে এর টিকিটের দামও সবার সাধ্যের মধ্যে আসবে বলে ধারণা ডার্ক হোকের।
সাধারণ বিমানের নিরাপত্তা নিয়মগুলো ভলোকপ্টারেও প্রযোজ্য। কয়েক কোটি ঘণ্টা উড়লেও মাত্র একটি দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকতে পারে এতে।
মন্তব্য করুন