ঢাকা সোমবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩

ফেলে যাওয়া শিশু ঠাঁই পাবে ‘পালনা’য়

ফেলে যাওয়া শিশু ঠাঁই পাবে ‘পালনা’য়

সদ্যোজাত সন্তান বাড়ি নিতে না চাইলে পালনায় রেখে যাওয়া যাবে।

কলকাতা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০২৩ | ১২:৫৫ | আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০২৩ | ১২:৫৫

প্রেমিকের সঙ্গে সম্পর্কের পর শিশু জন্ম দিয়েছিলেন রুকসানা (নাম পরিবর্তিত)। সামাজিক চক্ষু লজ্জার ভয়ে রাতের অন্ধকারে সেই সন্তানকে রাস্তার পাশে ফেলে পালিয়েছিলেন। ভেবেছিলেন কেউ কুড়িয়ে দায়িত্ব নেবেন নাড়িছেঁড়া ধনের। কিন্তু পরের দিনই খবর পান রাস্তার কুকুরে ছিঁড়ে খেয়েছে তার সদ্যজাত সন্তানকে। এই মর্মান্তিক ঘটনার পরে কুমারী ওই মা সন্তানের মৃত্যুর দায় নিয়ে থানায় আত্মসমর্পণ করতে যান। 

প্রায় ১১ বছর আগে ভারতের উত্তরপ্রদেশের এই ঘটনা একটা উদাহরণমাত্র। সমাজে এমন ঘটনা ঘটে চলেছে প্রতিনিয়ত। মূলত ভ্রূণ হত্যা কিংবা সদ্যোজাতের অসহায় মৃত্যু রুখতেই জেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে এল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। যত্রতত্র সদ্যজাতকে ফেলে দেওয়া আটকাতে চালু করা হলো প্রজেক্ট ‘পালনা’।

পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় গত পাঁচ মাসে চার শিশুকে ডাস্টবিন থেকে উদ্ধার করেছে জেলা প্রশাসন। এই জেলা থেকেই প্রাথমিকভাবে শুরু হলো এই প্রজেক্ট। জেলায় চারটি পালনা কেন্দ্র স্থাপন করেছে জেলা প্রশাসন। মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঘাটাল, খড়গপুর মহকুমা হাসপাতাল ও চন্দ্রকোনা হাসপাতালে পালনা কক্ষগুলো রাখা থাকবে বলে জানা গেছে। সদ্যোজাত সন্তান বাড়ি নিয়ে যেতে না চাইলে ওখানে রেখে যেতে পারেন অভিভাবকরা। 

পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা শাসক খুরশিদ আলি কাদরি বলেন, ‘গত এক মাসে জেলায় চারটি শিশু উদ্ধার হয়েছে ডাস্টবিন ও জঙ্গল থেকে। সেই কথা মাথায় রেখে পালনা প্রকল্প করা হয়েছে।’ 

পশ্চিম মেদিনীপুরের পর পুরো রাজ্যের সব সরকারি হাসপাতালেই পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে চালু করা হবে পালনার।

আরও পড়ুন