ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪

কোচবিহারে একই দিনে পরস্পরকে আক্রমণ মোদি ও মমতার

কোচবিহারে একই দিনে পরস্পরকে আক্রমণ মোদি ও মমতার

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও নরেন্দ্র মোদি। ছবি: সংগৃহীত

কলকাতা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | ০৫:২৯

ভারতে লোকসভা নির্বাচনের আবহে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারের মাত্র ৩০ কিলোমিটার ব্যবধানে পাল্টাপাল্টি হাইভোল্টেজ জনসভা করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বৃহস্পতিবার মাথাভাঙ্গা ও রাসমেলা ময়দানের দুই সভা থেকেই ধেয়ে আসে পাল্টাপাল্টি আক্রমণ। জনসভা থেকে মোদির উদ্দেশে মমতার প্রশ্ন, প্রধানমন্ত্রী আত্মপ্রচারে ব্যস্ত কেন? পাল্টা হুংকার ছুড়ে মোদি বলেন, ১০ বছরে যা হলো সেটা ট্রেলার, আরও অনেক বাকি।

প্রধানমন্ত্রী হাতিয়ার করেছেন তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতি এবং সন্দেশখালীতে নারী নির্যাতনের অভিযোগকে। তিনি বলেন, তৃণমূলের মন্ত্রীদের ঘর থেকে নোটের পাহাড় মিলেছে। এরা সবাই মিলে অপরাধীদের বাঁচাতে চান।

মোদি দাবি করেন, তিনি জনতার সামান্য সেবক। তাঁর উদ্দেশ্য সঠিক, তাই পরিণাম সফল। তিনি জানান, উদ্দেশ্য সঠিক ছিল বলেই কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বাতিল করতে পেরেছেন। উদ্দেশ্য সঠিক ছিল বলেই সংসদে মহিলাদের জন্য সংরক্ষণ চালু করতে পেরেছেন। উদ্দেশ্য সঠিক ছিল বলেই ৫০০ বছরের সংগ্রামের ফসল রামমন্দির তৈরি হয়েছে। এর পরই প্রধানমন্ত্রীর দৃপ্ত ঘোষণা, এই ১০ বছরে যা যা হয়েছে, সবটাই ট্রেলার। আমাকে আরও অনেক কাজ করতে হবে। দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। বাংলাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) প্রসঙ্গে মোদি বলেন, আমরা চাই বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য সহজ হোক। সেখানে আসা-যাওয়া সহজ হোক। তার জন্য আমরা নিরন্তর কাজ করছি। কিন্তু টিমসি, বাম আর ইন্ডি (ইন্ডিয়া) জোট অপপ্রচার করছে।

অন্যদিকে জনসভায় বক্তব্যের শুরুতেই কেন্দ্রের সরকার ও প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করেন মমতা। তাঁর কথায়, ‘নির্বাচন এলেই ভাঁওতা দেওয়া বেড়ে যায়। আজকে আসবেন। দেখবেন, কত কুমিরের অশ্রু ঝরবে, কত কাঁদবেন। যেদিন থেকে কেন্দ্রে ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি, সেদিন থেকে বাংলার ওপর অত্যাচার করছে। বাংলার সব প্রাপ্য টাকা আটকে রেখেছে। তাদের লক্ষ্য, বিজেপিকে ভোট দাও, এজেন্সি থেকে মুক্তি পাও। আপনাদের বলছি, এজেন্সির সামনে মাথা নোয়াবেন না। কেউটে সাপকে বিশ্বাস করতে পারেন, বিজেপিকে করবেন না।’

এদিনও মমতা দাবি করেন, সিএএ হলে পরবর্তী পদক্ষেপ হবে এনআরসি। তিনি বলেন, ‘কেউ ভয় পাবেন না। আমি জমিদার নই, দিল্লি থেকে এসে রাজনীতি করি না। আমি আপনাদের মাটির লোক।’ তিনি ফের সবাইকে আশ্বস্ত করে জানান, বাংলায় এনআরসি, সিএএ করতে দেবেন না।

আগামী ১৯ এপ্রিল ভারতে প্রথম দফার লোকসভা নির্বাচনে অনুষ্ঠিত হবে। ওই দিন পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার আসনে হবে ভোটগ্রহণ। তার আগে এই তিন আসনে জমে উঠেছে ভোটের প্রচার।


 

whatsapp follow image

আরও পড়ুন

×