জার্মানিতে নির্বাচন
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর অতি ডানদের বড় জয়
এএফডি চেয়ারম্যান বিয়র্ন হখে। ছবি: সংগৃহীত
সমকাল ডেস্ক
প্রকাশ: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ০৩:২০
পূর্ব জার্মানিতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রথমবার অতি ডানদের বড় উত্থান হয়েছে। সেখানে টুরিঙ্গিয়া রাজ্যে জয়ী হয়েছে ডানপন্থি দল অল্টানেটিভ ফর জার্মানি বা এএফডি। প্রতিবেশী রাজ্য স্যাক্সনিতে তারা দ্বিতীয় বড় দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।
টুরিঙ্গিয়াতে এএফডির ভোটের হার ৩৩ শতাংশ। আর স্য়াক্সনিতে তারা ভোট পেয়েছে ৩০ শতাংশ। তবে সরকার গঠনের বিষয়টি এখনও নিশ্চিত হয়নি। বাকি দলগুলো তাদের বিরোধিতা করছে।
সোমবার ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে আসে। এ দুই রাজ্যের ফলাফলের দিকে পুরো বিশ্বের নজর ছিল। কারণ, কয়েক বছর ধরে দেশটি যে পরিবর্তনের দিকে ঝুঁকছিল, এ ভোটের মাধ্যমে তা সামনে এসেছে। জার্মানির গোয়েন্দারা দুটি রাজ্যেই এএফডিকে ‘ডান চরমপন্থি’ বলে অভিহিত করেছেন। টুরিঙ্গিয়াতে এএফডি চেয়ারম্যান বিয়র্ন হখে দলের সবচেয়ে কট্টরপন্থি নেতা বলে পরিচিত। তিনি বারবার নাৎসি আমলের ভাষা ব্যবহার করেছেন। ২০২৪ সালে দুবার তাঁকে আদালত দোষী সাব্যস্ত করে। কারণ, তিনি নিষিদ্ধ স্লোগান দিয়েছিলেন।
ফল প্রকাশের পরই রোববার সন্ধ্যায় এএফডি নেতা টিনো কুপালা বলেন, একটা বিষয় স্পষ্ট হয়ে গেছে। ভোটাররা টুরিঙ্গিয়া শাসনের জন্য তাদের দিকে রায় দিয়েছেন। এএফডির প্রধান দাবি আভিবাসন নীতিতে পরিবর্তন আনা ও শরণার্থীদের জার্মানি থেকে বের করে দেওয়া।
নির্বাচনে দুই রাজ্যে উত্থান হলেও এএফডি সরকার গঠন করতে পারবে না বলে মনে করা হচ্ছে। তবে তাদের যথেষ্ট প্রভাব থাকবে। দুই রাজ্যেই যেসব সিদ্ধান্ত দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে নিতে হবে, সেগুলো প্রভাবিত করার ক্ষমতা তাদের থাকবে।
টুরিঙ্গিয়া রাজ্যের এএফডিপ্রধান বিয়র্ন হ্যোকে ২০১৭ সালে বার্লিনের হলোকস্ট মেমোরিয়ালকে ‘মনুমেন্ট অব শেম’ বা ‘লজ্জার স্মৃতিসৌধ’ বলে আখ্যা দেন। নাৎসি অতীত নিয়ে প্রায়শ্চিত্ত করা বন্ধ করতেও বলেন তিনি।
নির্বাচনে এএফডির উত্থানকে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার সঙ্গে দেখছেন অনেকে। ঐতিহাসিক জেন ক্রিশ্চিয়ান ওয়াগনার বলেন, এএফডির নীতি আমানবিক ও বিরক্তিকর। ভোটের ফল ‘বিপর্যকর ও গণতন্ত্রের বিপদ’। তাদের ঠেকাতে জার্মানির বিভিন্ন রাজ্যে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ হয়েছে।