যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচন
প্রথমবার কমলার সঙ্গে প্রচারে বাইডেন
কমলা হ্যারিস ও জো বাইডেন।
সমকাল ডেস্ক
প্রকাশ: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২২:২৯
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিস প্রথমবারের মতো হাতে হাত রেখে একসঙ্গে নির্বাচনী প্রচার চালিয়েছেন। কমলা হ্যারিসকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ঘোষণার পর এটিই তাদের প্রথম একসঙ্গে চালানো প্রচার। খবর এএফপি ও বিবিসির।
আগামী ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় এই নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান ও পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্য দুটিকে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের এলাকা বলে বিবেচনা করা হচ্ছে। সেখানকার ভোটারদের কাছে টানতেই প্রচার চালিয়েছেন বাইডেন ও কমলা। মিশিগানে প্রচার শেষে তারা পেনসিলভানিয়ার শ্রমিক সংঘের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন এবং পাশাপাশি দাঁড়িয়ে প্রায় ৬০০ সমর্থকের উদ্দেশে বক্তব্য দেন।
বাইডেন বলেন, আমি ও কমলা একসঙ্গে দেশকে এগিয়ে নিতে অঙ্গীকারবদ্ধ। তিনি (কমলা) আরও সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবেন, আমি তাঁকে সব ধরনের সহায়তা করব। এখন আপনাদের সামনে যুক্তিসংগত পছন্দের জন্য শুধু একজনই আছেন, তিনি হলেন কমলা হ্যারিস। আমি তাঁকে চিনি এবং ভরসা করি। তিনি যা করেন, জেনে-বুঝেই করেন। আমি আপনাদের আশ্বস্ত করছি, আপনারা যদি কমলা হ্যারিসকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেন, তবে তা হবে এযাবৎকালে আপনাদের নেওয়া সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত।
বাইডেনের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে কমলা বলেন, জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের দেখা সবচেয়ে রূপান্তরকারী প্রেসিডেন্টদের একজন এবং তিনি আন্তরিকতা থেকেই এটা করেন।
প্রথমে ৮১ বছর বয়সী বাইডেন ডেমোক্রেটিক দল থেকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হয়েছিলেন। তবে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্কে ধরাশায়ী হওয়ার পর তাঁর শারীরিক-মানসিক সক্ষমতা নিয়ে দলের ভেতরেই প্রশ্ন ওঠে। এমন অবস্থায় তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ান এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে সমর্থন দেন।
কমলা হ্যারিসের আত্মবিশ্বাস চূর্ণ এবং তাঁর বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ট্রাম্প। সম্প্রতিক সময়ে কমলাকে ব্যক্তিগত অপমানসূচক কথাবার্তাও বলতে তাঁকে দেখা যাচ্ছে। যেমনটা তিনি ২০১৬ সালে করে জয় পেয়েছিলেন। তাঁর উপদেষ্টারা তাঁকে উচ্চ মূল্যস্ফীতি, অভিবাসনসহ ভোটারদের উদ্বেগগুলোয় মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করার পরামর্শ দিচ্ছেন। আফগানিস্তানে মার্কিন সেনাদের মৃত্যুর জন্য দায়ী এবং গাজায় জিম্মিদের হত্যার সঙ্গে ভাইস প্রেসিডেন্ট জড়িত বলেও দাবি করেছেন তিনি। অভিবাসন নীতিকে বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করেও ভোটারদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। রিপাবলিকান প্রার্থী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোয় প্রচারে অভিযোগ করছেন, কমলা লাখ লাখ অনথিভুক্ত অভিবাসীকে স্বাগত জানাবেন এবং বিদ্যমান সামাজিক নিরাপত্তা সুবিধা কমিয়ে দেবেন।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি নিয়েও কমলা ও ট্রাম্প পরস্পরবিরোধী দাবি করেছেন। কমলা হ্যারিস দাবি করেছেন, অনেক সূচকে আমাদের অর্থনীতি এখন বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী। তবে ট্রাম্পের দাবি, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ অর্থনীতি তৈরি করেছিলেন এবং বাইডেন-হ্যারিস প্রশাসন এটিকে ধ্বংস করেছে।