রাশিয়ার মিসাইলে ‘ভূপাতিত’ ওই উড়োজাহাজ, দাবি আজারবাইজানের
কাজাখস্তানে বিধ্বস্ত আজারবাইজান এয়ারলাইনসের উড়োজাহাজটি। ছবি-সংগৃহীত
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১২:৫৬
কাজাখস্তানে বিধ্বস্ত আজারবাইজান এয়ারলাইনসের উড়োজাহাজটি রাশিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ‘ভূপাতিত’ করেছে বলে দেশটির তদন্তের প্রাথমিক ফলাফলের বিষয়ে অবগত চারটি সূত্র বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এই তথ্য জানিয়েছে।
তবে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, তদন্তের মধ্য দিয়ে একটি উপসংহারে পৌঁছানোর আগে কোনো অনুমান দাঁড় করানো ঠিক নয়।
জানা যায়, উড়োজাহাজটি এমন একটি এলাকায় ছিল, যেখানে বারবার ইউক্রেনীয় ড্রোনের বিরুদ্ধে আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ব্যবহার করেছে রাশিয়া।
আজারবাইজানের তদন্তের ব্যাপারে অবহিত দেশটির একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, প্রাথমিক ফলাফলে দেখা গেছে, উড়োজাহাজটিকে রাশিয়ার প্যান্টসির-এস আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা থেকে আঘাত করা হয়েছিল।
সূত্রটি আরও জানিয়েছে, গ্রোজনিতে যাওয়ার সময় উড়োজাহাজটির যোগাযোগ অকার্যকর হয়ে গিয়েছিল ইলেকট্রনিক যুদ্ধ ব্যবস্থার কারণে।
সূত্রটির ভাষ্য, উড়োজাহাজটিকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ভূপাতিত করা হয়েছে সেটি দাবি করা হচ্ছে না। তবে বাকু আশা করে, প্রতিষ্ঠিত তথ্য বিবেচনায় নিয়ে রাশিয়ার কর্তৃপক্ষ আজারবাইজানের উড়োজাহাজটি ভূপাতিত করার কথা স্বীকার করবে।
এদিকে আজারবাইজানের তদন্ত একই প্রাথমিক সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে বলে নিশ্চিত করেছে অপর তিনটি সূত্র।
অবশ্য রাশিয়ার উড়োজাহাজ চলাচল পর্যবেক্ষণকারী সংস্থার ভাষ্য, উড়োজাহাজটি জরুরি পরিস্থিতির মুখে পড়েছিল, যা পাখির আঘাতের কারণে হতে পারে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, পাখির ধাক্কা লাগলে ইঞ্জিন বিকল হতে পারে। কিন্তু এভাবে বিমান মাটিতে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে না।
এ বিষয়ে রয়টার্স রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে মন্তব্য জানতে চাইলে তারা সাড়া দেয়নি।
গত বুধবার কাজাখস্তানের আকতাউ শহরের কাছে উড়োজাহাজটি (ফ্লাইট জে২-৮২৪৩) ‘বিধ্বস্ত’ হয়। এতে ৩৮ জন নিহত হন। উড়োজাহাজটিতে যাত্রী-ক্রু মিলে ৬৭ আরোহী ছিলেন।
