ঢাকা মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫

ইসরায়েলি আগ্রাসন

বর্ষবরণের দিনও গাজায় হামলা, নিহত ২২

বর্ষবরণের দিনও গাজায় হামলা, নিহত ২২

ছবি: সংগৃহীত

সমকাল ডেস্ক

প্রকাশ: ০২ জানুয়ারি ২০২৫ | ০২:৩৫

বর্ষবরণের দিনও গাজায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। উত্তরের জাবালিয়া এবং মধ্যাঞ্চলে আল বুরেজ শরণার্থী শিবিরে হামলায় অন্তত ২২ জন নিহত হয়েছে। এর আগে বেত লাহিয়ায় মৃত্যু হয় ছয় ফিলিস্তিনির। 

জমকালো আয়োজনে বিশ্বজুড়ে নতুন বছর বরণের উৎসব চললেও এবার তার উল্টো চিত্র গাজায়। বষর্বরণের জন্য সেখানে নেই কোনো আনন্দ-আয়োজন। প্রাণে বাঁচতে জনাকীর্ণ এলাকায় অস্থায়ী শরণার্থী শিবিরে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা। তবু তাদের আশা, ২০২৫ সালে গাজায় যুদ্ধ শেষ হবে। ইসরায়েলের আগ্রাসন শুরুর পর গাজার জনসংখ্যা প্রায় ৬ শতাংশ কমে গেছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো। নিহত হয়েছে সাড়ে ৪৫ হাজারের বেশি মানুষ। গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। জরুরি চিকিৎসার জন্য এরই মধ্যে ৫০ রোগীকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে পাঠানো হয়েছে।

আইডিএফের হামলা থেকে বাঁচতে বেশির ভাগ ফিলিস্তিনির আশ্রয় হয়েছে জরাজীর্ণ শরণার্থী শিবিরে। সেখানে তাঁবুতে গাদাগাদি করে থাকতে হচ্ছে তাদের। গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর আরেকটি নতুন বছর শুরু হলেও সেখানে নেই আনন্দ। এবারে হয়তো যুদ্ধ শেষ হবে, সে অপেক্ষা এই ঘরহারা মানুষের।

গ্রেপ্তার কামাল আদওয়ান হাসপাতালের পরিচালক হুসাম আবু সাফিয়ার মুক্তির দাবি জানিয়েছে তাঁর পরিবার। গাজার এক যুবক বলেন, যুদ্ধ শেষ হওয়ার অপেক্ষায় দিন গুনছি। হয়তো নতুন বছরে যুদ্ধ শেষ হবে। এর মধ্যে শীত ও বৃষ্টিতে বাড়ছে প্রাণহানি। ক্ষুধার যন্ত্রণায় মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে তারা। এমন পরিস্থিতিতে যুদ্ধ বন্ধে আরব ও ইসলামিক দেশসহ পুরো বিশ্বের প্রতি আহ্বান গাজাবাসীর। 

এদিকে  গাজার হাসপাতালগুলোতে ইসরায়েলি হামলার অভিযোগ তুলেছে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক কার্যালয়। মঙ্গলবার সংস্থাটির প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, আন্তর্জাতিক আইনকে উপেক্ষা করে হাসপাতালে ইসরায়েলি হামলার কারণে ফিলিস্তিনিরা স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ থেকে মারাত্মকভাবে বঞ্চিত হচ্ছে। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, কেরেম আবু সালেম ক্রসিং দিয়ে তাদের গাজার বাইরে পাঠানো হয়।  গাজার স্বাস্থ্য খাতে ধ্বংসযজ্ঞ এবং হাসপাতালের রোগী, কর্মী ও অন্যান্য বেসামরিক নাগরিক হত্যার ভয়াবহতা হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের প্রতি অবজ্ঞার প্রত্যক্ষ নমুনা। খবর আলজাজিরা ও সিএনএনের।

আরও পড়ুন

×