ঢাকা মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

ভিসানীতিতে ভারত-চীন বন্ধুত্বের বার্তা

ভিসানীতিতে ভারত-চীন বন্ধুত্বের বার্তা

প্রতীকী ছবি

সমকাল ডেস্ক

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫ | ০১:১২

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তীব্র কূটনৈতিক লড়াই চলছে চীনের। এর মধ্যে ভারতীয়দের ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিল বেইজিং। ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৯ এপ্রিলের মধ্যে মোট ৮৫ হাজার ভারতীয়কে ভিসা দিয়েছে চীন, এক কথায় যা অভূতপূর্ব। শুধু ভিসা দেওয়াই নয়, ভারতে বসবাসকারী চীনের রাষ্ট্রদূত সু ফেইহং এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় লিখেছেন, আমরা চাই আরও বেশি ভারতীয় বন্ধু চীনে যান। 

চীনের মুক্ত, নিরাপদ, প্রাণবন্ত সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হোন। এর মধ্য দিয়ে নয়াদিল্লির সঙ্গে বেইজিং বন্ধুত্বেরই বার্তা দিচ্ছে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা। 

রয়টার্স জানায়, আরও বেশি ভারতীয় যেন চীনে যেতে পারেন, সেজন্য বেশ কিছু ছাড় দিয়েছে দেশটির প্রশাসন। চীনের দূতাবাস থেকে জানানো হয়েছে, ভিসা প্রক্রিয়ার সময় আগের চেয়ে অনেক কমিয়ে ফেলা হয়েছে। বিজনেস ও পর্যটন– দুই ক্ষেত্রেই অনেক কম সময়ে ভিসা দেওয়া হচ্ছে। ভারত এবং চীন এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চল-সংক্রান্ত একাধিক মঞ্চ এবং ব্লকে আছে। গত বেশ কয়েক বছরে দুই দেশের সম্পর্ক ক্রমশ খারাপ হয়েছে। লাদাখে গালওয়ান লড়াইয়ের পর দুই দেশ কার্যত যুযুধান দু’পক্ষে পরিণত হয়েছিল। কভিড-পরবর্তী সময়ে দুই দেশ কিছুটা কাছাকাছি এলেও সম্পর্ক এখনও সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হয়নি। এই পরিস্থিতিতে চীনের এ অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

বিবিসি জানায়, বাণিজ্য করার জন্য চীন যে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে ভালো অংশীদার– দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশে দেশে গিয়ে এখন সে বার্তা দিচ্ছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে পৌঁছান জিনপিং। ২০১৩ সালের পর এই প্রথম তিনি দেশটি সফরে গেলেন। এর আগে ভিয়েতনামে গিয়ে বেশ কিছু সহযোগিতা চুক্তি সই করেন তিনি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) থেকে রেল যোগাযোগ উন্নত করার মতো বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন শি জিনপিং।
কুয়ালালামপুরে নেমে জিনপিং বলেন, চীন ও মালয়েশিয়ার মধ্যে গভীর কৌশলগত সহযোগিতা দুই দেশের স্বার্থের জন্য ভালো। এটি বিশ্ব শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধির জন্যও ভালো।

ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওপর যে শুল্ক আরোপ করেছেন, তাতে চীনের পর সবচেয়ে বেশি ‘শাস্তি পাচ্ছে’ আসিয়ানভুক্ত দেশগুলো। ট্রাম্পের কঠোর আচরণে স্বাভাবিকভাবেই ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ডের মতো দেশগুলো অসন্তুষ্ট। এই পরিস্থিতিতে  জিনপিংয়ের এই সফর ও বার্তা বিশেষ তাৎপর্য বহন করে।

আরও পড়ুন

×