ঢাকা শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫

ওয়াক্ফ আইনের শুনানিতে প্রধান বিচারপতি

গুরুতর অসংগতি ছাড়া আইনে আদালতের হস্তক্ষেপ নয়

গুরুতর অসংগতি ছাড়া আইনে আদালতের হস্তক্ষেপ নয়

ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। ছবি: এএনআই

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২১ মে ২০২৫ | ০৬:০০

ভারতে ওয়াক্ফ সংশোধনী আইন চ্যালেঞ্জ করা ১১টি পিটিশনের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দেশটির প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাইয়ে নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে শুনানি হলেও কোনো অন্তর্বর্তী আদেশ দেননি আদালত। খবর এনডিটিভির। 

শুনানিতে প্রধান বিচারপতি গাভাই বলেন, সংসদে পাস হওয়া যে কোনো আইন সংবিধানসম্মত হিসেবে গণ্য হয়। আদালত কেবল তখনই হস্তক্ষেপ করতে পারে, যদি কোনো গুরুতর অসংগতির প্রমাণ পাওয়া যায়। 

গত মাসে এই আইনটি দেশটির সংসদে পাস হয়। আদালত আগে তিনটি মূল বিষয় চিহ্নিত করেছিলেন, যার ওপর শুনানি হবে। ওয়াক্ফ জমির ব্যবহার, ওয়াক্‌ফ কাউন্সিলে অমুসলিম সদস্যদের নিয়োগ ও রাজ্য ওয়াক্ফ বোর্ডগুলোর কার্যক্রম ও সরকারের জমি চিহ্নিতকরণ। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এই তিনটি বিষয়ে তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তারা আশ্বাস দিয়েছে, বিষয়গুলো নিয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। 

প্রায় চার ঘণ্টার কিছু কম সময় ধরে মামলাকারী পক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্য শুনেছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। প্রশ্ন ওঠে, নতুন আইনের ৩ডি ধারার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে। ওই ধারাটির ওপর সম্পূর্ণ স্থগিতাদেশ জারির আবেদনও করা হয়েছে। তবে মঙ্গলবার দীর্ঘ শুনানির পরও কোনো অন্তর্বর্তী আদেশ দেননি সুপ্রিম কোর্ট। আজ বুধবার ফের মামলার শুনানি হবে। 

এদিন পুরো শুনানি পর্বে মামলাকারীদের আইনজীবী কপিল সিব্বল ও প্রধান বিচারপতির মধ্য়ে একটা তর্কবিতর্ক দেখা যায়। সিব্বলের দাবি, সংশোধনী ওয়াক্ফ আইন সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৪, ২৫ ও ২৬-কে লঙ্ঘন করছে। 

তাঁর কথায়, ‘এই আইন ওয়াক্‌ফ সম্পত্তিকে রক্ষা করার জন্য। কিন্তু ওয়াক্ফ সম্পত্তি দখল করার জন্য সংশোধনী আইনটি তৈরি করা হয়েছে। ওয়াক্ফ দানের সম্পত্তি। এটি অন্য কাউকে হস্তান্তর করা যায় না। একবার যেটি ওয়াক্‌ফ সম্পত্তি আওতাভুক্ত হয়, তা চিরকাল ওয়াক্ফই থাকে।’ 
তবে, সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানিয়েছেন, আবেদনকারীদের বক্তব্যে আরও অনেক বিষয় উঠে এসেছে, যা তিনটি মূল বিষয় থেকে বাইরে। তিনি আদালতকে অনুরোধ করেছেন, যেন শুনানি শুধু ওই তিনটি বিষয়েই সীমাবদ্ধ থাকে। 

আরও পড়ুন

×