ঢাকা মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

মিয়ানমারের ঘটনায় নজর রাখছে চীন

মিয়ানমারের ঘটনায় নজর রাখছে চীন

২০২০ সালের জানুয়ারিতে মিয়ানমার সফরে অং সান সু চির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং। ছবি: গেটি ইমেজেস

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ | ০৮:১৮

মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী দেশে চীন খুবই সতর্ক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন তাদের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে সংক্ষিপ্ত ও সতর্ক প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন।

তবে চীন সরকারের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত আলাদাভাবে কোনো বক্তব্য বা বিবৃতি দেওয়া হয়নি।

ওয়াং ওয়েনবিন বলেন, মিয়ানমারের ঘটনায় দেশটির দিকে চীন নজর রাখছে। এ ঘটনার বিস্তারিত জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। খবর বিবিসির। 

তিনি আরও বলেন, 'চীন মিয়ানমারের বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশী। আমরা মনে করি দেশের সাংবিধানিক ও আইনি কাঠামোর মধ্যে মিয়ানমারের বিভিন্ন পক্ষ তাদের মতভেদ দূর করবে। রাজনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে।'

মিয়ানমারের সঙ্গে চীনের ২ হাজার ২০০ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে, যার বেশকিছু অংশে মিয়ানমারে সশস্ত্র কিছু বিদ্রোহী গোষ্ঠী তৎপর।

তাছাড়া চীনের উচ্চাভিলাষী বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রকল্পের জন্য দেশটির কাছে মিয়ানমার খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি দেশ। চীন গত বছরগুলোতে মিয়ানমারের বিভিন্ন অবকাঠামো প্রকল্পে প্রচুর বিনিয়োগ করেছে। 

চীনের ইউনান প্রদেশ থেকে মিয়ানমারের পশ্চিম উপকূল পর্যন্ত একটি রেললাইন নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে, যেটির জন্য চীন প্রায় ৯০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে।

গত মাসের মাঝামাঝি চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই মিয়ানমার সফরে গিয়েছিলেন। ওই সফরে তিনি অং সান সু চিসহ মিয়ানমারের সেনা নেতৃত্বের সঙ্গেও বৈঠক করেন।

গত বছরের ৮ নভেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে সু চির দল এনএলডি নিরঙ্কুশ জয় পায়। পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য যেখানে ৩২২টি আসনই যথেষ্ট, সেখানে এনএলডি পায় ৩৪৬টি আসন। সোমবার নতুন পার্লামেন্টের অধিবেশন শুরু হওয়ার কথা ছিল।

কিন্তু সেনাবাহিনী সমর্থিত দল ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (ইউএসডিপি) ভোটে প্রতারণার অভিযোগ তুলে ফলাফল মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানায় এবং নতুন করে নির্বাচন আয়োজনের দাবি তোলে। তারপর থেকেই দেশটিতে আবার সামরিক অভ্যুত্থানের আশঙ্কা করা হচ্ছিল।

সোমবার ভোরে মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি, প্রেসিডেন্ট উয়িন মিন্ট এবং ক্ষমতাসীন দলের সিনিয়র নেতাদের আটকে জরুরি অবস্থা জারি করে দেশটির সেনাবাহিনী। 

নিজেদের নিয়ন্ত্রিত টেলিভিশনে মিয়ানমার সেনাবাহিনী জানিয়েছে, 'নির্বাচনে জালিয়াতি'র প্রতিক্রিয়া হিসেবে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা। সেনাপ্রধান মিন অং লাইংয়ের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে এবং এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করা হবে।

আরও পড়ুন

×