কবে কোন প্রত্যুষে কোন শুভ লগ্নে
তোমার জন্ম হয়েছিল,
সন্ধ্যা নদীর পলি দিয়ে কোন শুভার্থী সন্ধ্যায়
গড়া শুরু হয়েছিল তোমার মৃত্তিকা?
আমি তা জানি না।
শুধু এটুকুই জানি-
তোমার মৃত্তিকায় আছে মায়ের পরশ
তোমার বুকে আছে অফুরান আশ্রয় আর আশ্বাস।
জানি-
এক শিশুকে তুমি ধারণ করেছ কত মমতায়।
কবে কোন বিস্মৃত ধূসর প্রভাতে সন্ধ্যার তীরে ভিড়েছিল ভেলা,
কারা এসেছিল তোমার নরম মাটিতে?
গড়ে তুলল জনপদ-
তারপর কত জল আর পলি, মাটি আর মানুষের মিতালিতে
তোমার অনুপম সমৃদ্ধি।
চারদিকে সবুজের অফুরান উল্লাস-
নধর ধানের শীষে শিশিরের কল্লোল-
দোয়েল আর ঘুঘু আর বউ কথা কও-
বাঁশ বাগানের মাথার উপর কোজাগরি চাঁদ-
দখিন পুকুরে সফরীর ঝিকিমিকি নাচ, কলমির হাসি-
পালতোলা নাও, বাবুইয়ের বাসা, পাখিদের ওড়াওড়ি-
মৌমাছি-ডাকা আমের মুকুল, কাঁঠালের মউ-মউ গন্ধ-
ভোরে বিলের ধারে ডাহুকের ভৈরবী তান-
মধ্য-দুপুরে কড়িমধ্যম সুরে কাকের কোরাস-
কুমড়া ফুলের রঙ গায়ে মেখে হলদে বিকেল-
গোধূলি বেলায় মায়ের সন্ধ্যা-প্রদীপ, লক্ষ্মীর পাঁচালি-
ধূপের গন্ধ, শঙ্খের ধ্বনি-
ওই দূরে আজানের সুললিত সুর-
কত অশ্রু কত হাসি কত মায়ার মেলা তোমার মন্দিরে।
কত বিপ্লবীর সাধনায় পুণ্য হয়েছে তোমার মৃত্তিকা
রাধিকামোহন কর, জগদীশ আইচ-সরকার, অজিত বিশ্বাস, মানিকলাল-
আরও কত নাম।
তোমার গোপন কুঠুরিতে আশ্রয় পেয়েছে 'যুগান্তর'-
তোমার মাটিতে পদচিহ্ন এঁকে দিয়েছেন হক সাহেব-
তোমার ঘাসে লেগে আছে শেখ মুজিবের চরণধূলি-
একাত্তরে তোমার মাটিতে মিশেছে পটলের তাজা রক্ত-
আমার গর্ব আর গৌরবের কামারকাঠী!
তোমার মমতায় জন্ম-নেওয়া শিশু ক্রমে কিশোর-
বর্ষায় বিস্টম্ফারিত সন্ধ্যার মতো
চোখে তার দীঘল স্বপ্ন।
কখনো গুলতি হাতে কাঁঠালিচাঁপার বনে-
কখনো লাল-নীল ঘুড়ি আর তেপান্তরের মাঠ-
বোশেখের পড়ন্ত বিকেলে মায়াবী-ছায়া গায়ে মেখে
কখনো মিঠেকড়া আমের আস্বাদ-
কখনো কলম নিয়ে ছড়ার ছন্দে মশগুল-
মাঘ-রাত্রিতে স্কুল-মাঠে নাট-মঞ্চে দাঁড়াত সে-
ডুবে থাকত যা পেত তারই অতল গভীরে।
আমি এখনো দেখি, এতকাল পরে-
সন্ধ্যা নামলেই আকাশের দিকে চোখ তুলে তাকিয়ে আছে
তোমার সে-কিশোর
কোথায় ফুটেছে শুকতারাটা
চোখের পাতায় পদ্মরেণুর মতো জমে আছে নীল শিশির।
চোখ বুজলেই এখনো দেখি-
তোমার ঘাসের গালিচায় চিত হয়ে সে-কিশোর
তাকিয়ে আছে পশ্চিম-আকাশে
দেখছে আবীরের হোলি খেলা।
এখনো দেখি-
প্রতি ভোরে ঘুম থেকে জেগেই
সে তাকিয়ে আছে পুব-আকাশের দিকে
যেখানে সন্ধ্যার রুপোলি ইলিশ হয়ে
ভাসছে ভোরের ভাস্কর।
তোমার জন্ম হয়েছিল,
সন্ধ্যা নদীর পলি দিয়ে কোন শুভার্থী সন্ধ্যায়
গড়া শুরু হয়েছিল তোমার মৃত্তিকা?
আমি তা জানি না।
শুধু এটুকুই জানি-
তোমার মৃত্তিকায় আছে মায়ের পরশ
তোমার বুকে আছে অফুরান আশ্রয় আর আশ্বাস।
জানি-
এক শিশুকে তুমি ধারণ করেছ কত মমতায়।
কবে কোন বিস্মৃত ধূসর প্রভাতে সন্ধ্যার তীরে ভিড়েছিল ভেলা,
কারা এসেছিল তোমার নরম মাটিতে?
গড়ে তুলল জনপদ-
তারপর কত জল আর পলি, মাটি আর মানুষের মিতালিতে
তোমার অনুপম সমৃদ্ধি।
চারদিকে সবুজের অফুরান উল্লাস-
নধর ধানের শীষে শিশিরের কল্লোল-
দোয়েল আর ঘুঘু আর বউ কথা কও-
বাঁশ বাগানের মাথার উপর কোজাগরি চাঁদ-
দখিন পুকুরে সফরীর ঝিকিমিকি নাচ, কলমির হাসি-
পালতোলা নাও, বাবুইয়ের বাসা, পাখিদের ওড়াওড়ি-
মৌমাছি-ডাকা আমের মুকুল, কাঁঠালের মউ-মউ গন্ধ-
ভোরে বিলের ধারে ডাহুকের ভৈরবী তান-
মধ্য-দুপুরে কড়িমধ্যম সুরে কাকের কোরাস-
কুমড়া ফুলের রঙ গায়ে মেখে হলদে বিকেল-
গোধূলি বেলায় মায়ের সন্ধ্যা-প্রদীপ, লক্ষ্মীর পাঁচালি-
ধূপের গন্ধ, শঙ্খের ধ্বনি-
ওই দূরে আজানের সুললিত সুর-
কত অশ্রু কত হাসি কত মায়ার মেলা তোমার মন্দিরে।
কত বিপ্লবীর সাধনায় পুণ্য হয়েছে তোমার মৃত্তিকা
রাধিকামোহন কর, জগদীশ আইচ-সরকার, অজিত বিশ্বাস, মানিকলাল-
আরও কত নাম।
তোমার গোপন কুঠুরিতে আশ্রয় পেয়েছে 'যুগান্তর'-
তোমার মাটিতে পদচিহ্ন এঁকে দিয়েছেন হক সাহেব-
তোমার ঘাসে লেগে আছে শেখ মুজিবের চরণধূলি-
একাত্তরে তোমার মাটিতে মিশেছে পটলের তাজা রক্ত-
আমার গর্ব আর গৌরবের কামারকাঠী!
তোমার মমতায় জন্ম-নেওয়া শিশু ক্রমে কিশোর-
বর্ষায় বিস্টম্ফারিত সন্ধ্যার মতো
চোখে তার দীঘল স্বপ্ন।
কখনো গুলতি হাতে কাঁঠালিচাঁপার বনে-
কখনো লাল-নীল ঘুড়ি আর তেপান্তরের মাঠ-
বোশেখের পড়ন্ত বিকেলে মায়াবী-ছায়া গায়ে মেখে
কখনো মিঠেকড়া আমের আস্বাদ-
কখনো কলম নিয়ে ছড়ার ছন্দে মশগুল-
মাঘ-রাত্রিতে স্কুল-মাঠে নাট-মঞ্চে দাঁড়াত সে-
ডুবে থাকত যা পেত তারই অতল গভীরে।
আমি এখনো দেখি, এতকাল পরে-
সন্ধ্যা নামলেই আকাশের দিকে চোখ তুলে তাকিয়ে আছে
তোমার সে-কিশোর
কোথায় ফুটেছে শুকতারাটা
চোখের পাতায় পদ্মরেণুর মতো জমে আছে নীল শিশির।
চোখ বুজলেই এখনো দেখি-
তোমার ঘাসের গালিচায় চিত হয়ে সে-কিশোর
তাকিয়ে আছে পশ্চিম-আকাশে
দেখছে আবীরের হোলি খেলা।
এখনো দেখি-
প্রতি ভোরে ঘুম থেকে জেগেই
সে তাকিয়ে আছে পুব-আকাশের দিকে
যেখানে সন্ধ্যার রুপোলি ইলিশ হয়ে
ভাসছে ভোরের ভাস্কর।
মন্তব্য করুন