
করোনাকালে বহতা জীবন, লেখক- শাইখ সিরাজ, প্রকাশনা-অন্যপ্রকাশ, প্রচ্ছদ-মাসুম রহমান, মূল্য :১০০০ টাকা
পৃথিবীর স্বাভাবিক গতিপ্রকৃতি বদলে ফেলেছে করোনা। মানব চিন্তাজগতের ক্ষেত্রেও অনেক নতুন অনুষঙ্গ যুক্ত হয়েছে। দুঃসহ, ভয়ানক করোনা সংকটের দিনগুলো আমরা অতিক্রম করে যাচ্ছি। ২০২০ সালে করোনার প্রথম ঢেউয়ের সংকটাপন্ন দিনগুলোর ছবি এঁকেছেন শাইখ সিরাজ।
অসাধারণ গদ্যরীতিতে তিনি সেই সময়কালকে জীবন্ত করে রেখেছেন। খুবই মৌলিক ও সৃজনশীল বই 'কারোনাকালে বহতা জীবন'। শাইখ সিরাজ সব সময় কর্মে ব্যস্ত। ছুটে বেড়ান গ্রাম থেকে গ্রামে। মাঠ থেকে মাঠে। করোনায় ভার্চুয়াল উপায়ে কাজ করতে হচ্ছে। বাইরে যাওয়া সম্ভব নয়। মানুষের ভিড়ে কাজ করা অসম্ভব। করোনা সংকটে মানতে হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি। এমনই দুঃসহ পরিবেশে ঘরে বসে প্রতিদিন তিনি নির্দিষ্ট সময় ধরে করোনাকালে বহতা জীবন রচনা করেছেন। দিনপঞ্জি আকারে লেখা। লেখার স্টাইলও প্রতিদিনের ঘটনাপঞ্জির সঙ্গে তার জীবন-দর্শন, দেশ, বিশ্ব অর্থনীতি, স্মৃতি, মানবিক সম্পর্ক- এসব লিপিবদ্ধ করেছেন। এ যেন শাইখ সিরাজের আত্মজৈবনিক স্মৃতিকথা। কিন্তু করোনার সঙ্গে তিনি মিলিয়ে দিয়েছেন তার চলমান জীবনের ছন্দকে।
খুব অনাড়ম্বর ভঙ্গিতে শাইখ সিরাজ তার জীবনের গল্প শুনিয়েছেন। কোথাও অতিকথন নেই। কোনো বাড়াবাড়ি নেই। সরল ভঙ্গিতে তিনি কাব্যগল্প তুলে ধরেছেন। খুব শক্তিমান লেখকদৃষ্টি না থাকলে এমন গদ্যে জীবনের জটিল বিষয় সহজভাবে লেখা সম্ভব নয়।
২.
'করোনাকালে বহতা জীবন' অনেক কারণে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এ বই শুধু স্মৃতিকথা নয়, শাইখ সিরাজের জীবন-ব্যাখ্যা ও মনোভঙ্গি খুঁজে পাওয়া যায়। তিনি অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎকে একসূত্রে গেঁথেছেন। এ বই পড়তে পড়তে আমরা তার ছেলেবেলায় ফিরে যাই। তার পরিপার্শ্ব উঠে আসে। বাবা-মা, আত্মীয়স্বজন, বাড়ি, প্রতিবেশী, সহকারী কর্মী- কেউ বাদ যায় না তার লেখায়। প্রতিদিনের কর্মচঞ্চল ব্যস্ত দিনগুলো তার লেখনীতে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে উজ্জ্বল হয়ে আছে।
বইটির আরেকটি বড় বৈশিষ্ট্য এই যে, করোনাকালে বাংলাদেশ ও সমকালীন বিশ্বের মূল ঘটনাগুলো তিনি নিজের ব্যাখ্যাসহ লিখে গেছেন। অর্থাৎ করোনাকালে বহতা জীবন পড়তে গিয়ে আমরা শাইখ সিরাজের জীবন প্রণালি যেমন জানতে পারি, তেমনি এ বই করোনা বিশ্বের ইতিহাস হয়ে থাকবে। তিনি কেবল সংবাদটি লেখেননি, সংবাদের পেছনের সংবাদভাষ্য তিনি সুললিত ভাষায় বর্ণনা করেছেন। যেমন উদাহরণ দেওয়া যায়, করোনা সংকটে মক্কায় হজ স্থগিত হলো এই সময়ে। মুসলিম বিশ্বের জন্য বিশাল দুঃসংবাদ। শাইখ সিরাজ 'করোনাকালে বহতা জীবনে' হজ স্থগিতের সংবাদটি দুঃখ-ভারাক্রান্ত মনে লিখেছেন। সঙ্গে আরও তথ্য-উপাত্ত যুক্ত করে দিচ্ছেন। ইতিহাস ঘেঁটে তিনি তুলে দিচ্ছেন আরও অবাক করা সব তথ্য। এর আগে কয়বার কী কী কারণে হজ স্থগিত হয়েছে, এ রকম নানা তথ্য-উপাত্তের কারণে বইটি অতি প্রয়োজনীয় একটি বইয়ে রূপান্তরিত হয়েছে।
৩.
করোনাকালে যাপিত জীবন বইটিতে শাইখ সিরাজ অলংকারহীন গদ্যে জীবনের সরল গল্প বর্ণনা করেছেন। বিত্তের বৈভব নেই তার বর্ণনায়। ছেলেবেলা কেটেছে সাধারণভাবে। সেই বর্ণনা তিনি করেছেন নিপুণ গদ্যে। সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে- অকারণে কোনো বাগাড়ম্বর করেননি লেখক। আত্মকথার ভেতরে কোনো আত্মপ্রচার নেই। খুব স্বচ্ছন্দ্যে তিনি পরিবারের গল্প শুনিয়েছেন প্রসঙ্গক্রমে। টেলিভিশনের শাইখ সিরাজের ভেতরে যে কপট গাম্ভীর্য লক্ষ্য করি, বইয়ের মধ্যে সেটা দেখা যায়নি। বই রচনায় তিনি টেলিভিশনে তার অনুষ্ঠান নির্মাণ প্রসঙ্গও এনেছেন। তার কর্মক্ষেত্র চ্যানেল আইয়ের সংবাদ বিষয়ে কখনও কখনও বিভাগের প্রধান হিসেবে কিছু কিছু প্রসঙ্গ অবতারণা করেছেন।
বইটি পড়তে পড়তে আশ্চর্য হতে হয়। বাসার কাজের মেয়েটিকেও তিনি অসম্ভব মমতা দিয়ে তুলে ধরেছেন। পুত্রবধূদের সঙ্গে তার সম্পর্ক, ভ্রাতুষ্পুত্র, কন্যা প্রত্যেকেরই অসম্ভব মমতার ছবি আঁকা আছে এই বইতে।
আমাদের সমাজে যৌথ পরিবার ভেঙে যাচ্ছে। সেখানে শাইখ সিরাজ স্মৃতিকথার বারবার যৌথ পরিবারের গল্প শুনিয়েছেন। সেসব সত্যি গল্প পড়তে পড়তে অনেক সময় দরদে চোখ ভিজে যায়। আন্তরিকভাবে রচিত প্রিয়জনদের কথা চমৎকারভাবে বর্ণনা করেছেন শাইখ সিরাজ। তার বাবা-মায়ের গল্প, খিলগাঁওয়ের বাড়ির গল্প, ভাইবোনের গল্প, সন্তানের গল্প তিনি বারবার বলেছেন। এতে তার মানবিক হৃদয়ের পরিচয় পাওয়া যায়। মধ্যবিত্ত পরিবারে বেড়ে ওঠা নানা টানাপোড়েন, সুখ-দুঃখের ইতিকথা, আনন্দ-বেদনার উপাখ্যান নিয়ে করোনাকালে বহতা জীবন। দিনপঞ্জি, স্মৃতিকথা ও আত্মজীবন- এক মোহনায় এসে মিলিত হয়েছে। এমন বই বাংলা ভাষায় আর রচিত হয়েছে কিনা জানা নেই। সমকাল, বর্তমান সময় প্রেক্ষাপট জীবন্ত হয়ে রইল বইটিতে। হয়তো একদিন করোনা সংকট কেটে গিয়ে আলোময় নতুন পৃথিবীর সূচনা হবে। এই ক্রান্তিকাল কেটে যাবে। তখন আমরা শাইখ সিরাজের দৃষ্টি দিয়ে করোনা সংকটের সত্য-রূপ দেখতে পাব। সেটাই হবে এ বইয়ের অন্যতম বড় সাফল্য।
৪.
২৩ মার্চ ২০২০- এ লেখাটা শুরু হয়েছে। শেষ হয়েছে পহেলা সেপ্টেম্বর। মাত্র ছয় মাসের দিনপঞ্জি। করোনা তখন প্রথম ধাক্কা দিয়েছে আমাদের। সব এলোমেলো হয়ে গেছে। বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক ও সব ল ভ হয়ে গেল। শাইখ সিরাজ কিন্তু প্রথাগত দিনপঞ্জি লেখেননি। দিনপঞ্জির আড়ালে তার সমাজভাবনা, তার চিন্তাদর্শন, তার স্মৃতি-সত্তা, তার পরিবার ও কর্মক্ষেত্রের অম্লমধুর কাহিনি নিয়ে এ বই। পুরো বইয়ের পাতায় পাতায় সেই দিনগুলোর স্মৃতিচিহ্ন ছড়িয়ে আছে। করোনার পরিসংখ্যান, মৃত্যু ও শনাক্ত চিহ্নিতকরণ, খ্যাতিমান ব্যক্তিদের ইন্তেকাল, দেশ ও বিশ্বব্যাপী করোনা পরিস্থিতির তথ্যগুলো নিপুণভাবে তিনি উল্লেখ করেছেন। 'করোনাকালে বহতা জীবন' সময়ের দলিল।
অসাধারণ গদ্যরীতিতে তিনি সেই সময়কালকে জীবন্ত করে রেখেছেন। খুবই মৌলিক ও সৃজনশীল বই 'কারোনাকালে বহতা জীবন'। শাইখ সিরাজ সব সময় কর্মে ব্যস্ত। ছুটে বেড়ান গ্রাম থেকে গ্রামে। মাঠ থেকে মাঠে। করোনায় ভার্চুয়াল উপায়ে কাজ করতে হচ্ছে। বাইরে যাওয়া সম্ভব নয়। মানুষের ভিড়ে কাজ করা অসম্ভব। করোনা সংকটে মানতে হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি। এমনই দুঃসহ পরিবেশে ঘরে বসে প্রতিদিন তিনি নির্দিষ্ট সময় ধরে করোনাকালে বহতা জীবন রচনা করেছেন। দিনপঞ্জি আকারে লেখা। লেখার স্টাইলও প্রতিদিনের ঘটনাপঞ্জির সঙ্গে তার জীবন-দর্শন, দেশ, বিশ্ব অর্থনীতি, স্মৃতি, মানবিক সম্পর্ক- এসব লিপিবদ্ধ করেছেন। এ যেন শাইখ সিরাজের আত্মজৈবনিক স্মৃতিকথা। কিন্তু করোনার সঙ্গে তিনি মিলিয়ে দিয়েছেন তার চলমান জীবনের ছন্দকে।
খুব অনাড়ম্বর ভঙ্গিতে শাইখ সিরাজ তার জীবনের গল্প শুনিয়েছেন। কোথাও অতিকথন নেই। কোনো বাড়াবাড়ি নেই। সরল ভঙ্গিতে তিনি কাব্যগল্প তুলে ধরেছেন। খুব শক্তিমান লেখকদৃষ্টি না থাকলে এমন গদ্যে জীবনের জটিল বিষয় সহজভাবে লেখা সম্ভব নয়।
২.
'করোনাকালে বহতা জীবন' অনেক কারণে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এ বই শুধু স্মৃতিকথা নয়, শাইখ সিরাজের জীবন-ব্যাখ্যা ও মনোভঙ্গি খুঁজে পাওয়া যায়। তিনি অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎকে একসূত্রে গেঁথেছেন। এ বই পড়তে পড়তে আমরা তার ছেলেবেলায় ফিরে যাই। তার পরিপার্শ্ব উঠে আসে। বাবা-মা, আত্মীয়স্বজন, বাড়ি, প্রতিবেশী, সহকারী কর্মী- কেউ বাদ যায় না তার লেখায়। প্রতিদিনের কর্মচঞ্চল ব্যস্ত দিনগুলো তার লেখনীতে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে উজ্জ্বল হয়ে আছে।
বইটির আরেকটি বড় বৈশিষ্ট্য এই যে, করোনাকালে বাংলাদেশ ও সমকালীন বিশ্বের মূল ঘটনাগুলো তিনি নিজের ব্যাখ্যাসহ লিখে গেছেন। অর্থাৎ করোনাকালে বহতা জীবন পড়তে গিয়ে আমরা শাইখ সিরাজের জীবন প্রণালি যেমন জানতে পারি, তেমনি এ বই করোনা বিশ্বের ইতিহাস হয়ে থাকবে। তিনি কেবল সংবাদটি লেখেননি, সংবাদের পেছনের সংবাদভাষ্য তিনি সুললিত ভাষায় বর্ণনা করেছেন। যেমন উদাহরণ দেওয়া যায়, করোনা সংকটে মক্কায় হজ স্থগিত হলো এই সময়ে। মুসলিম বিশ্বের জন্য বিশাল দুঃসংবাদ। শাইখ সিরাজ 'করোনাকালে বহতা জীবনে' হজ স্থগিতের সংবাদটি দুঃখ-ভারাক্রান্ত মনে লিখেছেন। সঙ্গে আরও তথ্য-উপাত্ত যুক্ত করে দিচ্ছেন। ইতিহাস ঘেঁটে তিনি তুলে দিচ্ছেন আরও অবাক করা সব তথ্য। এর আগে কয়বার কী কী কারণে হজ স্থগিত হয়েছে, এ রকম নানা তথ্য-উপাত্তের কারণে বইটি অতি প্রয়োজনীয় একটি বইয়ে রূপান্তরিত হয়েছে।
৩.
করোনাকালে যাপিত জীবন বইটিতে শাইখ সিরাজ অলংকারহীন গদ্যে জীবনের সরল গল্প বর্ণনা করেছেন। বিত্তের বৈভব নেই তার বর্ণনায়। ছেলেবেলা কেটেছে সাধারণভাবে। সেই বর্ণনা তিনি করেছেন নিপুণ গদ্যে। সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে- অকারণে কোনো বাগাড়ম্বর করেননি লেখক। আত্মকথার ভেতরে কোনো আত্মপ্রচার নেই। খুব স্বচ্ছন্দ্যে তিনি পরিবারের গল্প শুনিয়েছেন প্রসঙ্গক্রমে। টেলিভিশনের শাইখ সিরাজের ভেতরে যে কপট গাম্ভীর্য লক্ষ্য করি, বইয়ের মধ্যে সেটা দেখা যায়নি। বই রচনায় তিনি টেলিভিশনে তার অনুষ্ঠান নির্মাণ প্রসঙ্গও এনেছেন। তার কর্মক্ষেত্র চ্যানেল আইয়ের সংবাদ বিষয়ে কখনও কখনও বিভাগের প্রধান হিসেবে কিছু কিছু প্রসঙ্গ অবতারণা করেছেন।
বইটি পড়তে পড়তে আশ্চর্য হতে হয়। বাসার কাজের মেয়েটিকেও তিনি অসম্ভব মমতা দিয়ে তুলে ধরেছেন। পুত্রবধূদের সঙ্গে তার সম্পর্ক, ভ্রাতুষ্পুত্র, কন্যা প্রত্যেকেরই অসম্ভব মমতার ছবি আঁকা আছে এই বইতে।
আমাদের সমাজে যৌথ পরিবার ভেঙে যাচ্ছে। সেখানে শাইখ সিরাজ স্মৃতিকথার বারবার যৌথ পরিবারের গল্প শুনিয়েছেন। সেসব সত্যি গল্প পড়তে পড়তে অনেক সময় দরদে চোখ ভিজে যায়। আন্তরিকভাবে রচিত প্রিয়জনদের কথা চমৎকারভাবে বর্ণনা করেছেন শাইখ সিরাজ। তার বাবা-মায়ের গল্প, খিলগাঁওয়ের বাড়ির গল্প, ভাইবোনের গল্প, সন্তানের গল্প তিনি বারবার বলেছেন। এতে তার মানবিক হৃদয়ের পরিচয় পাওয়া যায়। মধ্যবিত্ত পরিবারে বেড়ে ওঠা নানা টানাপোড়েন, সুখ-দুঃখের ইতিকথা, আনন্দ-বেদনার উপাখ্যান নিয়ে করোনাকালে বহতা জীবন। দিনপঞ্জি, স্মৃতিকথা ও আত্মজীবন- এক মোহনায় এসে মিলিত হয়েছে। এমন বই বাংলা ভাষায় আর রচিত হয়েছে কিনা জানা নেই। সমকাল, বর্তমান সময় প্রেক্ষাপট জীবন্ত হয়ে রইল বইটিতে। হয়তো একদিন করোনা সংকট কেটে গিয়ে আলোময় নতুন পৃথিবীর সূচনা হবে। এই ক্রান্তিকাল কেটে যাবে। তখন আমরা শাইখ সিরাজের দৃষ্টি দিয়ে করোনা সংকটের সত্য-রূপ দেখতে পাব। সেটাই হবে এ বইয়ের অন্যতম বড় সাফল্য।
৪.
২৩ মার্চ ২০২০- এ লেখাটা শুরু হয়েছে। শেষ হয়েছে পহেলা সেপ্টেম্বর। মাত্র ছয় মাসের দিনপঞ্জি। করোনা তখন প্রথম ধাক্কা দিয়েছে আমাদের। সব এলোমেলো হয়ে গেছে। বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক ও সব ল ভ হয়ে গেল। শাইখ সিরাজ কিন্তু প্রথাগত দিনপঞ্জি লেখেননি। দিনপঞ্জির আড়ালে তার সমাজভাবনা, তার চিন্তাদর্শন, তার স্মৃতি-সত্তা, তার পরিবার ও কর্মক্ষেত্রের অম্লমধুর কাহিনি নিয়ে এ বই। পুরো বইয়ের পাতায় পাতায় সেই দিনগুলোর স্মৃতিচিহ্ন ছড়িয়ে আছে। করোনার পরিসংখ্যান, মৃত্যু ও শনাক্ত চিহ্নিতকরণ, খ্যাতিমান ব্যক্তিদের ইন্তেকাল, দেশ ও বিশ্বব্যাপী করোনা পরিস্থিতির তথ্যগুলো নিপুণভাবে তিনি উল্লেখ করেছেন। 'করোনাকালে বহতা জীবন' সময়ের দলিল।
মন্তব্য করুন