একটি অন্ধ নক্ষত্র পথ খুঁজতে খুঁজতে কড়া নাড়ে ন্যুব্জ পিঠের ঘরে। সস্নেহে দুয়ার খুলে ভেতরে এনে বসাই। পা জোড়া বুকে নিয়ে চুম্বন করি পরম মমতায়। শোকের বাসনে বেড়ে দিই ধবধবে মৃত ভাত। খুব আরাম করে খাও। এর বেশি আছে গ্লাসভরা হাজার রাতের অভিশপ্ত শিশির। তুমি চাইলে ভিজিয়ে খেতে পারো। অজস্র চুলের বন্যায় আকাশের শরীর ক্ষীণ আর্দ্র। পাশে বসে কুশল সারে। প্রেমিকার মতো ঠোঁট টিপে হাসে। আরো ঘেঁষে আসে মাটি আর বৃক্ষের সহমর্মিতায়। রাজনীতি অর্থনীতির ইতিহাস তুলে কাঁদে এবং পৌষের শীতে কাঁপে চিকন তালপাতা বুকের প্রকোষ্ঠ। অনুনয়ের দৃষ্টিতে গলা রাখে কাঁধে পোষা কুকুর হয়ে। যন্ত্রণার সিক্ত দেহ শুকাতে দেয় নিশ্বাসের গরম হাওয়ায়। জোছনার স্নো ও হাসনার তেল মেখে দিই। হৃদয়ের পচে যাওয়া ফুলগুলো গোছাই। চোখের নিচে মরচে পড়া দাগ ঘষে তুলি। জীবনের খাদে পড়ে থাকা কথার পাথর তুলে আনি দু'জনের খেয়ালি মনস্তাপে। প্রতিটি কথা বেণি করে পুড়িয়ে উষ্ণ হই এই শীতে। হঠাৎ জীবনের মোম ক্ষুদ্র্র হতে থাকে। সমস্ত রশি পুড়ে দেহ হয়ে ওঠে কান্নার আমেজ। রাতজুড়ে অন্ধ নক্ষত্রের সেবা করে ঘুমিয়ে যাই তার বুকে মৃত্যু হয়ে। তোমার ঘরে একটি রাতের অন্ধ নক্ষত্র হবো বলে।
মামুন অপু
প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২১ । ০০:০০ । প্রিন্ট সংস্করণ
মন্তব্য করুন