মাত্র ৪৫ মিনিটের আকাশপথে ভ্রমণ শেষে যখন পারো বিমানবন্দরে পা ফেললাম, তখন প্রচণ্ড হিমশীতল বাতাস শরীরে স্পর্শ করে বাংলাদেশ ও ভুটানের আবহাওয়ার বিশাল পার্থক্য জানান দিয়ে গেল। সকলের ব্যাগেই শীতের কাপড় ছিল এবং প্রত্যেকেই নেমে ছবি তোলার পাশাপাশি শীত থেকে আত্মরক্ষায় তৎপর হয়ে পড়লাম। পাহাড়ের মাঝখানে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে অবস্থিত বিমানবন্দরটি খুবই ছোট, পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন এবং কোলাহলমুক্ত। অন্য কোনো বিমান না নামায় আমাদের ফ্লাইটে যে কয়জন ছিলাম, সে ক'জনকে বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে খুব বেশি দেরি হলো না। বিমানবন্দর থেকে বের হতেই চোখে পড়ল একটি কাগজে 'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়' লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে ভুটানি পোশাক পরিহিত আমাদের ট্যুর গাইড, নাম জিগমি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিলেশন্স ও লেবার স্টাডিজ প্রোগ্রামের চতুর্থ ব্যাচের পক্ষ থেকে মূলত এই শিক্ষা সফরের আয়োজন করা হয়েছিল এবং আমাদের দলে তিনজন শিক্ষক, ছাত্রছাত্রীসহ মোট ২০ জন সদস্য ছিলাম। আমাদের জন্য বাইরে অপেক্ষারত গাড়িতে লাগেজসহ সকলেই উঠে পড়লাম, গন্তব্য পারো থেকে প্রায় ৫৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত রাজধানী শহর থিম্পু। গাড়িতে ওঠার পর গাইড পান চিবাতে চিবাতে অত্যন্ত সাবলীলভাবে ইংরেজি ভাষায় আমাদের ভুটানে স্বাগত জানিয়ে তার দেশ সম্পর্কে বলতে লাগলেন এবং নানা প্রশ্নের জবাব দিলেন। আমাদের বহনকারী গাড়িটি যে রাস্তা ধরে এগিয়ে চলছে, তার পাশ দিয়ে নুড়ি বেয়ে বয়ে যাওয়া টলটলে স্বচ্ছ পানির ছিপছিপে নদী 'পারো চু' যেন পথ দেখিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আকাশে চকচকে রোদ, চারদিকে উঁচু-নিচু পাহাড়, পাহাড়ের ফাঁকে ফাঁকে ছবির মতো ছোট্ট ছোট্ট ঘর দেখতে দেখতে আমাদের বহনকারী বাস যখন আঁকাবাঁকা পাহাড়ি মসৃণ পথ দিয়ে এগিয়ে চলল, তখন প্রকৃতির এক অপূর্ব সৌন্দর্যের হাতছানি সবাইকে আনন্দে উদ্বেলিত করে তুলল। ছোট্ট একটি দেশ, যার ৭০ শতাংশ পাহাড় ও অরণ্য- এ রকম একটি দেশ প্রকৃতির রুক্ষতাকে জয় করে কী সুন্দর ও নিখুঁতভাবেই না সাজানো হয়েছে। ভুটানের অধিবাসীরা নিজেদের দেশকে মাতৃভাষা জংখা ভাষায় 'দ্রুক ইয়ুল' বা 'বজ্র ড্রাগনের দেশ' নামে ডাকে। যেদিকেই তাকানো যায়, চোখ জুড়ানো পাহাড় ও সারি সারি পাইনগাছ যেন হাতছানি দিয়ে ডাকছে। থিম্পু পৌঁছাতে পৌঁছাতে রাত নেমে এলো, পাশাপাশি শীতের তীব্রতাও নেমে এলো। তবে আমরা যে হোটেলে অবস্থান করলাম, সেখানে রুম হিটার ও গরম পানির ব্যবস্থা থাকায় শীতের তীব্রতা আমাদের স্পর্শ করতে ব্যর্থ হলেও রুমের জানালা দিয়ে চারদিকের অপূর্ব সৌন্দর্য স্পর্শ করতে সক্ষম হলাম।
যাত্রাপথের ভোগান্তি বা ক্লান্তির কোনো রেশ না থাকায় খুব সকালে ঘুম ভেঙে গেল। তাপমাত্রা মাইনাসে থাকার পরও রুমে গরম পানির ব্যবস্থা থাকার অপূর্ব সুযোগ আমাকে গোসল করতে সাহসী করে তুলল। গোসল সেরে রেডি হয়ে নিচে নেমে নাশতা করে সকলে সিটি ট্যুরে বের হলাম। প্রথমে গেলাম বুদ্ধ দরদেনমা বা বুদ্ধ পয়েন্টে, যা অনেক দূর থেকে দেখা গেলেও কাছে গিয়ে বুঝতে পারলাম, পাহাড়ের এত উপরে কী অপরূপ সৌন্দর্য নিয়ে বিশালাকায় ১৭৭ ফুট উঁচু স্বর্ণালি বর্ণের বুদ্ধমূর্তি স্থাপন করা হয়েছে। মনে হচ্ছে, ধ্যানমগ্ন বুদ্ধ মেঘের চাদর জড়িয়ে শহরটিকে পরম মমতায় আগলে রেখেছেন এবং চারদিকে আশীর্বাদের বারি বর্ষণ করছে। জানতে পারলাম, ভুটানের চতুর্থ রাজা জিগমে সিঙ্গে ওয়াংচুকের ৬০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে থিম্পুর কুয়েসেলফোদরং পাহাড়ে বিশালাকায় মূর্তিটি স্থাপন করা হয়। বুদ্ধ পয়েন্ট থেকে ফেরার পথে কিছু সময়ের জন্য নামলাম চাঙ্গাংখা লাখাংয়ে, যেখানে থিম্পুর সবচেয়ে পুরোনো বেবি টেম্পল রয়েছে। উঁচুতে অবস্থিত এই টেম্পলটিতে অনেক বাবা-মাকে দেখতে পেলাম, যারা তাদের ছোট ছোট বাচ্চা নিয়ে এসেছে বাচ্চার নাম রাখা ও আশীর্বাদ নেওয়ার জন্য। এরপর রাস্তার পাশেই অবস্থিত জাতীয় গ্রন্থাগার দেখতে খানিকক্ষণের যাত্রাবিরতি করলাম, যেখানে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস অনুযায়ী বিশ্বের সবচেয়ে বড় বই সংরক্ষিত আছে। শহরের বিভিন্ন স্থানে রাজা-রানীর ছবি শোভা পাচ্ছে দেখে জিজ্ঞেস করতেই জিগমি জানাল, ভুটানের জনগণ রাজাকে অত্যন্ত শ্রদ্ধা-ভক্তি করে, দেবতা ভাবে। তার কথায়, রাজপ্রাসাদ ও পার্লামেন্ট ভবন দেখার আগ্রহ সৃষ্টি হলেও কাছ থেকে দেখার সুযোগ পেলাম না। তবে দূর থেকে রাজপ্রাসাদ দেখে খুবই সাদামাটা মনে হলো, যেখানে শানশৈকত বা বিলাসিতার লেশমাত্র চিহ্ন নেই। মনে মনে ভাবলাম, আমাদের দেশে যেখানে শাসকগোষ্ঠীর অনেকে জনগণকে শোষণ করে, রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুট করে বিলাসী জীবনযাপন করে, রাজা না হয়েও রাজপ্রাসাদ গড়ে তোলে, সেখানে একটি দেশের সাদামাটা রাজপ্রাসাদই বলে দেয় সে দেশের রাজার দেশপ্রেম, জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতার গভীরতা কতটুকু। সন্ধ্যার পর সবাই মার্কেটে ঘোরাফেরা ও কেনাকাটার জন্য বেরিয়ে পড়লাম।
পরদিন আমাদের গন্তব্য থিম্পু থেকে প্রায় ৭২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত পুনাখা শহর, যা ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত ভুটানের রাজধানী ছিল। বাসে গান গাইতে গাইতে ও মজা করতে করতে আমরা যখন পুনাখার দিকে এগিয়ে চলছি, তখন প্রায় আধা ঘণ্টা যাত্রার পর আমাদের গাইড হঠাৎ জানালেন, আমরা পুনাখা যেতে পারব না। কারণ, পুনাখা যেতে রুট পারমিট লাগে; কিন্তু আমাদের কয়েকজনের পাসপোর্টে অফিসিয়াল ভিসা সিল দেওয়ায় পারমিট পাওয়া যাবে না। মাথায় যেন বাজ পড়ল সবার। পরে অবশ্য জিগমি আমাদের রেখে ভিসা অফিসে গিয়ে সব ঠিক করে আনতে সক্ষম হলেন। এতে ঘণ্টাখানেক সময় পার হয়ে গেলেও এ সময়ে আমরা রাস্তায় দাঁড়িয়ে মিষ্টি রোদ, ঠান্ডা হাওয়া উপভোগ করলাম এবং ছবি তুলে সময়ের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করলাম। আবার পুনরুদ্যমে যাত্রা শুরু হলো এবং একটু পরেই আমরা দো-চুলা পাস পৌঁছালাম। অল্প সময়ের যাত্রাবিরতিতে বাস থেকে নেমে চোখ মেলে যা দেখলাম, তাতে ভুটান ভ্রমণের সার্থকতা যেন সীমা ছাড়িয়ে গেল। জুম্বলহারিসহ বেশ কিছু উঁচু পাহাড়ের সাদা চূড়ায় ঠিকরে পড়া চকচকে রোদ আর গাঢ় নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা মিলে কী যে এক অপূর্ব সৌন্দর্য চারদিকে উপচে পড়ছে, তা বলে বোঝানো যাবে না। সকলেই এ সৌন্দর্যের সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে রাখতে ছবি তুললাম ইচ্ছেমতো। কিছু সময় পর আবার যাত্রা করলাম, সাপের মতো আঁকাবাঁকা রাস্তা বেয়ে এগিয়ে চলছে আমাদের বহনকারী গাড়িটি। আমি সামনের সিটে বসা ছিলাম, যে কারণে পাহাড়ি ঝুঁকিপূর্ণ রাস্তায় গাড়ি চলার গতি-প্রকৃতি লক্ষ্য করারও সুযোগ পেলাম। পাহাড় কেটে তৈরি করা প্রতিটি রাস্তা খুব বেশি প্রশস্ত না হলেও অত্যন্ত নিখুঁত ও মসৃণ। কোথাও এক হাত রাস্তাও ভাঙাচোরা চোখে পড়েনি। সবচেয়ে অবাক করার বিষয় হলো, রাস্তা প্রচণ্ড আঁকাবাঁকা হওয়ার পরও কোনো গাড়ি মোড়গুলোতে পর্যন্ত হর্ন বাজাচ্ছে না। প্রতিটি রাস্তার মাঝখানে সাদা রঙের দাগ দিয়ে লেন আলাদা করে দেওয়া আছে এবং রাস্তা ফাঁকা থাকার পরও কেউ এই লেন অতিক্রম করছে না, অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে গাড়িগুলো চলছে। যাত্রাপথে পাহাড়ের ঢাল বেয়ে বয়ে আসা 'পোচু নদ' ও 'মোচু নদী'র সঙ্গমস্থলে ছবি তোলার জন্য বাস থেকে নামলাম। জিগমি জানালেন, মো চু হচ্ছে পুরুষ, যার পানি ঘোলা ও উষ্ণ আর পো চু হচ্ছে মেয়ে, যার পানি স্বচ্ছ ও শীতল। দেখতে পেলাম, নদীর সঙ্গমস্থলেই পুনাখা জং অপার সৌন্দর্য নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে, যা বিকেলের আলো-ছায়ায় অপূর্ব দৃশ্যের অবতারণা করেছে। জানতে পারলাম, ১৯০৭ সালে ভুটানের প্রথম রাজা উজেন ওয়াংচুক এখান থেকেই তার শাসনকার্য শুরু করেছিলেন। বর্তমানে এটি বৌদ্ধ ভিক্ষুদের শীতকালীন বাসস্থান। তারপর আমাদের শেষ গন্তব্য সাসপেনশন ব্রিজ, ১৬০ মিটার লম্বা এই ঝুলন্ত ব্রিজ আমাদের সকলকে মুগ্ধ করল।
শেষ দিন আমরা পারোতে অবস্থান করব। পুনাখা থেকে পারো আসার পথে আমরা টাইগার'স নেস্ট দেখতে যাব। আমাদের কেউ কেউ বলছিলেন, ভুটান এসে টাইগার'স নেস্টে না উঠলে ভ্রমণ অপূর্ণই থেকে যাবে। যে কারণে ভ্রমণকে পূর্ণতা দেওয়ার এ সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইলাম না। ট্যুর গাইড নিরুৎসাহিত করলেও আমাদের কয়েকজনের প্রচণ্ড আগ্রহ ও উৎসাহে তিনি রাজি হলেন। পরে অবশ্য বুঝেছি, তিনি কেন আমাদের নিরুৎসাহিত করেছিলেন। তিন হাজার ফুট উচ্চতায় তিনি যখন আমাদের সঙ্গে পাহাড় বেয়ে উঠছিলেন, তখন তিনি বলছিলেন, প্রতিটি টিমের সঙ্গে তাকে এই দুর্গম পাহাড়ে উঠতে হয়; যা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য এবং এ পর্যন্ত তিনি ১০০ বারের বেশি এ পাহাড়ে উঠতে বাধ্য হয়েছেন। খুব ভোরে পুনাখা থেকে রওনা দিলাম এবং ১১টা নাগাদ পারো পৌঁছলাম। বাস থেকে নেমে যারা নেস্টের চূড়ায় উঠতে মনস্থির করেছিলাম, তারা সঙ্গে পানি, জুসের বোতল ও প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করে অভিযাত্রীর বেশে যাত্রা শুরু করলাম। ট্র্যাকিং শুরুর পথে এক ধরনের লাঠি ৫০ রুপির বিনিময়ে ভাড়ায় পাওয়া যায়, যা পাহাড়ে ভর দিয়ে উঠতে সহায়তা করে। প্রায় সকলেই লাঠি ভাড়া করলাম। অর্ধেক পথ ঘোড়ার পিঠে চড়ে যাওয়ার সুযোগ থাকলেও ঘোড়ার পায়ের চেয়ে নিজের পায়ের ওপরই বেশি আস্থাশীল হয়ে হাঁটতে শুরু করলাম। আঁকাবাঁকা ধুলোমিশ্রিত উঁচু পাহাড়ের গা বেয়ে চূড়ায় উঠতে গিয়ে টের পেলাম, এ যাত্রা কতটা কঠিন ও বন্ধুর। পেছন থেকে একে একে সঙ্গী-সাথি ঝরে পড়তে লাগল। দেখতে পেলাম, অনেক বিদেশি পর্যটক ক্লান্তির ছায়া মুখে নিয়ে নেমে আসছে। মাঝেমধ্যে তাদের কাউকে জিজ্ঞেস করছি, হাউ ফার? তারা হেসে জবাব দিয়েছে- ফার। একসময় পায়ের জোর নিঃশেষ হওয়ার উপক্রম হলেও মনে প্রবল জোর নিয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা পর ক্লান্তি জড়ানো শরীরে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম হলাম। পৌঁছেই পর্বতারোহীরা যেভাবে চূড়ায় উঠে ভি-চিহ্ন দেখিয়ে ছবি তোলে, তদ্রূপ আমরাও কয়েকজন বিশ্ব জয়ের তৃপ্তি নিয়ে ছবি তুললাম। পাহাড়ের প্রায় চূড়া থেকে চারদিকে যতদূর চোখ যায়- প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য দেখে দু-চোখ ভরে গেল এবং মনে হলো কষ্ট সার্থক হয়েছে। টাইগার'স নেস্ট নামের সঙ্গে টাইগার থাকলেও এর আশপাশে বাঘের কোনো চিহ্ন নেই। এটি মূলত একটি মনেস্ট্রি, যা স্থানীয়ভাবে পারু তাকসাইং মনেস্ট্রি নামেও পরিচিত। আমাদের গাইড জিগমি জানাল, তিব্বতি ভাষায় তাকসাইং মানে বাঘের গুহা। তিনি আরও জানালেন, ১৬৯২ সালে মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করা হয়, যেখানে ধর্মগুরু পদ্মসম্ভব তিন বছর, তিন মাস, তিন সপ্তাহ, তিন দিন, তিন ঘণ্টা ধ্যান করেছিলেন। প্রচলিত আছে, পদ্মসম্ভব তিব্বত থেকে বাঘের পিঠে করে এখানে এসেছিলেন। আবার অনেকের মতে, ইয়েশে সগিয়াল নামে এক রাজার বউ পদ্মসম্ভবের অনুসারী ছিলেন, যিনি নিজে বাঘিনীতে রূপান্তর হয়ে গুরুকে তিব্বত থেকে এখানে নিয়ে আসেন। যাই হোক, নেস্ট থেকে নামতে আমার খুব বেশি কষ্ট হলো না। তবে উপলব্ধি করলাম, পাহাড়ে ওঠা যেমন ঝুঁকিপূর্ণ, তেমনি নামাও কম ঝুঁকিপূর্ণ নয়। আমাদের দলের একটি মেয়ে নামতে গিয়ে পায়ের গোড়ালিতে ব্যথা পেল। নামার পথে দেখলাম, একজন মহিলা পায়ে প্রচণ্ড ব্যথা পেয়ে কাতরাচ্ছে আর তার স্বামী অসহায়ভাবে বসে বসে সেই পায়ে ব্যথানাশক ওষুধ মালিশ করছে। পরদিন দেশে ফেরার পালা। টাইগার'স নেস্ট জয়ের শারীরিক ধকল তখনও টের পাচ্ছি। তবে এ কথা সত্য যে, শুধু শরীরে ব্যথার রেশ নিয়েই আমাদের দেশে ফিরতে হয়নি; বরং ফিরেছি ভুটান জয়ের একবুক আনন্দ ও সুখকর স্মৃতি নিয়ে, যা আজীবন মনে থাকবে।