ঢাকা মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

রয়্যাল সোসাইটি পদক পেলেন এশীয় বংশোদ্ভূত লেখক

রয়্যাল সোসাইটি পদক পেলেন এশীয় বংশোদ্ভূত লেখক

এড ইয়ং

সমকাল ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | ২২:১৪

১৯৯০ সাল থেকে বিজ্ঞানবিষয়ক গ্রন্থের জন্য রয়্যাল সোসাইটি পদক দিয়ে আসছে ব্রিটেনভিত্তিক কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান সংস্থা রয়্যাল সোসাইটি। ব্রিটিশ পত্রিকা গার্ডিয়ান একে ব্রিটেনের সেরা বিজ্ঞান পদক বলে অভিহিত করে থাকে। বিজ্ঞান ও সারস্বত সমাজের উন্নয়নের জন্য ১৬৬০ সালের ২৮ নভেম্বর রয়্যাল সোসাইটির জন্ম হয়েছিল। এর সদরদপ্তর লন্ডনে। 
২০২৩ সালের অন্যতম আলোচিত বিজ্ঞান গ্রন্থ ‘এন ইমেন্স ওয়ার্ল্ড: হাও অ্যানিম্যাল সেন্সেস রিভিয়াল দ্য হিডেন রিয়ালম অ্যারাউন্ড আস’-এর জন্য রয়্যাল সোসাইটি পদক জিতে নিলেন মালয়েশীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ-আমেরিকান লেখক এড ইয়ং। এড ইয়ং ১৯৮১ সালের ১৭ ডিসেম্বর মালয়েশিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯৪ সালে ১৪ বছর বয়সে ব্রিটেনে আসেন তিনি। মেধাবী ও নতুন কিছুর প্রতি সদা উন্মুখ এড ইয়ং-এর পড়াশোনা লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে। পড়াশোনার বিষয় দর্শন ও প্রাণরসায়ন। জীবনদর্শনের দিক থেকে এডকে একজন নিরীক্ষাপ্রিয় দার্শনিক পরিবেশবাদী হিসেবে অভিহিত করা যায়। পেশাগত জীবনে তিনি সাংবাদিকতাকে বেছে নেন। কর্মক্ষেত্র বিখ্যাত আটলান্টিক ম্যাগাজিন। মহামারি চলাকালীন সাংবাদিক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের জন্য ২০২১ সালে ভূষিত হন সাংবাদিকতার নোবেলখ্যাত পুলিৎজার পুরস্কারে।
‘এন ইমেন্স ওয়ার্ল্ড: হাও অ্যানিম্যাল সেন্সেস রিভিয়াল দ্য হিডেন রিয়ালম অ্যারাউন্ড আস’ বইটি কেন গুরুত্বপূর্ণ? আসা যাক, আমাদের চারপাশের পৃথিবীটা সত্যিই কেমন, সে প্রশ্নে। মানুষের কাছে পৃথিবীটা যেমন, অন্যান্য প্রাণীর কাছে কিন্তু মোটেও তেমন নয়। পৃথিবী ও প্রকৃতির এমন সব রূপ এমন অভিনব দৃষ্টিকোণ থেকে অন্যরা দেখে থাকে, মানুষের জন্য যা অকল্পনীয়। কেননা মানুষ তার ইন্দ্রিয়ের ধরনের কারণে কখনোই জানতে পারবে না, শুধু চোখ দিয়ে নয়, সারা শরীর দিয়ে দেখতে কেমন লাগে (সি অর্চিন)। কিছু প্রাণীর কাছে অনেক প্রাণীই স্রেফ অস্তিত্বহীন। কারণ তাদের অস্তিত্ব অনুভবের ইন্দ্রিয়ই প্রথমোক্তদের নেই। বৃক্ষের কাছে কি আদতে ‘মানুষের’ অস্তিত্ব আছে? 

আরও পড়ুন

×