![আবু ইসহাক [জন্ম :১ নভেম্বর, ১৯২৬- মৃত্যু :১৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৩]](https://samakal.com/uploads/2022/02/online/photos/Untitled-37-samakal-620551240c1fd.jpg)
আবু ইসহাক [জন্ম :১ নভেম্বর, ১৯২৬- মৃত্যু :১৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৩]
'জাল' বাংলাদেশের প্রখ্যাত সাহিত্যিক আবু ইসহাকের একটি গোয়েন্দা উপন্যাস। উপন্যাসটি ১৯৮৮ সালে 'আনন্দপত্র' নামক কাগজের ঈদসংখ্যায় প্রথম প্রকাশিত হয়। এটি লেখা শেষ হয় ১৯৫৪ সালে। উপন্যাসটি রচিত হয়েছিল বাস্তব ঘটনার ওপর ভিত্তি করে। ১৯৫০ সালে বাংলাদেশে [তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান] 'জাল নোট'-এর কয়েকটা মামলার তদন্তের ভার পড়েছিল লেখকের ওপর, সরকারি কর্মকর্তা থাকাকালীন। সেই অনুসন্ধানের অভিজ্ঞতাকে ভিত্তি করেই 'জাল' উপন্যাসটি রচিত।
আবু ইসহাক ছিলেন একজন বাংলাদেশি গ্রন্থকার। তিনি ১৯৪৬ সালে, মাত্র বিশ বছর বয়সে রচনা করেন বিখ্যাত উপন্যাস 'সূর্য-দীঘল বাড়ী' এবং এটি ১৯৫৫ সালে কলকাতা থেকে প্রকাশিত হয়। আবু ইসহাক বাংলাদেশের তৎকালীন মাদারীপুর, বর্তমান শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া থানাধীন শিরঙ্গল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বিভিন্ন সময় বাংলাদেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে ও দেশের বাইরে আকিয়াব ও কলকাতায় বাংলাদেশ দূতাবাসে ভাইস-কনসাল ও ফার্স্ট সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বাংলা সাহিত্যসম্ভারে রচনা সংখ্যার বিচারে স্বল্প হলেও বাংলাদেশের কথাসাহিত্যের এক উজ্জ্বলতম নাম আবু ইসহাক।
ব্রিটিশশাসিত ভারতবর্ষের খণ্ডচিত্র যেমন স্থান পেয়েছে তার লেখনীতে, তেমনি বাংলার স্বাধীনতা-পরবর্তী চিত্রও তুলে ধরেছেন। বাংলা ভাষার নতুন ধরনের অভিধানপ্রণেতা হিসেবেও বেশ খ্যাতি অর্জন করেছিলেন আবু ইসহাক।
স্বামী পরিত্যক্তা জয়গুনের দুই সন্তান নিয়ে বেঁচে থাকার সংগ্রাম, গ্রাম ছেড়ে নগরজীবন গ্রহণ, আবার গ্রামেই ফিরে এলে সমাজপতিদের ধর্মান্ধতা ও প্রতিহিংসা প্রভৃতি আবু ইসহাকের 'সূর্য-দীঘল বাড়ী' উপন্যাসের বিষয়বস্তু। এ উপন্যাসে উঠে এসেছে বিশ্বযুদ্ধ, দুর্ভিক্ষ, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা এবং দেশ ভাগের নানা অভিঘাত।
পদ্মার বুকে জেগে ওঠা নতুন চরের দখল নিয়ে দুই গোষ্ঠীর সংঘাত, খুন, হিংসা-বিদ্বেষ, স্বার্থপর মানুষের সম্পদের লোভ প্রভৃতি বিষয় নিয়ে আবু ইসহাক রচনা করেন 'পদ্মার পলিদ্বীপ' উপন্যাস। উপন্যাসটি প্রকাশিত হয় প্রথমে বাংলা একাডেমির 'উত্তরাধিকার' পত্রিকায় 'মুখর মাটি' নামে (১৯৮৬) সালে। এই উপন্যাসে প্রধান প্রধান চরিত্রের মধ্যে রয়েছে জরিনা, রূপজাল, ফজল, এরফান মাতবর প্রমুখ।
লেখক যখন পুলিশ ছিলেন তখন বেশ কিছু জাল নোটের মামলা তদন্ত করেছিলেন সেই আলোকে রচনা করেছিলেন 'জাল' উপন্যাসটি।
আবু ইসহাকের উপন্যাসটি প্রকাশিত হয় আনন্দপত্র পত্রিকায় (১৯৮৮ সালে)। 'লাঠির জোরে মাটি, লাঠালাঠি কাটাকাটি, আদালতে হাঁটাহাঁটি, এই না হলে চরের মাটি, হয় কবে খাঁটি'- উক্তিটি আবু ইসহাকের 'পদ্মার পলিদ্বীপ' উপন্যাসের।
আবু ইসহাকের গল্পগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে- হারেম (১৯৬২) ও মহাপতঙ্গ (১৯৬৩)। নিজের জীবনের স্মৃতি তুলে ধরেছেন তার নকশাধর্মী রচনা 'স্মৃতিবিচিত্র' নামক স্মৃতিকথায়। 'জয়ধ্বনি' আবু ইসহাকের একমাত্র নাটক। যেটি ১৯৯৭ সালে ধানশালিকের দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। 'মহাপতঙ্গ' আবু ইসহাকের আরেকটি বিখ্যাত ছোটগল্প। সে গল্পের একটি বিখ্যাত এবং মজার সংলাপ- 'বারে বা, বড় পাখির বড় রং, আণ্ডা পাড়ার দেখ ঢং'। যেখানে চড়ূই পাখিরা বিমান থেকে বোমা পড়ার দৃশ্যকে বড় কোনো পাখির ডিম পাড়ার সাথে তুলনা করে এভাবে বর্ণনা করছিল। 'মহাপতঙ্গ' গল্পে একজোড়া চড়ুই পাখির জবানিতে একদিকে বিজ্ঞানের আশীর্বাদ, অন্যদিকে বিজ্ঞানের অভিশাপকে প্রাণপ্রকৃতির সহায়ক ও ধ্বংসের প্রেক্ষিতে বর্ণনা করেছেন।
প্রশ্ন
১। আবু ইসহাক স্নাতক সম্পন্ন করেছিলেন কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে?
২। 'সূর্য-দীঘল বাড়ী' ধারাবাহিকভাবে কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল?
৩। আবু ইসহাকের প্রথম প্রকাশিত রচনার নাম কী?
কুইজ ৪৫-এর উত্তর
১। ১৯২১ সালে
২। হৈমন্তী (হিমের দেশের মেয়ে)
৩। ১৯৩৭ সালে।
কুইজ ৪৫-এর জয়ী
ইশরাত জাহান ইভা
জয়দেবপুর, গাজীপুর।
সানজিদা আক্তার
নবাব সিরাজউদ্দৌলা রোড, চকবাজার, চট্টগ্রাম
নাহিদ হাসান
সলিমুল্লাহ মুসলিম হল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
নিয়ম
পাঠক, কুইজে অংশ নিতে আপনার উত্তর পাঠিয়ে দিন ১৫ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবারের মধ্যে কালের খেয়ার ঠিকানায়। পরবর্তী কুইজে প্রথম তিন বিজয়ীর নাম প্রকাশ করা হবে। বিজয়ীর ঠিকানায় পৌঁছে যাবে পুরস্কার।
আবু ইসহাক ছিলেন একজন বাংলাদেশি গ্রন্থকার। তিনি ১৯৪৬ সালে, মাত্র বিশ বছর বয়সে রচনা করেন বিখ্যাত উপন্যাস 'সূর্য-দীঘল বাড়ী' এবং এটি ১৯৫৫ সালে কলকাতা থেকে প্রকাশিত হয়। আবু ইসহাক বাংলাদেশের তৎকালীন মাদারীপুর, বর্তমান শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া থানাধীন শিরঙ্গল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বিভিন্ন সময় বাংলাদেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে ও দেশের বাইরে আকিয়াব ও কলকাতায় বাংলাদেশ দূতাবাসে ভাইস-কনসাল ও ফার্স্ট সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বাংলা সাহিত্যসম্ভারে রচনা সংখ্যার বিচারে স্বল্প হলেও বাংলাদেশের কথাসাহিত্যের এক উজ্জ্বলতম নাম আবু ইসহাক।
ব্রিটিশশাসিত ভারতবর্ষের খণ্ডচিত্র যেমন স্থান পেয়েছে তার লেখনীতে, তেমনি বাংলার স্বাধীনতা-পরবর্তী চিত্রও তুলে ধরেছেন। বাংলা ভাষার নতুন ধরনের অভিধানপ্রণেতা হিসেবেও বেশ খ্যাতি অর্জন করেছিলেন আবু ইসহাক।
স্বামী পরিত্যক্তা জয়গুনের দুই সন্তান নিয়ে বেঁচে থাকার সংগ্রাম, গ্রাম ছেড়ে নগরজীবন গ্রহণ, আবার গ্রামেই ফিরে এলে সমাজপতিদের ধর্মান্ধতা ও প্রতিহিংসা প্রভৃতি আবু ইসহাকের 'সূর্য-দীঘল বাড়ী' উপন্যাসের বিষয়বস্তু। এ উপন্যাসে উঠে এসেছে বিশ্বযুদ্ধ, দুর্ভিক্ষ, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা এবং দেশ ভাগের নানা অভিঘাত।
পদ্মার বুকে জেগে ওঠা নতুন চরের দখল নিয়ে দুই গোষ্ঠীর সংঘাত, খুন, হিংসা-বিদ্বেষ, স্বার্থপর মানুষের সম্পদের লোভ প্রভৃতি বিষয় নিয়ে আবু ইসহাক রচনা করেন 'পদ্মার পলিদ্বীপ' উপন্যাস। উপন্যাসটি প্রকাশিত হয় প্রথমে বাংলা একাডেমির 'উত্তরাধিকার' পত্রিকায় 'মুখর মাটি' নামে (১৯৮৬) সালে। এই উপন্যাসে প্রধান প্রধান চরিত্রের মধ্যে রয়েছে জরিনা, রূপজাল, ফজল, এরফান মাতবর প্রমুখ।
লেখক যখন পুলিশ ছিলেন তখন বেশ কিছু জাল নোটের মামলা তদন্ত করেছিলেন সেই আলোকে রচনা করেছিলেন 'জাল' উপন্যাসটি।
আবু ইসহাকের উপন্যাসটি প্রকাশিত হয় আনন্দপত্র পত্রিকায় (১৯৮৮ সালে)। 'লাঠির জোরে মাটি, লাঠালাঠি কাটাকাটি, আদালতে হাঁটাহাঁটি, এই না হলে চরের মাটি, হয় কবে খাঁটি'- উক্তিটি আবু ইসহাকের 'পদ্মার পলিদ্বীপ' উপন্যাসের।
আবু ইসহাকের গল্পগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে- হারেম (১৯৬২) ও মহাপতঙ্গ (১৯৬৩)। নিজের জীবনের স্মৃতি তুলে ধরেছেন তার নকশাধর্মী রচনা 'স্মৃতিবিচিত্র' নামক স্মৃতিকথায়। 'জয়ধ্বনি' আবু ইসহাকের একমাত্র নাটক। যেটি ১৯৯৭ সালে ধানশালিকের দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। 'মহাপতঙ্গ' আবু ইসহাকের আরেকটি বিখ্যাত ছোটগল্প। সে গল্পের একটি বিখ্যাত এবং মজার সংলাপ- 'বারে বা, বড় পাখির বড় রং, আণ্ডা পাড়ার দেখ ঢং'। যেখানে চড়ূই পাখিরা বিমান থেকে বোমা পড়ার দৃশ্যকে বড় কোনো পাখির ডিম পাড়ার সাথে তুলনা করে এভাবে বর্ণনা করছিল। 'মহাপতঙ্গ' গল্পে একজোড়া চড়ুই পাখির জবানিতে একদিকে বিজ্ঞানের আশীর্বাদ, অন্যদিকে বিজ্ঞানের অভিশাপকে প্রাণপ্রকৃতির সহায়ক ও ধ্বংসের প্রেক্ষিতে বর্ণনা করেছেন।
প্রশ্ন
১। আবু ইসহাক স্নাতক সম্পন্ন করেছিলেন কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে?
২। 'সূর্য-দীঘল বাড়ী' ধারাবাহিকভাবে কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল?
৩। আবু ইসহাকের প্রথম প্রকাশিত রচনার নাম কী?
কুইজ ৪৫-এর উত্তর
১। ১৯২১ সালে
২। হৈমন্তী (হিমের দেশের মেয়ে)
৩। ১৯৩৭ সালে।
কুইজ ৪৫-এর জয়ী
ইশরাত জাহান ইভা
জয়দেবপুর, গাজীপুর।
সানজিদা আক্তার
নবাব সিরাজউদ্দৌলা রোড, চকবাজার, চট্টগ্রাম
নাহিদ হাসান
সলিমুল্লাহ মুসলিম হল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
নিয়ম
পাঠক, কুইজে অংশ নিতে আপনার উত্তর পাঠিয়ে দিন ১৫ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবারের মধ্যে কালের খেয়ার ঠিকানায়। পরবর্তী কুইজে প্রথম তিন বিজয়ীর নাম প্রকাশ করা হবে। বিজয়ীর ঠিকানায় পৌঁছে যাবে পুরস্কার।
বিষয় : কালের খেয়া আবু ইসহাক
মন্তব্য করুন