যে কেউ যখনই প্রেমে পড়ে, বুঝতে পারি, আমিও তার সঙ্গে প্রেমে পড়ে গেছি। প্রেমিক তো এতদিন উথালপাতাল ছিল, হাওয়ায় ভাসমান ছিল, তার সঙ্গে আমিও উথালপাতাল হয়েছি, হাওয়ায় ভেসেছি। নিজের বুক থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল কী পরিমাণ, তা টের পাচ্ছিলাম প্রেমিকের বুকের রক্তক্ষরণ দেখে। মেয়েটিকে মনে মেখে ছেলেটি যেমন বোকা, যথেষ্ট আউলা এবং অক্ষরজ্ঞানহীন। চিঠি লিখতে পারে না, মেসেজ পাঠাতে পারে না। আমারও ভীষণ নিরক্ষর নিরক্ষর লাগে। প্রেমিক ছেলেটির বুকে শুধু কম্পন আছে, চোখে আছে পিপাসা। কেউ প্রেমে পড়লেই আমার বুক কাঁপে, স্তব্ধতার দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে চোখ শুকিয়ে যায়। নির্ঘুম রাত্রির জানালায় বসে শিস দেয় কাজলডাঙার পাখি। কেউ প্রেমে পড়লেই সেই শিস সে শুনতে পায়, আমিও পাচ্ছি। দ্যাখো, মৎস্যাগন্ধা নদীর ধারে আছে কুঁড়েঘর। সেই ঘরে কেউ নেই, কেউ নেই? আছে। প্রেম আছে, প্রজাপতি আছে। অপেক্ষা করছে বুকের মধ্যে সেই নদী, কুঁড়েঘর! ছেলেটি যখন বর, মেয়েটি কি কবুতর?
যে কেউ যখনই কী নেই কী নেই অনুভব করতে করতে প্রেমে পড়ে, আমিও অনুভব করি কী নেই কী নেই! আমিও বুঝতে পারি, ভালোবাসতে না পারলে কবিতা লেখা স্রেফ একজন কেরানির কাজ। ভালোবাসাই তো কবিতা, এ কথা কি তুরীয়ার নাকে নাক ঘষে আমি শতবার লিখিনি?
আর যখনই কারও প্রেম ভেঙে যায়, মনে হয়, আমারই প্রেম ভেঙে গেছে। আমিও ভাঙা প্রেমিকের সঙ্গে উঁচু পাহাড়ের চূড়া থেকে দ্রুত বেগে গড়িয়ে গড়িয়ে পড়ছি। হয়তো, পাদদেশে পৌঁছানোর আগেই আমার মৃত্যু হবে। ক্ষতবিক্ষত শরীর, পতন হচ্ছে আমার, আমি পাথরের সঙ্গে টক্কর খাচ্ছি শুধু-
এবং যখনই কারও বিয়ে হয়, তখন আমার কী মনে হয়, অনুমান করতে পারো?
যে কেউ যখনই কী নেই কী নেই অনুভব করতে করতে প্রেমে পড়ে, আমিও অনুভব করি কী নেই কী নেই! আমিও বুঝতে পারি, ভালোবাসতে না পারলে কবিতা লেখা স্রেফ একজন কেরানির কাজ। ভালোবাসাই তো কবিতা, এ কথা কি তুরীয়ার নাকে নাক ঘষে আমি শতবার লিখিনি?
আর যখনই কারও প্রেম ভেঙে যায়, মনে হয়, আমারই প্রেম ভেঙে গেছে। আমিও ভাঙা প্রেমিকের সঙ্গে উঁচু পাহাড়ের চূড়া থেকে দ্রুত বেগে গড়িয়ে গড়িয়ে পড়ছি। হয়তো, পাদদেশে পৌঁছানোর আগেই আমার মৃত্যু হবে। ক্ষতবিক্ষত শরীর, পতন হচ্ছে আমার, আমি পাথরের সঙ্গে টক্কর খাচ্ছি শুধু-
এবং যখনই কারও বিয়ে হয়, তখন আমার কী মনে হয়, অনুমান করতে পারো?
মন্তব্য করুন