ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু কারাগারে বসে অসমাপ্ত আত্মজীবনীসহ বাকি বইগুলোতে নিজের যে জীবনকাহিনী লিখেছেন, সেটি জাতির রাজনৈতিক ইতিহাস হয়ে উঠেছে। এটি ইতিহাসের অমূল্য দলিল।

বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের আরসি মজুমদার অডিটোরিয়ামে 'বঙ্গবন্ধু বক্তৃতামালা-১৫ অসমাপ্ত আত্মজীবনী এবং ইতিহাসের পুনর্পাঠ' বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গবেষক, প্রকাশক ও একুশে পদকপ্রাপ্ত লেখক মফিদুল হক। এতে বিশিষ্টজন এসব কথা বলেন। এটি আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর পিস অ্যান্ড লিবার্টি সেন্টার।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর পিস অ্যান্ড লিবার্টির পরিচালক অধ্যাপক ড. ফকরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় আলোচনা করেন 'শতবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়' বইয়ের সম্পাদক অধ্যাপক ড. শরীফ উদ্দিন আহমেদ, সম্মানিত অতিথি ছিলেন কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আব্দুল বাছির।

লেখক মফিদুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু কারাগারে বসে বইগুলোতে নিজের জীবনকাহিনি লিখেছেন, সেটি জাতির রাজনৈতিক ইতিহাস হয়ে উঠেছে। অনেক কথা পাকিস্তান আমলে বলা সম্ভব ছিল না। তাঁকে সংযতভাবে লিখতে হয়েছে। ফলে খাতাগুলো কীভাবে বের হলো, তা তলিয়ে দেখা প্রয়োজন। বঙ্গবন্ধু জেলের ছোট গেট দিয়ে কখনও ঢোকেননি। তিনি এসে বলতেন, 'কে আছিস, গেট খোল।' তখন প্রহরীরা বড় গেট খুলে দিতেন। তিনি যে কোনো পরিস্থিতি হাতে নিতে পারতেন।