জোডিয়াক সাইনে অনেকেই বিশ্বাস করেন না, কেউ কেউ ধ্যান-জ্ঞান মানেন। আমি অত্যন্ত উৎসাহী হয়ে রাশি নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করি। আমার আগ্রহ ফায়ার সাইন। আমি নিজে ধনু কিনা! ধনু দুঃখ মোকাবিলা করে দুঃসাহসিক অথবা রোমাঞ্চকর কাজকর্মে ডুব দিয়ে। আমার বর্তমান প্রেক্ষিত, বাস্তবতার খোলসে একেবারেই আঁটসাঁট। চাইলেই দুঃসাহসিক যাত্রায় ডুবতে পারছি না বলে আক্ষেপের শেষ নেই। মনে হচ্ছে খুব অবলীলায় বলছি এসব হেসেখেলে, আদতে আমি এই চক্র থেকে বেরোনোর পথ খুঁজছি। আমার ধারণা, ঘুরে বেড়াতে শুরু করলে আমার অধিকাংশ অস্থিরতাই গায়েব হয়ে যেত। তা যেহেতু পারছি না, তাই খুব সম্ভবত দুঃখকে আমি মোকাবিলা করছি নাগালে যেটুকু প্রকৃতি পাচ্ছি তাতে ডুবে। রাশিগত বৈশিষ্ট্য অনুযায়ীও এটিই হবার কথা! আমার মনে হয়, মানুষ তার ভেতরের আমিকে নিয়ে ভীষণ রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে একেকটা দিন শুরু ও শেষ করে। তাকে সে ভালোবেসে অথবা ঘৃণা করতে করতে প্রকৃতির দ্বারস্থ হয়। প্রকৃতি মানুষকে কখনও ফেরায় না। আমি এও বিশ্বাস করি, মানুষের উচিত প্রকৃতির বিরুদ্ধে না যাওয়া। মানুষের আরেকটা সহজ প্রতিজ্ঞা হওয়া দরকার, নিজেকে মেনে নেওয়া। সেই তো সাঁইজি বলেছেন, একবার আপনারে চিনতে পারলে রে, যাবে অচেনা রে চেনা! আমি মনে করি, আপনারে চেনার এক দুঃসহ প্রক্রিয়া হলো দুঃখ যাপন। দুঃখ যাপনের এই দুঃসহ প্রক্রিয়ার মধ্যে চূড়ান্ত আনন্দের সন্ধান পাওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এই যাপনের এক পর্যায়ে দুঃখ আর দুঃখ না থেকে পরিণত হয় নস্টালজিয়ায়। তাকে যদি আমি ভালোবেসে সোনালি দুঃখ বলি, তবে কেমন হতে পারে বিষয়টা? দুঃখ যাপন করে মানুষ একা; এর ওপর আর কারও অধিকার নেই। কারণ বা অনুষঙ্গ যাই হোক না কেন, সেটি জয় করে নিতে পারলে মানুষ নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারে। এটি জীবনের একটি অমূল্য অর্জন বলে আমার কাছে মনে হয়।
রক্ত-ক্লেদ বসা থেকে রৌদ্রে ফের উড়ে যায় মাছি। আমি প্রায়ই জীবনানন্দ দাশের কবিতা থেকে শব্দগুলো আওড়াই, তারপর... সোনায় মোড়ানো কিছু ক্ষণ, হয়তো রয়ে যায় সাথে, হৃদয়ের পাশে পাশে হাঁটে আর সাহসের জোগানদাতা সলিলকি ফিসফিস করে আত্মাকে লুব্ধ করে, বলে, ইট শ্যাল পাস ঠ্যু! বলছি, দুঃখ নিয়ে। এই ক্ষণ অথবা এইসব যাপিত বেদনা, হাহাকার। হয়তো হা ডু ডু খেলতে নেমে নিশ্বাস বাজি রেখে দলকে জিতিয়ে দিলে যেমন তৃপ্তি মেলে, দুঃখকে যাপন করে শেষটুকু দেখা গেলে তেমনই কোনো অনুভূতি জন্মে, নিজেকে নিজের একটু জড়িয়ে ধরতে ইচ্ছে করে! নিজের রোগ-ভোগ, শোক-বিয়োগের; যা কিছু আঁকড়ে ধরতে চেয়েছি অথবা ভাবলেশহীন, নিশ্চিতভাবে জেনেছি শুধুই আমার, হারাবে না... অথচ হারিয়েছি, তীব্র মাথা ঝিম, রক্ত হিম করে দেওয়া প্রেমের গভীর সম্ভোগ থেকে উঠে স্বাভাবিক মানুষ হবার চেষ্টা করেছি। অথবা হারিয়েছি আমার মাকে। মাঝে মাঝেই ভাবি আমি, কোথায় চলেছি? চলেছি আদতে কোথাও কি? নাকি দাঁড়িয়েই আছি। মনে হয়, ভিড়ের মাঝে থেমে গেছি, কাঁদছি বিষম। আবার গাল বেয়ে গড়িয়ে পড়া জল শুকিয়ে যায়, হেসে উঠি, ভেসে উঠি। মানুষের সম্মেলনে অথবা মাথার ভেতরে স্মৃতিদের। এই প্রাক-চল্লিশ জীবনজুড়ে মায়ের সঙ্গে সময়গুলো খুঁজতে থাকি তন্ন তন্ন। থমকে যাই হঠাৎ লাশবাহী গাড়ির হিমায়িত নিস্তব্ধতায়। আমার নির্ভার হবার নিশ্চিত ভূমি- মা শায়িত। হঠাৎ ভীষণ কান্না পায়। চিৎকার আমার গলা পর্যন্ত পৌঁছায় না। নিস্তেজ লাগে। যেন বাজপাখির মতো আমারই অন্য সত্তা দেখে, আমি পায়চারি করছি এলোমেলো পায়ে। মা নেই, আমার মা। মা আমাকে জড়িয়ে ধরে, নানুবাড়ির উঠানে। টুপটাপ পাকা টসটসে বড়ই পড়ছিল সাদা ধবধবে কাফনের কাপড়ে মোড়ানো নানু ভাইয়ার প্রাণহীন শরীরে। আমি সেখান থেকে বড়ই খুঁটে নিচ্ছিলাম। মা আদর করে বলেছিল ওগুলো না খেতে। বেলা ১১টা হয়তো তখন। সেদিন ভোরবেলাতেই মা তার বাবাকে হারিয়েছিল। মা যখন আমাকে আদর করছিল, সে-ই আমার সোনায় মোড়ানো স্মৃতি। মা আমার বেসামাল তাকে কেমন করে সামলেছিল, সেই প্রশ্নের উত্তর আমার আর জানা হয় না। আমার এই দুঃখ আমি বলতে পারব শব্দ বুনে, দুঃখের ভারটা দিতে পারব না।
সোনালি দুঃখের কথা বলি। যখন স্কুলে ভর্তি হইনি, মার কাছে অক্ষর শেখার দিনগুলোয়। আমার ভীষণ প্রিয় ছিল মটরশুঁটি। মা আমাকে মটরশুঁটির ছাল ছাড়িয়ে সেদ্ধ করে দিত প্রতি সন্ধ্যায়। ওইটুকুই তো আমার মা, সেই ছোট্ট মেয়েটা আমাকে কেমন করে আগলে রেখেছিল? এত সাহস, এত স্নেহ, এত মমতা যে মা ধারণ করত, নিজেকে নিজে ঠিক ততটা ভালো কি বেসেছিল মা এমন করে? তাকে করা হয়নি এই প্রশ্নও। কারণ মা পরীটাকে আমি হারিয়ে ফেলেছি। এ রকম প্রশ্ন আর ধারণাপ্রসূত উত্তরের খেলা চলতে থাকে। আমার সামনে একটা দুধের মতো সাদা বাটিতে এলিয়ে রাখি বন্য চেরি ফল। স্বাদটা অবিকল সেই দেশি কচি বড়ইয়ের মতো! আমাকে মটরশুঁটির ছাল ছাড়ানোর দীর্ঘ প্রক্রিয়া অতিক্রম করতে হয় না। প্যাকেটজাত মটরশুঁটির দানা কেবল ছড়ানো, শিশুর ঘুমন্ত মুখের মতো সতেজ তার সবুজ। বহু বছর হলো, মটরশুঁটি সেদ্ধ খাওয়া হয় না আর। আমার মেয়েটাকে একদিন বলব, কোনো এক শীতের সন্ধ্যায় মিটমিটে আলোর নিচে, প্লায়াডিইজ খুঁজতে খুঁজতে সে তার বুবুনকে খুঁজে বের করতে যদি পারে, তাহলে 'ও তোতা পাখিরে, শিকল খুলে উড়িয়ে দেব, মাকে যদি এনে দাও' গাইব, আমার মাকে যদি এনে দাও! এক লাখ চুমু দিয়ে মেয়েটাকে জড়িয়ে ধরব তারপর। মায়ার জাল বড় কঠিন, চাইলেই শিকল খুলে দেওয়া যায় না রে পাগল! এই তো সোনালি দুঃখ হে!
এই দেশে, যেখানটায় আপাতত থিতু হয়েছি, সেখানে অটাম আমার সবচেয়ে পছন্দের ঋতু। ছোটবেলায় ঝাউপাতার লোভে ঝাউগাছওয়ালা বাড়ি পেলে, স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে, গাছের পাতা ছেঁড়ার অপরাধবোধ একপাশে রেখে ঝাউপাতা ছিঁড়ে নিয়ে বইয়ের পাতার ভাঁজে রেখে দিতাম। কত শত ঝাউপাতা ঝরে গেছে, বইগুলোই বা আছে কোথায়? এখানে অটামে মেইপল, ওয়াইল্ড গ্রেইপ ভাইন, এলম, রোয়ান, বার্চ, হউথর্ন আরও কত বাহারি সব পাতার ভিড় যে জমে! কমলা, হলুদ, মাঝে মাঝে তীব্র সবুজ পাতারা হাসতে হাসতে ঝরে পড়ে গাছ থেকে মাঠে, ঠান্ডা বাতাসে দোল খেতে খেতে যেন ছেলেবেলার খুব প্রিয় বন্ধুদের মতো বেণি দোলাতে দোলাতে, হাত ধরে নেচেনেচে এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় পৌঁছে যায়। এদেরই কেউ কেউ আবার বড় অবাধ্য! হাইওয়েতে গাড়ির কাচের সামনে এসে পথ দেখাতে দেখাতে সামনে এগোয়। যেন কৃষ্ণচূড়ার বৃষ্টি নেমে যায় কাচে! এমন দিনে কারে বলা যায় পাশে থাকবার কথা? কে থাকে পাশে? কে পাশে না থেকেও থাকে?! পাতারা উড়ে যায়। মাঝে মাঝে একনাগাড়ে সারা দিনমান বৃষ্টি নামে, আকাশ বেয়ে, সব কাজ ফেলে মনে হয়, বসে থাকি। আর কিছুই না করি কেবল ভাবনা কাজে কাজি, ছুঁই একটা-দুটো ফোঁটা, আমার সোনালি দুঃখের মুক্তোদানা।
সোনালি দুঃখ বলে কাকে? নিজের ভেতর থাকে প্রাণের মানুষ, নাম ধরে ডাকে। বলে, আরেকটু এগোলেই বিকেলের রোদ পড়ে যাবে পানকৌড়ি! পা চালাও। ইট-সুরকির রাস্তায় ঝলমল করছে আগুনের মতো আলোকিত রোদ। একটু বিশ্রাম নাও পা এলিয়ে দিয়ে। কলমি দুলবে এলোকেশ ব্রহ্মপুত্রের তীরে, চলে এসো তারপর অচেনা পথকে চিনতে চিনতে বাড়ি। সেই বাড়ি আর ফেরা হয় না। মানুষের কোনো বাড়ি থাকে না। পাখিদের নীড় থাকে। মানুষ মধ্যরাতে বুকের মধ্যে খুঁজতে বসে অধ্যায়। কোন পৃষ্ঠাটা যেন আলগোছে ছিঁড়ে নিয়ে গেছে কেউ, নিজের গল্পগুলো আর মেলানো যায় না? গল্পের বইয়ের মাঝখান থেকে পৃষ্ঠা ছিঁড়ে নিলে সেই সাঁকো পার হয়ে অন্য পাড়ে যাব কেমন করে? যে সময়টুকুতে ভাবছি, কেমন করে যাই? এর মাঝেই ভূমিষ্ঠ হয়ে গেছে ২৫০ মানবশিশু। এক মিনিটে। কেবল এক মিনিট, ৬০ সেকেন্ডের সে কী কসরতটাই না হচ্ছে একটা পুরো মিনিট পূর্ণ করে দিতে! তেমন করেই বাড়ছে বয়স। কত কসরতই না হচ্ছে শরীরের ৭ ট্রিলিয়ন নার্ভের, সংযোগ স্থাপন করে চলেছে মস্তিস্কের সঙ্গে, মেরুদণ্ডের সাথে, দাঁড়িয়ে আছি আমরা। এই প্রক্রিয়ায়ই আশা করছি, স্বপ্ন দেখছি, হচ্ছে ডেজা ভ্যু। অথচ জানি না, পরমুহূর্তে কোন মোড়ে নিয়ে যাবে জীবন বাহাদুর!

আমি কখনও ভাবিনি, আমার শরীরে বেড়ে উঠবে আরও এক শরীর, যে শরীর আমার আত্মজা নিরভানার। আমি মা হতে শুরু করলাম, দানা বাঁধতে শুরু করল শিশু নিরভানা। ওর জন্মাবার সময়টাতে যখন কন্ট্রাকশন শুরু হলো, নার্স, ডাক্তার এসে পূর্ণ হয়ে গেল পুরো থিয়েটার, ওরা দশ থেকে গুনে একে যায়, আমি দম নিই, দম ছাড়তে চাই নিরভানা আমার শরীর থেকে মুক্ত হবে বলে। প্রচণ্ড ব্যথার ওই শিরশিরে অনুভূতির মধ্যে আমি একবার হেসেছিলাম, এখনও মনে পড়ে, অবাক হয়ে আমাকে নার্স বলছিল, আমি ঠিক আছি কিনা! আমি আদতে ঠিক কী ছিলাম, জানি না! আমার মনে হচ্ছিল, আমাকে দিয়েই আমার বিশ্ব গড়া। আমি নেই, তো কে কোথায়? হয়তো বাস করছেন ঈশ্বর, হয়তো পাশে আছেন মেডিকেল প্রফেশনালস। আর এই প্রকৃতির দান আমি মেয়েটাই মা হতে পারে কিছুক্ষণ পর! অপার সম্ভাবনা তাকে ঘিরে। তৈরি হবে মানবসভ্যতাকে জিইয়ে রাখার উপঢৌকন। আমি কতটা পারঙ্গম, আমি কতটা অক্ষম, কেউ তা জানে না! এমনকি আমিও না! আমার শিশুর হার্টবিট ঠিক আছে কিনা, সেই ছিল ভাবনায়। আর সেই দশ থেকে একে ফিরে আসা, কন্ট্রাকশনের সময় বারবার আমার আর নার্সের মিলিত দমের খেলায় আমি হেসেছিলাম। আমার সোনালি দুঃখের ঢেউয়ের কোল বেয়েই যেন দেখা যাচ্ছিল দ্য শার্ড, তাকে মনে হচ্ছিল আমার লাইট হাউস! আমার চোখ গড়িয়ে জল। পাশে মা ছিল না, কে ছিল আর আমার জন্যে? যদি চলে যেতাম দূরে? আমার বিশ্ব থাকত পড়ে, আমার পেছনে? যে জীবন ফড়িংয়ের, দোয়েলের, তাকে রেখেই করতাম প্রস্থান। এই যে দম কাবু করে বেঁচে ফিরি আমরা অথবা দম আনে ফিরিয়ে আমাদের, এ পরম দান কোথায় তুলে রাখি? দুঃখকে ভোগ করতে করতেই একদিন টের পাই, দুঃখ নেই। তখন আবার ইচ্ছে দানা বাঁধে। তখন আবার বর্তমান বহমান তাই ভালো লাগে। মনে হতে থাকে, অতীত চলে গেছে, তাকে যত্নে তুলে রাখি। ভবিষ্যৎ আসবে যদি, তৈরি যেন থাকি। এই যে ক্ষণ, এই ক্ষণের যে নির্মমতা অথবা মাধুর্য, ওকে আরেকটু মন ভরে দেখি। যদি আর কাল না আসে, তবে তো বিগতও গত হয়ে যাবে। যেমন গেছে শৈশব, কৈশোর। ঈদের সেলামি জমিয়ে কেনা আইসক্রিম খেয়ে গলা ব্যথা, তারপর জ্বর, তারপর পা ফুলে বিছানায় পড়ে রিউম্যাটিক ফিভার নিয়ে কাতরানো আমি। সেগুলোই মনে হয় দামি! জ্বরের ঘোরে বাবার হাতের জলপট্টি। আর তো পাওয়ার না সেসব দিন! দ্য সিলভার লাইন স্কাইয়ের মতো মা-বাবা, ভাইকে ঘিরে থাকা সেই দিন চোখের কোল জুড়ে থাকে। আমি এদের বলি সোনালি দুঃখ। সোনালি দুঃখ, স্কুলজীবনে ফেলে আসা মাঠে, সিঁড়িতে। কত মুখ ভুলে গেছি, কত নাম মনে নেই, একসঙ্গে কাটানো দুপুরের কড়া রোদে দাঁড়িয়ে মার্চপাস্টে, পরীক্ষার রেজাল্টের পাস, ফেইল নিয়ে কোলাহল, ব্যাডমিন্টন-ভলিবল কোর্ট, পুকুরঘাট পেরিয়ে গাছের নিচে বসে থাকা। প্রথম চাকরির কনফারমেশন পেয়ে সে কি কান্নাই কেঁদেছিলাম! যদি জানতে চাই নিজের কাছেই, সেসব দিনে ফিরতে চাই কিনা। খুব সম্ভবত ফিরতে আর চাই না। এই যে বহুদূরে এসে গেছি, ওই সময়ের আমিটাকে দেখছি ভরা চোখে, এইটুকু নিজস্বতা আমাকে স্বাবলম্বী হয়ে টিকে থাকার সাহস জোগায়। আমি বরং ধাবমান হতে চাই নতুন কোনো পথে। হয়তো নতুন কোনো স্থানে, মানুষের মাঝে, তাদের প্রয়োজনে। যদি ফিরে আসার মতো হাতছানি পাই, তবে ফিরব। অথবা আমার যাপিত সোনালি দুঃখ থাকবে কালের খেয়ায়, অগস্ত্য যাত্রায়।