পদাবলি

প্রতীকী ছবি
সমকাল ডেস্ক
প্রকাশ: ২২ মার্চ ২০২৪ | ০৫:৩৬ | আপডেট: ২২ মার্চ ২০২৪ | ১৯:৪৪
একাত্তরের দিনগুলি
সোহরাব পাশা
বেদনার অজস্র পঙক্তি অবরুদ্ধ কষ্টকাল
দীর্ঘ নির্জনতার বিষাদ,
ভাঙা করোটির ভিতর অশ্লীল—কাঁকড়ার ‘পা
বে-আব্রু রাত্রির লাল তৃষ্ণা
বারুদের শ্বাসরুদ্ধ গন্ধ ,
বাড়ি থেকে উড়ে যায় সব স্বপ্নবাড়ি -
পড়ে থাকে ছাইরঙ ছায়া,
শব্দ শূন্য-নিঃস্বতার তীব্র আর্তনাদ
প্রিয় চোখে অচেনা ভাষার আবছায়া
মেঘের কুহক,
ঝরা পাতা বিষণ্ণ দুপুর
মাথা নিচু বাড়ি ফেরা বিমর্ষ হাটুরেয
হঠাৎ উধাও তার অন্তঃপুর
তীব্র শূন্যতা জড়ানো বিষাদের স্তব্ধ
কোলাহল,
হঠাৎ আলোর শব্দ
একদিন ভোরের প্রফুল্ল হাওয়ায়
ডানা মেলে স্বপ্নময় সবুজ পাখিরা ;++
নিচে আগুনের নিচে মানুষের মুখ
বধ্যভূমি
শহিদ মিনার
অবিনাশী দেশ-বাংলাদেশ—-
যাপনপুরাণ
মেঘ অদিতি
কেউ বলেনি তবু হঠাৎ নীরব হলো কথা
স্তব্ধভাষা থমকে মরে পথে
আয়না দেখা রোদের দিনে রুধির মাখা ঋতু
একটি তারা পড়লো খসে রাতে
ভূমির টানে আকাশ থেকে লোপাট যদি মেঘ
চতুর হাসি জ্যান্ত খেলো কাকে
দেয়ালে কার হচ্ছে লেখা অন্ধ ইতিহাস
খুনখারাবি বাতাস মেশে বাঁকে
কুহকজালে আটকে গেছে ভ্রমরকালো নদী
পামর এসে ডানা জাপটে ধরে
উঠছে কেঁপে অন্ধকারে ওষ্ঠাগত প্রাণ
সাতটি পাতা ইতস্তত ওড়ে
তথাপি ফুল গন্ধ ধরে পালক রাখে ওম
চেতন যত করছে গতি রোধ
অদূরে কেউ গাইছে শুধু ঘুমপাড়ানি গান
ঘুমের সাঁকো পেরিয়ে গ্যালো বোধ
অসংলগ্ন
মাসুদ খান
সে-এক বুলেট-প্রুফ কুমিরের চামড়ার পোশাকে গা ঢেকে
প্রচণ্ড গোলাগুলির মধ্য দিয়ে পার হয়ে যাব উপত্যকা।
ভুলিয়ে-ভালিয়ে শুইয়ে-রাখা গতকালকের লাশ
ততক্ষণে সটান দাঁড়িয়ে গিয়ে হাঁটা দেবে পূর্বোত্তর দিকে।
ততক্ষণে বিচারকালীন কাঠগড়া থেকে অপরাধী উঠে
সরাসরি গিয়ে বসবেন বিচারকের আসনে।
বিচারক দাঁড়াবেন স্পষ্টত কাঠগড়ায়।
প্রীতির কত যে রীতি! মানুষ বাঁচায় কত বিচিত্র প্রাণীকে—
কাউকে ঘেন্না দিয়ে, কাউকে ভালোবেসে।