- কালের খেয়া
- আদালতের আদেশ অমান্য করে দখলদারিত্ব বজায় রাখার অভিযোগ
যশোরের রাজারহাট শ্মশান
আদালতের আদেশ অমান্য করে দখলদারিত্ব বজায় রাখার অভিযোগ

আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে একটি পক্ষ যশোর সদরের রাজারহাট শ্মশানে দখলদারিত্ব বজায় রেখেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার যশোর প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন শ্মশান কমিটির সহসভাপতি পলাশ বিশ্বাস।
তিনি বলেন, রাজারহাট শ্মশানটি পরিচালিত হয় প্রতি তিন বছর পরপর সাধারণ সভায় কমিটি গঠনের মাধ্যমে। ২০২১ সালের ২৪ ডিম্বের সাধারণ সভার মাধ্যমে রতন কুমার পালকে সভাপতি ও গৌরচন্দ্র সাহাকে সাধারণ সম্পাদক করে ২১ সদস্যের কমিটি গঠন কর হয়। কিন্তু সাবেক নেতা রমেন পাল পদবঞ্চিত হয়ে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র শুরু করেন। এক পর্যায়ে তিনি পূজা উদযাপন পরিষদের সহযোগিতায় বিতর্কিত ব্যক্তিদের নিয়ে নিজে সভাপতি হয়ে পাল্টা কমিটি গঠন করেন। এরপর থেকে রমেন পাল ও তার লোকজন শ্মশানের কাজে বাধা প্রদান করতে থাকেন। এরই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকায় রমেন পালেন নেতৃতাধীন কমিটির সদস্যদের বিবাদী করে সদর সহকারী জজ আদালতে মামলা করা হয়। এ মামলার শুনানি শেষে গত ১১ এপ্রিল রমেন পালের কমিটির কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে আদেশ দেন বিচারক।
পলাশ বলেন, কিন্তু পেশীশক্তির জোরে রমেন পাল ও তার লোকজন শ্মশানের দখলদারিত্ব বজায় রেখেছেন। গত ২৩ এপ্রিল ঈদের দিন যশোর জেলা পূজা পরিষদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের উপস্থিতিতে বহিরাগত সন্ত্রাসী নিয়ে আদালতের আদেশ অমান্য করে নির্মাণ কাজ করেন। খবর পেয়ে কোতয়ালি থানার ওসি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন এবং শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়ে চলে আসেন। এ অবস্থায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
বিষয়টি সুরাহার জন্য রাজনৈতিক, সামাজিক ও সুশীল সমাজের নেতৃবন্দের সহযোগিতা কামনা করেন পলাশ বিশ্বাস।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শ্মশান কমিটির সভাপতি রতন কুমার পাল, প্রভাষ কুমার পাল, কৃষ্ণ সাহা, রাজ কুমার অধিকারী, রবিন অধিকারী, কৃষ্ণ দাস, গনেশ বিশ্বাস, বিপুল সরকার, বিশ্বজিৎ সরকার প্রমুখ।
এদিকে বিবাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নব কুমার কুন্ডু বলেন, রাজারহাট শ্মশান কমিটি নিয়ে বিরোধের জেরে সদর সহকারী জজ আদালতে একটি মামলা হয়। মামলায় রমেন পালসহ কমিটির কয়েকজনকে বিবাদী করা হয়। গত ১১ এপ্রিল উভয়পক্ষের উপস্থিতিতে শুনানি শেষে সদর সহকারী জজ আদালতে বিচারক অভিযোগের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত একটি নিষেধাজ্ঞা আদেশ দেন।
তিনি বলেন, বুধবার সদর সহকারী জজ আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে ও মামলার যাবতীয় কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে আপিল করা হয়েছে। বিচারক শুনানির জন্য আগামী ১৪ জুন দিন ধার্য করেছেন।
মন্তব্য করুন