ওল্ড টেস্টামেন্টে সৃষ্টির বিবরণ লিখতে গিয়ে যেমনটি লেখা আছে– পৃথিবী ঘোর ও শূন্য ছিল আর অন্ধকার জলধির ওপরে ছিল। ঈশ্বরের আত্মা তার ওপর অবস্থিতি করিতেছিলেন, ঠিক তেমনি শিল্প সৃষ্টির সময় স্রষ্টার কাছে সৃষ্টিজগৎ থাকে ঘোর আর শূন্য। তার পেছনের ইতিহাসটি থাকে জলমগ্ন অন্ধকার। তিনি ঠিক নিজেও সব সময় জানেন না ঠিক কোন কোন অভিজ্ঞতার জারকরস জারিত হয়ে তৈরি হচ্ছে তার শিল্পকর্ম বা লেখাটি। কথাসাহিত্যে তবু অনেক সময় অভিজ্ঞতার সরাসরি প্রয়োগ থাকে। কিন্তু কবিতা বা চিত্রকলায় তা থাকে আরও আধো-অন্ধকারে। ফলে স্রষ্টার পক্ষে ঠাওর করা কঠিন হয় সৃষ্টিটি ঠিক কোন কোন অভিজ্ঞতার ফসল। গবেষণামূলক প্রবন্ধে সে সকল উৎসের সূত্র লিখতে হয়। সৃষ্টিশীল রচনায় সে এক অসম্ভব কাণ্ড।
একজন কবি বা লেখক প্রধানত দুটো সূত্র থেকে মালমসলা সংগ্রহ করেন। প্রথমত তাঁর নিজের যাপিত জীবনে পাওয়া সরাসরি অভিজ্ঞতা আর দ্বিতীয়ত অন্যের অভিজ্ঞতা। অন্যের অভিজ্ঞতা মূলত তিনি পান শোনা বা পাঠের ভেতর দিয়ে। রুশ সাহিত্যতাত্ত্বিকরা বলে থাকেন শিল্প মূলত করণকৌশলের ইতিহাস। অন্যরা যে করণের পথ তৈরি করেন, উত্তরসূরিরা সে করণকৌশল ব্যবহার করেন বা ভেঙেচুরে খানিকটা নতুন রূপ দান করেন। ফরাসি তাত্ত্বিক রোঁলা বার্থের ‘লেখকের মৃত্যু’ রচনার কথাও অবশ্য ভুলে যাচ্ছি না। তবে সেটা ভিন্ন দীর্ঘ বিতর্ক। এখানে তুলব না।
ভাষা আয়ত্তকরণতত্ত্ব নিয়ে যারা কাজ করেন, তাদের একটা বড় অংশ মনে করে শিশু তার অভিজ্ঞতার ৭০-৮০ শতাংশ সূত্রীকৃত করে তার তিন থেকে চার বৎসর বয়সের মধ্যে। তার ওপর ভিত্তি করেই সে তার মস্তিষ্কে, যাকে ভাষাবিজ্ঞানী নোওম চমস্কি বলেছেন কালো বাক্সে মূল সূত্রগুলো সাজিয়ে নেয়। পরে বড় সামাজিক পরিসরে তা প্রমিতকরণ করে। কিন্তু মজার কথা হচ্ছে, বড় হয়ে মানুষ তার তিন-চার বছর বয়সের স্মৃতির অধিকাংশই মনে করতে পারে না। ফ্রয়েড এর খানিকটা সমাধান দিয়েছেন। তিনি বলছেন কোনো স্মৃতিই হারায় না। অবচেতন মনে জমা থাকে। পরে স্বপ্নে বা আচরণে তা নানাভাবে নিজেকে প্রকাশ করে। আমারও তিন বছর বয়সের বা তার আগের স্মৃতি মনে নেই। মনে নেই মায়ের পেটে সেই ঘোর ও অন্ধকার জলধিপূর্ণ জীবন।
২. আমার শৈশবের সেই শীতের ভোর রাতগুলো খুব মনে আছে। তখন সাং সিদ্ধেশ্বরপুরের আযমত শাহ্ কুটিরে কুয়াশাঘেরা সকালগুলো নামার প্রস্তুতি নিত। শীত এলেই পশ্চিমের ধর্মপুর গ্রামে কীর্তন শুরু হতো। শুরু হতো দেবীপুরের পালপাড়ায় দুর্গা পূজা। পূজার ঢাকের শব্দ শুরু হতো সন্ধ্যার আগ থেকেই। দিনেও হয়তো শুরু হতো। কিন্তু সে শব্দ হয়তো এসে পৌঁছাত না। রাত একটু বাড়লেই ধর্মপুর গ্রাম থেকে ভেসে আসত কীর্তনের সুর। সে সুর শুনতে শুনতেই ঘুমের দেশে তলিয়ে যেতাম। ঘুম ভাঙত ভোরের আজানে। আম্মা উঠে পড়তেন, আব্বা উঠে পড়তেন। লেপের নিচে শুয়ে শুয়ে বাড়ির লাগোয়া মসজিদ থেকে আসা উস্তার মিয়ার কণ্ঠের সেই আজানের ধ্বনি এক অদ্ভুত অনুভূতি তৈরি করত। কতই-না কাতর সুরের সে আহ্বান। ঘুম থেকে নামাজ ভালো। কল্যাণের দিকে এসো। অর্থগুলো হয়তো পরে জেনেছি। কিন্তু ভিন ভাষায়ও যেন সে আর্তি আর আহ্বান যেন ছড়িয়ে থাকত। আম্মা নামাজ পড়ে আমার বিছানার পাশে রেহেলে পবিত্র কোরআন শরিফ নিয়ে পড়তে বসতেন। বলরামপুরের বিখ্যাত পীরের বাড়ির বেটি অনুচ্চ সুরে মিহি কণ্ঠে কোরআন পাঠ করতেন। তার সে সুরটি ভোরের আবছা আলোর সাথে ছড়িয়ে যেত কুয়াশার ভেতর। তারপর পড়তেন নাগরী পুথি। সিলেটি ভাষায় ও নিজস্ব লিপিতে লেখা সে সকল পুথি। সুর করে পয়ার ছন্দের সাথে হেলেদুলে পড়তেন সে পুথি। তাতে দূরের কোনো দেশে ভাইদের চক্রান্তে পিতৃভূমি ছাড়া হওয়া, জুলেখার প্রেমে বিপদে পড়া ইউসুফের হাহাকারটি ফুটে উঠত। আমার খুব মায়া হতো দূর সুমেরু সভ্যতার ইউসুফের জন্য। মায়া হতো বোয়াল মাছের পেটে আটকে পড়া মানুষটির জন্য। আম্মার পুথি পাঠের ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক হিসেবে যেন তখনও ধর্মপুরের কীর্তনের শেষ সুরটুকু খেলা করত। সুপারি বাগানের ফাঁক গলিয়ে ভোরের রক্তিম মিষ্টি আভা এসে পড়ত আম্মার মুখে। তিনি স্বর্গীয় বিভা লাভ করতেন।
এই শীতকালেই বলরামপুরে বার্ষিক ইসলামী জলসা হতো। আম্মার বাপ-চাচারাই সেগুলোর আয়োজক ছিলেন। ফলে সে সময় বলরামপুর পীরের বাড়িতে থাকত উৎসবের মেজাজ। আম্মা সে উৎসবে যোগ দিতে প্রতি বৎসর এ সময়টাতেই বাপের বাড়ি যেতেন। সকালে আমাদের আযমত শাহ্ কুটিরে উঠানে আসত দুই বেহারার পালকি। বেহারারা আসতেন হরিস্মরণ গ্রাম থেকে। তাদের উঠানে খাবার দেওয়া হতো। তারা বর্ণে নীচু জাত হলেও ধর্মরক্ষা জ্ঞানের কারণে ছোঁয়াছুঁয়ি মেনে চলতেন। পানির জগটাকে এমন করে মুখের সামনে উঁচু করে ধরে জলপান করতেন যে তাতে খানিকটা জল তাদের মুখ গড়িয়ে পড়ত। পানি ঢালার সময় সূর্যের আলোয় তা চিকচিক করত। তাদের সে কায়দাটুকু আমি দেখতাম। কিছুক্ষণের মধ্যেই আম্মার পালকিকে সাদা কাপড় দিয়ে মুড়িয়ে ফেলা হতো। এটা সে সময়ের পর্দাপ্রথা ছিল। পালকিটি দুই বেহারার বলে আকারে থাকত ছোট। শুধু আম্মাই বসতে পারতেন। সাথে আমাকে বেহারারা নিত না। পালকিটা ছুটত ফাটা মাঠ আর তেপান্তর পেরিয়ে। কেটে নেওয়া ধানের মাঠগুলোতে তখন বড় বড় ফাটল কুয়াশায় মুখ ঢেকে থাকত। আমরা জানতাম সে ফাটলের ভেতর শুয়ে থাকে চন্দ্রবোড়া সাপ। শুকনো নাড়ায় পা কাটার আর ফাটলের চন্দ্রবোড়া সাপের ভয় নিয়ে আমি ছোট ছোট পায়ে ছুটতাম আম্মার পালকির পেছনে পেছনে। কিন্তু বেহারাদের বড় বড় পায়ের পদক্ষেপের সাথে দৌড়ে পারতাম না। পেছনে পড়ে যেতাম। পালকিটা আম্মাকে নিয়ে আমাকে পেছনে ফেলে সকালের হালকা কুয়াশার ভেতর ধীরে ধীরে অদৃশ্য হয়ে যেত। আমি মাঝপথে মাতৃহারা হতাম। তখন কাঁদতে কাঁদতে দৌড়াতে শুরু করতাম। তারপর এক সময় দেখতাম পালকিটি কোনো পথের পাশে বা আলে অপেক্ষা করছে। আম্মা পর্দা সরিয়ে আমাকে আদর করে দিতেন। কখনও কখনও বেহারাদের আমাকে পালকিতে তুলে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করতেন। তারা শুনত না। তারপর বলরামপুরের পীরের বাড়ির উৎসবে যোগ দিতাম। বাড়ির পাশের মাঠে বিরাট জায়গাজুড়ে শামিয়ানা টাঙানো হতো। মাইক বাজতে শুরু করত বিকেল হলেই। শামিয়ানার অদূরেই বসত হাট। নানা খাবারের হাট। বাদাম ভাজা চলত সারারাত ধরে। চলত জিলিপি ভাজা। সবচেয়ে আকর্ষণীয় ছিল বরইয়ের গরম গরম আচারসহ নানা পদের ছোলা আর চানাচুরের আয়োজন। আমাদের মূল আকর্ষণ ছিল সেগুলো। সন্ধ্যা হলেই দূরদূরান্ত থেকে আসা বড় বড় আলেম-ওলামা ওয়াজ মাহফিল শুরু করতেন। আমাদের সেগুলোতে মন থাকত না। সন্ধ্যার পরপরই মাহফিলে আসা লোকজনকে বিভিন্ন দলে ভাগ করে গ্রামগুলোর বাড়িতে বাড়িতে রাতের খাবার খেতে নিয়ে যাওয়া হতো। আমি নতুন নতুন খাবারের আশায় সে সকল দলে যোগ দিতাম। রাত একটু বাড়লেই নানাবাড়িতে ফিরে যেতাম। তারপর সারা রাত ধরে শুনতাম আরবের নানা কাহিনি। সেগুলোর বড় একটি অংশজুড়ে থাকত বিষাদ আর বীরত্বগাথা। আমাকে খুব মুগ্ধ করত।
৩. স্কুলে ভর্তি হওয়ার পর পাঠ্যপুস্তকের ছবি আর গল্পগুলো ছিল আমার অন্যতম কল্পনার উৎস। ‘জুলেখা বাদশাহর মেয়ে। তাহার ভারি অহংকার।’– এ রকম ঝরঝরে গদ্যের পাশে হাশেম খানের আঁকা ছবি। বাগানের পাশে বড় বড় চোখের বাদশাহর মেয়ে জুলেখা। কাজলা দিদিকে হারানোর দুঃখ সে পাঠ্যবই থেকেই পাই। মাধ্যমিক পর্যায়ে পড়ার সময়ই কবিতা লিখতে শুরু করি। সন্দেহ নেই সে কাব্যচর্চার উৎস ছিল পাঠ্যবইয়েরই কবিতাগুলো। মনে আছে স্যান্ডস অব ডি নামের একটি ইংরেজি কবিতা ছিল। সেখানে একটি মেয়ে চরে গরু আনতে যাচ্ছে। ঝড়ে পড়ে যাচ্ছে। এ রকম কাহিনিবীজ ছিল। কবিতাটির সম্বোধন আমাকে মোহিত করেছিল।
‘O Mary, go and call the cattle home,
And call the cattle home,
And call the cattle home
Across the sands of Dee;’
The western wind was wild and dank with foam,
And all alone went she.’
এই ঝড়ের ভেতর একাকী মেয়েটির বেদনা নিয়ে কবিতা লিখেছিলাম। নবম শ্রেণিতে ওঠার পর কীভাবে জানি ডাকযোগে বাইবেল শিক্ষা স্কুলে ভর্তি হই। প্রতি সপ্তাহে ডাকযোগে বাইবেলের নানা গসপেল আসত। নিচে ছোট ছোট সহজ প্রশ্ন থাকত। সেগুলো পূরণ করে ডাকে পাঠাতে হতো। ডাকটিকিট লাগানো খাম সাথেই থাকত। প্রতি সপ্তাহে নতুন নতুন গল্পের অপেক্ষায় থাকতাম। বাইবেলের ভাষা ছিল মুগ্ধ করার মতো। ভাষার সে মুগ্ধতা থেকে আজও মুক্তি পাইনি। এসএসসি পরীক্ষার আগেই যুক্ত হই বাম রাজনীতি ধারার সাথে। নিষিদ্ধ ঘোষিত পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির এক সময়ের নেতা, স্থানীয় কবি আবু কায়সার খানের মাধ্যমে সে ধারায় যুক্ত হই। তিনি তখন সম্ভবত সক্রিয় রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন না। হোমিওপ্যাথি চর্চা করতেন। স্থানীয় মুন্সীবাজারে তার চেম্বারে নিয়মিত যেতাম। মূলত কাব্যচর্চার সূত্রে। তিনি আমাকে রুশ সাহিত্যের সাথে পরিচিত করান। তাঁর কাছে ছিল রুশ সাহিত্যের বিরাট সংগ্রহ। নিকোলাই অস্ত্রভস্কির ইস্পাত থেকে শুরু করে মায়াকোভস্কির কবিতা। এ সময় ডাকযোগে আমার কাছে মাসিক সোভিয়েত ইউনিয়ন আর সোভিয়েত নারীও আসা শুরু করে। বিশ্বসাহিত্যের দুয়ার যেন খুলে যায়। সোভিয়েত ইউনিয়ন পত্রিকায় সে সময় দুই বাংলার বাংলা ভাষার বড় কবিদের কবিতা প্রকাশিত হতো। মহাদেব সাহার একটি কবিতা সে সময় আমাকে খুব আক্রান্ত করেছিল। সে সময়ই দৈনিক সংবাদ পত্রিকার গ্রাহক হই। গ্রাহক হই সাপ্তাহিক বিচিত্রার বা রোববারের। সেগুলোর সাহিত্য বিভাগ খুব উন্নতমানের ছিল। দৈনিক পত্রিকাগুলো আমাদের সে অজ পাড়াগাঁয়ে দিনে দিনে আসত না। আসত এক দিনের বাসি হয়ে। আয়াত আলী নামে একজন বুড়ো ডাকপিয়ন ছিলেন। তিনি প্রতিদিন দীর্ঘ চার-পাঁচ মাইল হেঁটে পিঠে করে সেগুলো নিয়ে আসতেন। আয়াত আলী কুঁজো হয়ে গিয়েছিলেন। আমি তাঁর পিঠে করে নিয়ে আসা সংবাদপত্রের আর চিঠির বোঝার অপেক্ষায় থাকতাম। বিকেলে স্কুল ছুটি হলে সেগুলো পোস্ট অফিস থেকে সংগ্রহ করে বাড়ি ফিরতাম। আমার বিকেল আর সন্ধ্যা পার হতো সে বিচিত্রা বা সংবাদ পড়ে। সে সময়ের বাঘা বাঘা সব লেখক লিখতেন এ পত্রিকাগুলোতে। সিলেট রেডিওতে সে সময় দারুণ দারুণ সব সাহিত্য কথিকা হতো। নাটক হতো। আর গানের বড় অংশজুড়ে থাকতেন হাছন রাজা, রাধারমণ, শাহ আবদুল করিমরা। ফসল ওঠার সময় রাতে উঠানে বসত পুথিপাঠ আর লোকগল্পের আসর। আমাদের গ্রামে বড় কথক ছিলেন আব্দুল মান্নান। তিনি দিনে রিকশা চালাতেন বা ক্ষেতে কামলার কাজ করতেন। চাঁদনী রাতে দরাজ কণ্ঠে গাইতেন লোকপালা। বানেছা পরীর গল্প আজও আমার কল্পনায় ভাসে।
কলেজে ভর্তি হওয়ার পর সহপাঠী হিসেবে অনেক সাহিত্যমনা বন্ধু জুটে। এর মধ্যে মুজিব ইরম আর ইকবাল বাল্মিকী তো পরে কবি হিসেবেই নাম করে। সে বন্ধুবৃত্তে ফখর, জিনান, তারেক, হাসান আর কত কত সাহিত্যমনা বন্ধুর নাম রয়েছে। আমরা পালা করে নিষিদ্ধ গল্প তো পড়তামই, পড়তাম সে সময়ের প্রধান প্রধান কবির কবিতা। বলা বাহুল্য, সে সময় আমাদের পাঠের একটি বড় অংশজুড়ে ছিলেন সৈয়দ শামসুল হক, শক্তি চট্টোপাধ্যায়, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, নির্মলেন্দু গুণ, হেলাল হাফিজ, আবুল হাসান, রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ আর মোহন রায়হান। জীবনানন্দ, বিনয়, উৎপলরা বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে প্রিয় হন। এই কলেজ জীবনে আমার স্থানীয় গুরু হয়ে ওঠেন গণকবি দিলওয়ার। আমার শোয়াইব আহমেদ শোয়েব এই দীর্ঘ নামখানা বদলে তিনিই শোয়াইব জিবরান রাখেন। এই সময়ই পরিচয় ঘটে স্থানীয় শক্তিশালী কবি শহীদ সাগ্নিকের সাথে। পরিচয় হয় লেখক আহমদ সিরাজের সাথে। তারা প্রত্যেকেই আমার সে সময়কার লেখার ওপর প্রভাব বিস্তার করেন। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে সে পাঠ আরও বিস্তৃত আর বিচিত্র হয়। কমলকুমার তো চর্চারই বিষয় হয়ে যায়।
এই প্রতিটি পাঠ আর যাপিত জীবনের অভিজ্ঞতার জারকরস হয়ে এসেছে আমার রচনাগুলোতে। আলাদা করে চিহ্নিত করার উপায় নেই। রচনাগুলোর দিকে ফিরে তাকালে তার উৎস হিসেবে জীবন আর পাঠ অভিজ্ঞতাগুলো সমর সেনের কবিতার সেই চরণ, ভুলে যাওয়া গন্ধের মতো মনে পড়ে।
মন্তব্য করুন