আমাকে একাকী রেখে দূরগাঁয়ে– এলে এত পথ
সামনে ডানে ও বাঁয়ে
দেখো কত আগাছা জন্মেছে,
কোথায় দাঁড়ালে এসে এই অবেলায়
ভূমণ্ডল ছেড়ে?
চতুষ্পার্শ্বে ওইসব তৃণলতা মুখ তুলে আছে
জন্মেছে অগুন্তি গোলাপের কুঁড়ি সবখানে–
দেখো কত গুল্মের বাহার
যেন এ-ই আমাদের পরিচিত লোকবাসগৃহ;
ওই দূরে হা-খোলা দরোজা ইশারায় ডাকছে ব্যাকুল–
আমিও সে পথে চাই যেতে
–পারি না তো
লতাগুল্ম চারপাশে পা-ছুঁয়ে দাঁড়ায়।
সেদিন বৃষ্টির দিন– বজ্রবিদ্যুতের ঝলকানিমুখর সন্ধ্যায়
যেই তুমি কুজ্ঝটিকা পিছু ফেলে দাঁড়ালে সম্মুখে, আমি–
স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললাম
পাখা খুলে দাঁড়ালাম এসে নীপবনে।
এই লতা ও গুল্মঘোর আমাকে জাগিয়ে রাখে রোজ।
বলি– শরীরবর্ম খুলে ফিরে এসো গুল্মের সংসারে
কোনো এক মধ্য দুপুরে
ভরা রোদে আমাদের সহবাস হবে পুনর্বার।
বিমল গুহ
প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২৩ । ০০:০০ । প্রিন্ট সংস্করণ
মন্তব্য করুন