ঢাকা শনিবার, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫

যৌবনের অগ্ন্যুৎসবে স্বাগত

যৌবনের অগ্ন্যুৎসবে স্বাগত

কবি হেলাল হাফিজ

হামিম কামাল

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৭:২৪ | আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৭:২৪

প্রেম ও দ্রোহের কবি হেলাল হাফিজ আর নেই। শুক্রবার দুপুরে তিনি মারা যান। গত ৩ অক্টোবর হেলাল হাফিজের সাক্ষাৎকার নেন সমকাল সাংবাদিক হামিম কামাল। তার স্মরণে সাক্ষাৎকারটি পুনরায় প্রকাশ করা হলো। 

জীবন সবার সঙ্গে নিজ ধ্রুব ক্ষমতা দেখায়। প্রাণীর যৌবন সে দেয়, ফিরিয়েও নেয়। শুধু একটি জায়গায় সে অক্ষম। এই অক্ষমতা মানুষের স্বাধীন ইচ্ছার কাছে। প্রাণীর যৌবন ফিরিয়ে নিলেও, প্রাণের যৌবন সে ফিরিয়ে নিতে পারে না। কারণ, তা মানবের ইচ্ছার অধীন। তাই যে বসন্ত দেহে আসে, তা বৃক্ষের মতো নয়; একবারই আসে। কিন্তু যে বসন্ত হৃদয়ের, তা বৃক্ষের বসন্ততুল্য। যতদিন জীবন, ততদিন বাসন্তী, যৌবন।

শাহবাগে তখন রোববারের প্রখর রোদ, আকাশের ‘হেলাল’ প্রায় মধ্যগগনে; আশ্বিনের সূর্য যদিও এত প্রখর থাকে না। সেই সূর্য মাথায় নিয়ে আমি গন্তব্য ধরেছি মর্ত্যের একজন সূর্যের দরজায়, ‘হেলালের’ দরজার। ইচ্ছাধীন অনন্ত যৌবনের অগ্ন্যুৎসবের ঋত্বিক যে ‘হেলাল’। কবি হেলাল হাফিজ। আসছে ৭ অক্টোবর তাঁর জন্মদিন। ছিয়াত্তর বছর পূর্ণ হবে, সাতাত্তরে পা রাখবেন। কালের খেয়ার পক্ষ থেকে আগাম শুভ জন্মদিন, কবি!

বোহেমিয়ান জীবনের প্রতীক হেলাল হাফিজ তাঁর ঠিকানা বদলেছেন বারবার। অধরা ছিলেন, আজও আছেন; তাঁকে ঘিরে রহস্য বেড়েছে; বেড়েছে তাঁর প্রতি ঝোঁক; সেই ঝোঁকে গ্রস্ত যত লোক তাঁর কাছে আসতে চেয়েছে, নিজস্ব ‘লোক’ নিয়ে অর্থাৎ জগৎ নিয়ে কবি সরে গেছেন দূরে। আনন্দময় স্বেচ্ছানির্বাসন? হয়তো। এই নির্বাসনের উপহার যেমন পেয়েছেন, জীবন এর টোলও কি কেটে নেয়নি? তবে যাত্রার অমূল্যের কাছে টোলের মূল্য হয়তো উপেক্ষা করা যায়।

রোববার, ২৯ সেপ্টেম্বর, সকাল এগারোটা চল্লিশে আমি তখন সুপার হোস্টেলের লবিতে। কবি হেলাল হাফিজের বর্তমান ঠিকানা।

হোটেলের সোনালি রুপালি লবির ভেতর ঘোর শীতকাল চলছে। পেতে রাখা সোফায় দেশি মানুষেরা হাসছে, কথা বলছে, পান করছে। দুজন চৈনিক পুরুষ ও একজন নারী এসে পেতে রাখা চেয়ারে বসে বিরাট লাগেজ একপাশ করে রাখলেন। মনে হলো এখানে রুম ভাড়া নিতে চান। অভ্যর্থনায় দুজন বাঙালি বসে আছেন। তাদের পেছনে চীন ও বাংলাদেশের পতাকা পাশাপাশি।

কথা বলে বোঝা গেল, কবির এই অস্থায়ী ঠিকানায় পৌঁছাতে যত না বেগ পেতে হয়েছে, তারচেয়ে বেশি বেগ পেতে হবে কবির দরজায় পৌঁছাতে। কেননা, তিনি এই হোস্টেলের একজন অতি গুরুত্বপূর্ণ বোর্ডার। অতি অল্প সময়ের শর্ত জুড়ে একজন স্টাফকে সঙ্গে দিয়ে আমাকে কবির কাছে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হলো। আমি হাত তুলে বললাম, পাঁচ মিনিটে আমার হবে না। অন্তত এক ঘণ্টা লাগবে। কথা শুনে স্টাফ খানিকটা দমে গিয়ে বললেন, দেখুন যতটা পারেন তাড়াতাড়ি করবেন, এটাই চাওয়া। তিনি অসুস্থ।  

ভাবছিলাম যৌবন যাঁর ইচ্ছাধীন, তিনি অসুস্থ হলেও প্রফুল্ল থাকবেন নিশ্চয়ই। আমার স্মৃতিতে দুই বছর আগেকার তাঁর ছবি তখনও স্পষ্ট। সদ্যই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে রয়েছেন কবি ইসমাত শিল্পীর বাড়িতে। অসুস্থ তখনও, কিন্তু চোখের আলোয় তা ধরা পড়ার উপায় কোথায়। মনে মনে আশাও করে আছি, তেমনই তাঁকে দেখব। কিন্তু চৌকাঠে দাঁড়িয়ে কবিকে দেখে, স্টাফের কথাটা নতুন করে কানে বাজল। একটু তাড়াতাড়ি করবেন ...

কবি যেন দু’বছর আগের সেই শারীরিক ও মানসিক অবস্থায় নেই আর এবার। আরও রুগ্‌ণ হয়েছেন, ত্বকে ছায়া পড়েছে। চোখে ছায়া পড়েছে। শুভসকাল দেওয়ার সময় তখনও পার হয়ে যায়নি। আমি বললাম, শুভসকাল হেলাল ভাই! কেমন আছেন?

ঘরটা চৌকো। একটা সাধারণ বসার ঘর। পশ্চিমের দেয়ালের সঙ্গে লাগোয়া টানা আরামকেদারা, আর পূর্বের দেয়ালের সঙ্গে সাঁটা একটা ফ্ল্যাটস্ক্রিনের টেলিভিশনে কোনো একটি বেসরকারি সংবাদ চ্যানেল খোলা। মাথার ওপর পাথা ঘুরছে। কবি আরামকেদারায় বসেছেন, সামনে কাচের চা-টেবিল। কবির পরনে গাঢ় রঙের চেক লুঙি আর খয়েরি রঙের টি-শার্ট। বললেন, এসো হামিম, কেমন আছ? মাহবুব বলেছে তুমি আসছ।
কবির চোখে সেই আলো কোথায়, সেই প্রফুল্লতা কোথায়? কথা কটা বলতে না বলতেই কাশতে শুরু করলেন। বেশ গভীর থেকে উঠে আসছে। শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে বোঝা গেল।

হেলাল ভাই, আপনাকে এমন দেখব ভাবিনি।

আমি দুই বছর যাবৎ বেশ অসুস্থ। গত বছর প্রায় ছয় মাস হাসপাতালে ছিলাম। সিএমএইচে তিনবার, বারডেমে একবার, বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে একবার। শরীর আর ভালো হচ্ছে না। বোধ হয় শেষ পর্যায় চলছে।
অসম্ভব, হেলাল ভাই। কেন এমন কথা বলছেন।

অনেক সমস্যা যে, বললেন হেলাল হাফিজ। হৃৎপিণ্ড, ফুসফুস সব আক্রান্ত। সবচেয়ে বড় সমস্যা ডায়াবেটিস।
আরও অন্তত চারটি ঘরের সঙ্গে লাগোয়া এই বসার ঘর সব বোর্ডারের জন্য কমনরুমের মতো। সোফায় যখন কবির পাশে বসেছি, পূর্ব কোণে একটি ঘরের দরজা খোলা দেখতে পেলাম। বাদবাকি দরজাগুলো বন্ধ। খোলা দরজার ঘরটি ছোট, এক বিছানার ঘর। সিঙ্গেল খাট পাতা। বিছানার ওপর পুরু ধূসর চাদর কিছুটা বিষণ্নতা ছড়াচ্ছে। সঙ্গেই কাচের জানালা, কপাট বন্ধ। জানালার ওপর অপরিসর দেয়ালে শীতাতপ যন্ত্র। হেলাল ভাই বললেন, ওটাই আমার ঘর। দেখে এসো?

আমি উঠলাম। দেখতে গেলাম কবির ঘর। কবির নামটি হেলাল হাফিজ! হ্যাঁ, ছোট বিছানার ঘর, বিছানা থেকে পা জোড়া নামিয়ে দাঁড়িয়ে আর এক পা বাড়লেই দেয়াল। বিছানার শিথানের কাছে ছোট্ট টেবিল। সেখানে টেলিফোন। ঘরে রাতে চলা শীতাতপ যন্ত্রের কোমল শীতলতা রবীন্দ্রসংগীতের রেশের মতো রয়ে গেছে। বিছানাটা দক্ষিণ উত্তরমুখী। দক্ষিণে দেয়াল, উত্তরে একটুখানিক জায়গা। সেখানে একটা চৌপায়ার ওপর ধূসর লাগেজ। খোলা ডালার সরু ফাঁক দিয়ে ভেতরে ভাঁজ করা, ধোয়া কাপড়, নানার রঙের। ধূসর লাগেজ দেখে মনে হলো, চতুর্দিকে কেন এত ধূসর ছড়ানো? কবি তো যৌবনের অগ্ন্যুৎসবের কবি। অগ্নি-উৎসবের জ্বলা-বাসন্তী রংটি কোথায়।

হয়তো সেটা মনের কোণে এখনও আছে। কিন্তু মলিন চোখে খবর দেখতে থাকা কবির দিকে তাকিয়ে সেই বাসন্তীর খোঁজ মিলল না। মনটা কাঁদল। ইচ্ছা হলো আজ অনেক সময় থাকি। কবি ভালো নেই।
হেলাল ভাই, আপনার সময় কীভাবে কাটছে?

গত দুই বছর আমি প্রেস ক্লাবেও যেতে পারি না।

ভাবছিলাম, আহা, সেই প্রেস ক্লাব।

আমার কষ্টেরা বেশ ভালোই আছেন,

প্রাত্যহিক সব কাজ ঠিকঠাক করে চলেছেন

খাচ্ছেন-দাচ্ছেন, অফিসে যাচ্ছেন,

প্রেস ক্লাবে আড্ডাও দিচ্ছেন।

... আজকাল আমার কষ্টেরা বেশ ভালোই থাকেন,

অঙ্কুরোদ্গম প্রিয় এলোমেলো যুবকের

অতৃপ্ত মানুষের শুশ্রূষা করেন। বিরোধী দলের ভুল

মিছিলের শোভা দেখে হাসেন তুমুল ...

কবি ছিলেন আড্ডা অন্তঃপ্রাণ, প্রেস ক্লাব ছিল তাঁর তীর্থ। বাংলাদেশের জন্মোত্তর কালে, দেশকে যারা শব্দ ব্রহ্মের প্রশ্রয়ে শৈশব থেকে কৈশোরে, কৈশোর থেকে যৌবনে পৌঁছে দিয়েছিলেন, হেলাল হাফিজ যাদের একজন, সেই তাদের অনেকেরই তীর্থ ছিল প্রেস ক্লাব।

একটি কালপর্বকে সাথি করে তারা একে একে সেই তীর্থকে আড়াল হতে দেখছেন। প্রেস ক্লাবের সূত্রেই সৈয়দ শামসুল হকের কথা মনে এলো। প্রেস ক্লাব তাঁরও তীর্থ ছিল। ২৭ সেপ্টেম্বর তাঁর মৃত্যুদিন অতিক্রম করেছি আমরা। কবি বললেন, আগে একটু নিচে যেতে পারতাম। লবিতে। বিকেলে গিয়ে হয়তো হাঁটতে পারতাম। এই যে তুমি এসেছ, আমি নামতে পারিনি।

বিনীত কবির সৌজন্য আমাকে বরাবরই মোহিত করে এসেছে। বললাম, আমি আপনার কাছে আসব এটাই স্বাভাবিক, হেলাল ভাই। তবে বুঝতে পারছি। ডায়াবেটিসটা একটু পরখ করে যেতে পারলে ভালো হতো। এখানে মাপার যন্ত্র আছে?
না, যন্ত্র তো নেই।
খেতে পারেন কি?

খেতে তেমন পারি না, বললেন হেলাল হাফিজ। একে তো হোটেলের রান্না, উপরন্তু মুখে রুচি নেই। খেতে পারি না বলেই দেখো শুকিয়ে গেছি। সর্বশেষ যোগ হয়েছে শ্বাসকষ্ট। দুই মিনিট কথা বললেই আর পারছি না। খুব কষ্ট হচ্ছে। কিছু করার নাই। এই তথ্যটা দিও যে আমি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। একাকিত্ব তো আছেই। এই বয়সে কেউ একজন পাশে পাশে থাকলে ভালো লাগে। একা একা থাকি। কোনো পরিবারের সঙ্গে থাকলে সঙ্গ পাওয়া যেত। কিন্তু সেই সুযোগ তো আর নেই।

এই সময় হেলাল ভাই আমার দিকে তাকিয়ে হেসে একটা কথা বললেন। সেই কথাটি এবং সেই মুহূর্ত আমার শ্রুতিতে, আমার স্মৃতিতে চিরকালের জন্য বন্দি হয়ে থাকবে। বললেন, যে দিন গেছে, তা তো আর ফেরানো যাবে না। যদি ভুল করে থাকি, শোধরানোর উপায় এখন আর নেই।

আমাদের পেছনেই একটা আয়তাকার জানালা। একটি-দুটি কপাট খোলা তার। পেছনে থেকে আলো এসে কবির মুখের একপাশে পড়েছে। সাদা খর্ব দাড়ি, গালে  ভাঁজ পড়া কোমল হাসিমুখ, অবিন্যস্ত চুল আর গ্লোকোমায় আক্রান্ত বয়সী চোখের ভেজা আলোর সুন্দরে, একটি গাঢ় বিষণ্ন মুখ, প্রকৃতির আঁকা আলোকচিত্রে কেমন স্থির হয়ে আছে। আমি তাকিয়ে থাকি ক’ মুহূর্ত। হেলাল ভাই কী বলছেন এটা। জানি না আগে কখনও কাউকে এমন বলেছেন কিনা, কিন্তু আমি শুনতে পাইনি। স্থির হয়ে গেলাম।

বললাম, হেলাল ভাই। একা থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন জীবনে। সেটাকেই কি ভুল বলছেন?
হেলাল ভাই হাসলেন।

আমার মনে পড়ল দুই বছর আগে, কবির ছোট ভাই নেহাল হাফিজের সঙ্গে ফোনে আলাপ হয়েছিল আমার। তিনি বলেছিলেন, বড় ভাইকে কাছে নিয়ে রাখার খুব ইচ্ছা তাঁর। এদিকে হেলাল ভাইও বলছেন, একটা কোনো পরিবারের সঙ্গে যদি থাকতেন, হয়তো একটু হলেও ভালো হতো। বললাম তাঁকে সেই কথা।
হেলাল ভাই। আপনার ছোট ভাই আপনাকে সঙ্গে রাখতে চেয়েছিলেন। যাবেন?

হেলাল ভাই বললেন, নেহাল কান্নাকাটি করে, যেতে বলে। কিন্তু আমি কারও বোঝা হতে চাই না। একা আছি, কষ্ট হচ্ছে। তবু একটা শান্তিও আছে– আমি কাউকে বিরক্ত করছি না। কিন্তু ওটা একটা পরিবার হতে পারত।

তা ঠিক। ওটা একটা পরিবার হতে পারত। তবুও। কারও বোঝা হতে চাই না। এই বার্তাটাই তুমি দিও, আর যে ক’দিন পারা যায় সংগ্রাম করেই বাঁচতে চাই।

হোটেল প্রসঙ্গে চলে গেলেন হেলাল ভাই। বললেন, এই হোটেলটা কিন্তু মোটামুটি ভালো। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। সাধারণ আইনকানুনগুলো ভালো। এরা বোর্ডারদের যত্নও নেয়। বন্ধ দরজাগুলো একেকটা ঘরের। অন্য বোর্ডাররা থাকেন। নানা ধরনের ঘর আছে। চারজন, ছয়জন, আটজনের পর্যন্ত রুম আছে। সিঙ্গেল রুম কম। ওই অনুপাতে ভাড়া। থাকা এবং তিন বেলা খাবার। সকাল, দুপুর, রাত।

হেলাল ভাই, কিছু কি পড়তে পারেন এখন?

পড়তে পারি না, চোখে গ্লোকোমা যে! বাম চোখটা একেবারেই নষ্ট হয়ে গেছে। ডান চোখটা এখনও একটু ভালো আছে। কিন্তু ধীরে ধীরে তার আলোও নিভে আসছে, আমি বুঝতে পারছি।

আমি কি কিছু পড়ে শোনাব?

না, দরকার নেই।

হেলাল ভাই, বললেন না, নিঃসঙ্গ জীবন বেছে নেওয়াকেই ভুল বলছেন কিনা?

অনেকেই এ কথা জানতে চান। মাঝে মাঝে মনে হয় পরিবার হলে সঙ্গ পাওয়া যেত। তবে সঙ্গ থাকার অনেক জটিলতাও আছে। একেবারেই মনের মতো সঙ্গী তো দুর্লভ। কোটিতে একজন হয় কি হয় না।

দুজনে হাসলাম। হেলাল ভাইয়ের শ্বাস ফুরিয়ে আসছে বারবার। মনে হলো, তাঁকে বিশ্রাম দেওয়া উচিত।

বিদায় নিয়ে আমি নেমে এলাম সুপার হোস্টেলের সোনালি শীতাতপ লবিতে। বাইরে দুপুর নেমেছে। ‘হেলাল’ এখন প্রকৃতই মধ্যগগনে। পৃথিবীর সাপেক্ষে সূর্য কখনও মধ্য আকাশে, কখনও সায়াহ্নে। তাতে কী? সূর্য– হেলাল স্বয়ং তো সর্বসময় গনগনে, সাপেক্ষ-বর্তমান থেকে মুক্ত। হেলাল হাফিজের প্রশান্ত, প্রফুল্ল মূর্তিই হৃদয়ে স্থায়ী হোক, মনকে বললাম।

সংযুক্তি– আসছে জন্মদিনে চিরযৌবনের অগ্ন্যুৎসবে আবারও স্বাগত, হে কবি।

আরও পড়ুন

×