প্রদর্শনী
মননের রঙ

সিরাজুল ইসলাম আবেদ
প্রকাশ: ০৪ নভেম্বর ২০২১ | ১২:০০
বিচিত্র সব ছবি। বিচিত্র তার রঙের ব্যবহার। কোনো শিরোনাম নেই। কোনো নির্দিষ্ট অবয়বও নেই। অথচ তাকিয়ে থাকলে অনেক কিছুই মনে হয়। গাড়ির ধুলোমাখা গ্লাসে যদি বৃষ্টির কয়েকটা ফোঁটা পড়ে তাহলে যেমন একটা জটিল আবছায়া প্রতিবিম্বের সম্পাদ্য তৈরি হয়, কিছু ছবি তেমন মনে হয়। আবার কিছু ছবিকে নকশিকাঁথার মতো একটা সূক্ষ্ণ কারুকাজ বলে মনে হয়। কোনোটা মনে হয় নিছক আঁকিবুঁকি। কোনোটা মনে হয় আজগুবি, আবার কোনোটাকে মনে হয় ঝড়, বৃষ্টি, মানুষের অবয়ব। ছবিগুলো আমার কাছে পুরোটাই রহস্য। তবে সুন্দর।- লেখক ও উন্নয়নকর্মী চিররঞ্জন সরকারের বর্ণনায় এভাবেই উঠে এসেছে শিল্পী মনন মোর্শেদের প্রথম একক প্রদর্শনী 'শাট আউট অব সাইট'।
'শাট আউট অফ সাইট' বাংলায় বলা যেতে পারে- দৃশ্য থেকে দূরে। সময়ের ঘটনাপ্রবাহ- সমাজবাস্তবতা, রাজনীতি, অর্থনীতি; একজন সংবেদনশীলের মানসপটে যে গভীর রেখা ফেলে, তা হয় তো দেখা যায় না, ছোঁয়া যায় না; আবার তার অস্তিত্ব অস্বীকারও করা যাবে না। মানসপটের সেই বিমূর্ত রেখা, রং, ফর্মকে মনন মোর্শেদ মূর্ত করে তুলেছেন তার ক্যানভাসে রং-তুলির মূর্ছনায়। অনিবার্যভাবেই সেখানে ধরা দিয়েছে শিল্পীর নিজস্ব দৃষ্টিভঙি, আপন কৌশলে তা ফুটিয়ে তোলার দক্ষতা। শিল্পীর আনন্দ-বেদনা, তাপ ও চাপ কিংবা অন্তর্নিহিত ঝড়ের বিমূর্ত প্রকাশ চোখকে শান্তি দেয়, মনে আনন্দ আনে; কখনোবা আর্দ্র হৃদয়ে ফিরতে হয় শিল্পকর্মের এক ফ্রেম থেকে অন্য ফ্রেমে। দৃষ্টির বাইরের দৃশ্য ধরা দেয় অনুভূতির স্পর্শে।
১৯৭৬ সালে নওগাঁয় জন্ম নেওয়া মনন চারুকলার একাডেমিক পাঠ নিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট (বর্তমানে চারুকলা অনুষদ) থেকে। ১৯৯৯ সালে সম্পন্ন করেন স্নাতক ডিগ্রি। চারুকলায় ভর্তির পর থেকেই তিনি একই সঙ্গে একজন শিল্পী ও গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। মনন মোর্শেদ দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে একজন শিল্পী, ফটোগ্রাফার, চিত্রকর, গ্রাফিক ডিজাইনার, উদ্যোক্তা, কর্মী এবং সংগঠক হিসেবে কাজ করছেন।
খুব অল্প বয়স থেকেই শিল্পী তার ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতা প্রকাশের হাতিয়ার হিসেবে শিল্পকে গ্রহণ করেন। বিগত শতকের ৮০-এর দশকের শেষভাগে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে বিভিন্ন ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদ, দেয়াল পত্রিকা এবং রাজনৈতিক পোস্টারের মাধ্যমে মনন তার ভাবনার প্রকাশ ঘটাতে শুরু করেন। তখন তিনি সবেমাত্র সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। বরেন্দ্রর লালমাটি, নদী, গাছ, সবুজ প্রকৃতি, সেই সঙ্গে প্রগতিশীল রাজনৈতিক ভাবনা, শ্রেণিসংগ্রাম মননের শিল্পচিন্তায় যে গভীর ছাপ ফেলে যা শিল্পীকে প্রতিনিয়ত তাড়িত করেছে। সেই সঙ্গে খুব কাছে থেকে দেখেছেন নিজের মাকে। মুক্তিযুদ্ধে সন্তান হারানো এক মা। দেশের জন্য যার কিশোর সন্তান প্রাণ দিয়েছিল, সেই দেশটাকে নরখাদকদের ছিঁড়ে-খুঁড়ে খাওয়ার দৃশ্যে বেদনাহত এক মা। ছেলের লাশ কাঁধে ফেরা এক বাবা। কিংবা দৃশ্যত কখনও না দেখা শহীদ সেই ভাই- শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মামুন; দেশের জন্য, আদর্শের জন্য, মেহনতী মানুষের মুক্তির জন্য মামুনের মতো প্রাণ দেওয়া লাখো মামুন বুঝি মননের প্রতিনিয়তই দেখা হয়। যে ছবি আমরা দেখি না। আর সে জন্যই মননের ক্যানভাসজুড়ে বেদনার নীল বা রক্তাভ জমিনের মধ্যে ভেসে ওঠে বেদনার্ত মুখাবয়ব। জেগে থাকে চোখ, আহত, ক্ষত-বিক্ষত। তবু, ধুসর অন্ধকার ভেদ করে ছুটে চলে সংশপ্তক। এ ছোটার যেন শেষ নেই। কখনোবা শুধুই ক্ষরণ- নীরবে-নিভৃতে, কোষে-রক্তে, গভীর থেকে গভীরে।
গ্যালারিতে ঘুরতে ঘুরতে মনন মোর্শেদ বললেন, এতোদিন তো অন্যের চাহিদা মেটাতে কাজ করেছি- পত্রিকায় বা এনজিওতে। বলতে পারেন ফরমায়েস অনুসারে জোগান দিয়েছি। নিজের কথাটা বলা হয়নি। এখানে নিজের কথাই বলতে চেয়েছি।
নিজের কথা নিজের মতো করে বলবেন বলেই তিনি কাঠামোগত অনুশীলন থেকে বেরিয়ে আসতে শুরু করেন। ২০১৮ সালের পরে তার ভিজ্যুয়াল ভাষাকে ডিকনস্ট্রাক্ট করার দিকে তার জৈব যাত্রা শুরু হয়। দ্বীপ গ্যালারির সাম্প্রতিক শিল্পকর্মগুলো মননের নিজেকে পুনরায় আবিস্কারের আভাস দেয়। 'শাট আউট অফ সাইট'-এর শিরোনামহীন শিল্পকর্মের সিরিজটি সেই সময়টিকে প্রকাশ করে যখন মনন মোর্শেদ কলম, কাগজ এবং রঙের সঙ্গে তার সম্পর্ক পুনর্নির্মাণ শুরু করেছেন। দীর্ঘ দুই দশকের কর্মজীবনের পর্ব ঘুচিয়ে শিল্পী যেন রং ও ফর্মের এই দুর্দান্ত অভিব্যক্তি নির্মণে বসেছিলেন। প্রদর্শনীর ছবির ফিগারগুলোর গতি ও ভঙিমা নতুন করে সংজ্ঞায়িত হওয়া প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে। মননের লাইনগুলো ভেজা রঙের সঙ্গে খেলা করে এবং কালি তার ইচ্ছামতো গলে যায়। সময় এবং আবেগের বিস্ম্ফোরণ কাগজের ক্যানভাসের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত, যা এখন দ্বীপ গ্যালারির দেয়ালজুড়ে ঝুলছে।
রাজধানীর লালমাটিয়ায় দ্বীপ গ্যালারিতে শুরু হওয়া প্রদর্শনীটি একযোগে বারিধারায় ব্রিটিশ হাইকমিশনারের বাসভবনে প্রদর্শিত হচ্ছে। ২২ অক্টোবর প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন ভাস্কর ও চিত্রশিল্পী হামিদুজ্জামান খান। সঙ্গে ছিলেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন ও শিল্পী কাজী সালাহউদ্দিন আহমেদ। প্রদর্শনীটিতে যুক্ত রয়েছেন দুইজন কিউরেটর। দ্বীপ গ্যালারি অংশে কিউরেট করেছেন শিল্পী ও শিল্প সমালোচক মুস্তফা জামান এবং ব্রিটিশ হাইকমিশনারের বাসভবনে কাজটি করেছেন শিল্পী ও সংগঠক তেরেসা অ্যালবার। ব্রিটিশ হাইকমিশনারের বাসভবনের ২০১২ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত একশর অধিক ছবি স্থান পেয়েছে। অন্যদিকে দ্বীপ গ্যালারির প্রদর্শনীতে রয়েছে ২০১৬ থেকে বর্তমান পর্যন্ত ৮৩টি ছবি। বিমূর্ত ধারায় মিশ্র মাধ্যমে দুই শতাধিক ছবি নিয়ে দুই জায়গায় শুরু হওয়া এ প্রদর্শনীর বারিধারার পর্বটি ৬ নভেম্বর শেষ হলেও লালমাটিয়ার পর্বটি ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
'শাট আউট অফ সাইট' বাংলায় বলা যেতে পারে- দৃশ্য থেকে দূরে। সময়ের ঘটনাপ্রবাহ- সমাজবাস্তবতা, রাজনীতি, অর্থনীতি; একজন সংবেদনশীলের মানসপটে যে গভীর রেখা ফেলে, তা হয় তো দেখা যায় না, ছোঁয়া যায় না; আবার তার অস্তিত্ব অস্বীকারও করা যাবে না। মানসপটের সেই বিমূর্ত রেখা, রং, ফর্মকে মনন মোর্শেদ মূর্ত করে তুলেছেন তার ক্যানভাসে রং-তুলির মূর্ছনায়। অনিবার্যভাবেই সেখানে ধরা দিয়েছে শিল্পীর নিজস্ব দৃষ্টিভঙি, আপন কৌশলে তা ফুটিয়ে তোলার দক্ষতা। শিল্পীর আনন্দ-বেদনা, তাপ ও চাপ কিংবা অন্তর্নিহিত ঝড়ের বিমূর্ত প্রকাশ চোখকে শান্তি দেয়, মনে আনন্দ আনে; কখনোবা আর্দ্র হৃদয়ে ফিরতে হয় শিল্পকর্মের এক ফ্রেম থেকে অন্য ফ্রেমে। দৃষ্টির বাইরের দৃশ্য ধরা দেয় অনুভূতির স্পর্শে।
১৯৭৬ সালে নওগাঁয় জন্ম নেওয়া মনন চারুকলার একাডেমিক পাঠ নিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট (বর্তমানে চারুকলা অনুষদ) থেকে। ১৯৯৯ সালে সম্পন্ন করেন স্নাতক ডিগ্রি। চারুকলায় ভর্তির পর থেকেই তিনি একই সঙ্গে একজন শিল্পী ও গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। মনন মোর্শেদ দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে একজন শিল্পী, ফটোগ্রাফার, চিত্রকর, গ্রাফিক ডিজাইনার, উদ্যোক্তা, কর্মী এবং সংগঠক হিসেবে কাজ করছেন।
খুব অল্প বয়স থেকেই শিল্পী তার ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতা প্রকাশের হাতিয়ার হিসেবে শিল্পকে গ্রহণ করেন। বিগত শতকের ৮০-এর দশকের শেষভাগে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে বিভিন্ন ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদ, দেয়াল পত্রিকা এবং রাজনৈতিক পোস্টারের মাধ্যমে মনন তার ভাবনার প্রকাশ ঘটাতে শুরু করেন। তখন তিনি সবেমাত্র সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। বরেন্দ্রর লালমাটি, নদী, গাছ, সবুজ প্রকৃতি, সেই সঙ্গে প্রগতিশীল রাজনৈতিক ভাবনা, শ্রেণিসংগ্রাম মননের শিল্পচিন্তায় যে গভীর ছাপ ফেলে যা শিল্পীকে প্রতিনিয়ত তাড়িত করেছে। সেই সঙ্গে খুব কাছে থেকে দেখেছেন নিজের মাকে। মুক্তিযুদ্ধে সন্তান হারানো এক মা। দেশের জন্য যার কিশোর সন্তান প্রাণ দিয়েছিল, সেই দেশটাকে নরখাদকদের ছিঁড়ে-খুঁড়ে খাওয়ার দৃশ্যে বেদনাহত এক মা। ছেলের লাশ কাঁধে ফেরা এক বাবা। কিংবা দৃশ্যত কখনও না দেখা শহীদ সেই ভাই- শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মামুন; দেশের জন্য, আদর্শের জন্য, মেহনতী মানুষের মুক্তির জন্য মামুনের মতো প্রাণ দেওয়া লাখো মামুন বুঝি মননের প্রতিনিয়তই দেখা হয়। যে ছবি আমরা দেখি না। আর সে জন্যই মননের ক্যানভাসজুড়ে বেদনার নীল বা রক্তাভ জমিনের মধ্যে ভেসে ওঠে বেদনার্ত মুখাবয়ব। জেগে থাকে চোখ, আহত, ক্ষত-বিক্ষত। তবু, ধুসর অন্ধকার ভেদ করে ছুটে চলে সংশপ্তক। এ ছোটার যেন শেষ নেই। কখনোবা শুধুই ক্ষরণ- নীরবে-নিভৃতে, কোষে-রক্তে, গভীর থেকে গভীরে।
গ্যালারিতে ঘুরতে ঘুরতে মনন মোর্শেদ বললেন, এতোদিন তো অন্যের চাহিদা মেটাতে কাজ করেছি- পত্রিকায় বা এনজিওতে। বলতে পারেন ফরমায়েস অনুসারে জোগান দিয়েছি। নিজের কথাটা বলা হয়নি। এখানে নিজের কথাই বলতে চেয়েছি।
নিজের কথা নিজের মতো করে বলবেন বলেই তিনি কাঠামোগত অনুশীলন থেকে বেরিয়ে আসতে শুরু করেন। ২০১৮ সালের পরে তার ভিজ্যুয়াল ভাষাকে ডিকনস্ট্রাক্ট করার দিকে তার জৈব যাত্রা শুরু হয়। দ্বীপ গ্যালারির সাম্প্রতিক শিল্পকর্মগুলো মননের নিজেকে পুনরায় আবিস্কারের আভাস দেয়। 'শাট আউট অফ সাইট'-এর শিরোনামহীন শিল্পকর্মের সিরিজটি সেই সময়টিকে প্রকাশ করে যখন মনন মোর্শেদ কলম, কাগজ এবং রঙের সঙ্গে তার সম্পর্ক পুনর্নির্মাণ শুরু করেছেন। দীর্ঘ দুই দশকের কর্মজীবনের পর্ব ঘুচিয়ে শিল্পী যেন রং ও ফর্মের এই দুর্দান্ত অভিব্যক্তি নির্মণে বসেছিলেন। প্রদর্শনীর ছবির ফিগারগুলোর গতি ও ভঙিমা নতুন করে সংজ্ঞায়িত হওয়া প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে। মননের লাইনগুলো ভেজা রঙের সঙ্গে খেলা করে এবং কালি তার ইচ্ছামতো গলে যায়। সময় এবং আবেগের বিস্ম্ফোরণ কাগজের ক্যানভাসের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত, যা এখন দ্বীপ গ্যালারির দেয়ালজুড়ে ঝুলছে।
রাজধানীর লালমাটিয়ায় দ্বীপ গ্যালারিতে শুরু হওয়া প্রদর্শনীটি একযোগে বারিধারায় ব্রিটিশ হাইকমিশনারের বাসভবনে প্রদর্শিত হচ্ছে। ২২ অক্টোবর প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন ভাস্কর ও চিত্রশিল্পী হামিদুজ্জামান খান। সঙ্গে ছিলেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন ও শিল্পী কাজী সালাহউদ্দিন আহমেদ। প্রদর্শনীটিতে যুক্ত রয়েছেন দুইজন কিউরেটর। দ্বীপ গ্যালারি অংশে কিউরেট করেছেন শিল্পী ও শিল্প সমালোচক মুস্তফা জামান এবং ব্রিটিশ হাইকমিশনারের বাসভবনে কাজটি করেছেন শিল্পী ও সংগঠক তেরেসা অ্যালবার। ব্রিটিশ হাইকমিশনারের বাসভবনের ২০১২ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত একশর অধিক ছবি স্থান পেয়েছে। অন্যদিকে দ্বীপ গ্যালারির প্রদর্শনীতে রয়েছে ২০১৬ থেকে বর্তমান পর্যন্ত ৮৩টি ছবি। বিমূর্ত ধারায় মিশ্র মাধ্যমে দুই শতাধিক ছবি নিয়ে দুই জায়গায় শুরু হওয়া এ প্রদর্শনীর বারিধারার পর্বটি ৬ নভেম্বর শেষ হলেও লালমাটিয়ার পর্বটি ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
- বিষয় :
- প্রদর্শনী
- সিরাজুল ইসলাম আবেদ