ঢাকা শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫

ট্রেনের দুর্দিন

ট্রেনের  দুর্দিন

ইস্ট বেঙ্গল এক্সপ্রেস রেলগাড়ি

আল-আমিন 

প্রকাশ: ০৯ জানুয়ারি ২০২৪ | ০৪:৩৬

বাংলাদেশের যে কয়টি পরিবহন ব্যবস্থা রয়েছে, এর মধ্যে ট্রেন অন্যতম। বাংলাদেশে প্রথম রেলওয়ে কার্যক্রম চালু হয় ১৮৬২ সালের ১৫ নভেম্বর। ইস্টার্ন বেঙ্গল কোম্পানি রেলপথ স্থাপন করলে মানুষ এই বাহনের সঙ্গে পরিচিত হয়। সে সময় থেকে ট্রেনযাত্রা মানুষের জন্য স্বাচ্ছন্দ্য ও নিরাপদ। গরিব, মধ্যবিত্তের জন্য তো খুবই উপকারী। স্বল্প খরচে পৌঁছানো যায় বাড়ি। কিন্তু দিন দিন সে ঐতিহ্য হারিয়ে যাচ্ছে। এর পেছনে নিরাপত্তা অন্যতম। ২০২৩ সালের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ১৯টি ট্রেনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। মৃত্যু হয়েছে ১৯ জনের এবং আহত হয়েছে অনেক। এ ছাড়াও থাকতে পারে অসংখ্য নিহত ও আহতের সংখ্যা। 
গত ২৮ অক্টোবর থেকে চারটি ট্রেনে আগুন ও রেললাইন কেটে ফেলা হয়েছে এবং ১৯ ডিসেম্বর মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে আগুন এবং সর্বশেষ ৫ জানুয়ারি বেনাপোল এক্সপ্রেসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে মানুষের জানমাল যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, সেভাবে দেশও আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। উন্নত বিশ্বে দেখা যায়, তাদের রেলওয়ে কোটি কোটি টাকা আয় করে। কিন্তু বাংলাদেশে এর সম্পূর্ণ বিপরীতে অবস্থান। আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি। 
দেশের একটি সম্পদ ক্ষতি হলে তার দায়ভার প্রত্যেক জনগণের ওপর পড়ে। দেশের মাথাপিছু ব্যয় বৃদ্ধি পায়। মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম হয় কয়েক গুণ। এ ক্ষতির ফল কোনো রাজনৈতিক সংগঠন, সরকার বা শিল্পপতি একা বহন করবে না। সামষ্টিকভাবে সবার বহন করতে হবে।
সরকার এবং রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, আপনারা এসব কর্মকাণ্ডের জন্য শক্তিশালী তদন্ত কমিটি গঠন করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিন এবং ট্রেনযাত্রাকে নিরাপদ করুন। বাঁচুক দেশের মানুষ, বাঁচুক বাংলাদেশ রেলওয়ে।

nশিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া

আরও পড়ুন

×